ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী পহেলা বৈশাখে নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে : রিজওয়ানা হাসান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ৯ বার পড়া হয়েছে

আগামী পহেলা বৈশাখে নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘মৃত নদী বলতে কোনো নদী নেই, প্রবাহহীন বলতে পারেন। প্রবাহহীন নদীকে প্রবাহমান করার অনেক প্রক্রিয়া বা রাস্তা আছে। মৃত নদী দেখিয়ে নদীর জায়গা ইজারা বা লিজ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে তিনি তার বক্তৃব্যে উল্লেখ করেন।আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলরুমে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ বিষয়ক এক অবহিতকরণ সভায় উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌ- পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সাথে ভূমি মন্ত্রণালয়কেও যুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা কিন্তু হাওরের তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছি, বিলেরও একটা তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। পরবর্তী কাজ হচ্ছে খালের তালিকা চূড়ান্ত করা। অবহিতকরণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকা সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের আগামী ৩ মাসের মধ্যে জেলার সকল খালের তালিকা রেকর্ড অনুযায়ী যাছাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য উপদেষ্টা নির্দেশনা দেন।

এ সময় ঢাকার চারপাশে থাকা বুড়িগঙ্গা, তুরাগ এবং শীতলক্ষ্যা এই ৩ টি নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার একটা বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা করে কাজ শুরু করার জন্য উপদেষ্টা সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। উপদেষ্টা আরও বলেন, ঢাকার ভিতরে থাকা ২১ টি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করে একটা ব্লু নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি এবং এটির বাস্তবায়ন কাজ দ্রুতই শুরু করা হবে। দেশের প্রতিটি জেলায় ১ টি করে নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজ আমরা অচিরেই শুরু করে দেব।

সেমিনারে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ নদীবিধৌত দেশ। এ দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নদ-নদীর উপর নির্ভরশীল। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য উন্নয়নের নামে নদ-নদী খালবিল দখল করা হয়েছে। তিনি বলেন, নদীকে বাঁচাতে হলে দূষণ ও অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করতে হবে। নদী বাঁচানোর এখনই উপযুক্ত সময়।

অন্য সময় করতে হলে স্বার্থের সংঘাত শুরু হবে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞাসহ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আগামী পহেলা বৈশাখে নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে : রিজওয়ানা হাসান

আপডেট সময় : ১১:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

আগামী পহেলা বৈশাখে নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘মৃত নদী বলতে কোনো নদী নেই, প্রবাহহীন বলতে পারেন। প্রবাহহীন নদীকে প্রবাহমান করার অনেক প্রক্রিয়া বা রাস্তা আছে। মৃত নদী দেখিয়ে নদীর জায়গা ইজারা বা লিজ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে তিনি তার বক্তৃব্যে উল্লেখ করেন।আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলরুমে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণ বিষয়ক এক অবহিতকরণ সভায় উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌ- পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সাথে ভূমি মন্ত্রণালয়কেও যুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা কিন্তু হাওরের তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছি, বিলেরও একটা তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। পরবর্তী কাজ হচ্ছে খালের তালিকা চূড়ান্ত করা। অবহিতকরণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকা সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের আগামী ৩ মাসের মধ্যে জেলার সকল খালের তালিকা রেকর্ড অনুযায়ী যাছাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য উপদেষ্টা নির্দেশনা দেন।

এ সময় ঢাকার চারপাশে থাকা বুড়িগঙ্গা, তুরাগ এবং শীতলক্ষ্যা এই ৩ টি নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার একটা বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা করে কাজ শুরু করার জন্য উপদেষ্টা সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। উপদেষ্টা আরও বলেন, ঢাকার ভিতরে থাকা ২১ টি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করে একটা ব্লু নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি এবং এটির বাস্তবায়ন কাজ দ্রুতই শুরু করা হবে। দেশের প্রতিটি জেলায় ১ টি করে নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করার কাজ আমরা অচিরেই শুরু করে দেব।

সেমিনারে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ নদীবিধৌত দেশ। এ দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নদ-নদীর উপর নির্ভরশীল। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য উন্নয়নের নামে নদ-নদী খালবিল দখল করা হয়েছে। তিনি বলেন, নদীকে বাঁচাতে হলে দূষণ ও অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করতে হবে। নদী বাঁচানোর এখনই উপযুক্ত সময়।

অন্য সময় করতে হলে স্বার্থের সংঘাত শুরু হবে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞাসহ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন।