ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

কর্তৃত্ববাদ প্রসারে বিচার বিভাগ অতীতে অনুঘটকের কাজ করেছে : ইফতেখারুজ্জামান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, অতীতে বিচার বিভাগ দেশে কর্তৃত্ববাদের প্রসারে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। আজ রাজধানীর ধানমন্ডিতে সুপ্রীম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের (এসআরএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত অনুসন্ধানমূলক আইন প্রতিবেদন বিষয়ক কর্মশালায় বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। ড.ইফতেখার বলেন, “বিগত ১৬ বছরে কর্তৃত্ববাদ চরমে পৌঁছে গিয়েছিল। সমস্ত রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে করায়ত্ত করে তাঁদের রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছিল।

পেশাজীবিদের অঙ্গনে দেউলিয়াত্ব সৃষ্টি করা হয়েছিল, যার অন্যতম শিকার ছিলো এই বিচার বিভাগ। দুঃখজনকভাবে বিচার বিভাগ কর্তৃত্ববাদ প্রসারণে অনুঘটকের কাজ করেছিল। তিনি বলেন, এমনকি গণমাধ্যমের একটি অংশও একই ভূমিকা পালন করেছে, কারণ তারা কর্তৃত্ববাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে অযাচিত সুবিধা গ্রহণ করেছিলো। টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন, এখানে অবশ্য একটি মিশ্র পরিস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। সামগ্রিকভাবে গণমাধ্যম শত প্রতিকূলতার মধ্যেও, তার যথার্থ ভূমিকা পালনের চেষ্টা করেছে।

এমনকি বিচার বিভাগের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। আমাদের গণমাধ্যম যত বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করবে, তত বেশি স্বাধীন এবং কার্যকর বিচার বিভাগ আমরা পাবো। বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার কমিশন গঠন করে অনেক ধরনের সংস্কার কার্যক্রম চলছে। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনো পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত, শুধুমাত্র প্রণীত রিপোট অনুযায়ী সংস্কারের কোনো সুফল আমরা পাবো না। ড. ইফতেখারুজ্জামান রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মূল চেতনাকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যদি তা না করা হয়, তাহলে আমাদের সমস্যা সমাধানের আশা করাটাও খুব কঠিন হয়ে যাবে।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক রুশদ হক আইন রিপোর্টিং : বাংলাদেশের বিচারিক ব্যবস্থাকে উপলব্ধি শীর্ষক কর্মশালায় তার বক্তব্যে জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃতির পাশাপাশি, সর্বোচ্চ আদালতের রায় ভালোভাবে নিরীক্ষণ এবং সবিস্তারে মামলা পদ্ধতি সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করার জন্য সংবাদকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও প্রশিক্ষক বদরুদ্দোজা বাবু ‘প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার জন্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’ এবং ‘ফলপ্রসু অনুসন্ধানী গল্পকথন’ বিষয়ের উপর পৃথক দুইটি লেকচার প্রদান করেন। এসআরএফ’র সভাপতি মাসুদুর রহমান রানা এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী সহ অন্যান্য সদস্য কর্মশালায় অংশ নেন। দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কর্তৃত্ববাদ প্রসারে বিচার বিভাগ অতীতে অনুঘটকের কাজ করেছে : ইফতেখারুজ্জামান

আপডেট সময় : ১১:৪৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, অতীতে বিচার বিভাগ দেশে কর্তৃত্ববাদের প্রসারে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। আজ রাজধানীর ধানমন্ডিতে সুপ্রীম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের (এসআরএফ) সদস্যদের জন্য আয়োজিত অনুসন্ধানমূলক আইন প্রতিবেদন বিষয়ক কর্মশালায় বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন। ড.ইফতেখার বলেন, “বিগত ১৬ বছরে কর্তৃত্ববাদ চরমে পৌঁছে গিয়েছিল। সমস্ত রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে করায়ত্ত করে তাঁদের রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছিল।

পেশাজীবিদের অঙ্গনে দেউলিয়াত্ব সৃষ্টি করা হয়েছিল, যার অন্যতম শিকার ছিলো এই বিচার বিভাগ। দুঃখজনকভাবে বিচার বিভাগ কর্তৃত্ববাদ প্রসারণে অনুঘটকের কাজ করেছিল। তিনি বলেন, এমনকি গণমাধ্যমের একটি অংশও একই ভূমিকা পালন করেছে, কারণ তারা কর্তৃত্ববাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে অযাচিত সুবিধা গ্রহণ করেছিলো। টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন, এখানে অবশ্য একটি মিশ্র পরিস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। সামগ্রিকভাবে গণমাধ্যম শত প্রতিকূলতার মধ্যেও, তার যথার্থ ভূমিকা পালনের চেষ্টা করেছে।

এমনকি বিচার বিভাগের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। আমাদের গণমাধ্যম যত বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করবে, তত বেশি স্বাধীন এবং কার্যকর বিচার বিভাগ আমরা পাবো। বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার কমিশন গঠন করে অনেক ধরনের সংস্কার কার্যক্রম চলছে। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনো পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত, শুধুমাত্র প্রণীত রিপোট অনুযায়ী সংস্কারের কোনো সুফল আমরা পাবো না। ড. ইফতেখারুজ্জামান রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মূল চেতনাকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যদি তা না করা হয়, তাহলে আমাদের সমস্যা সমাধানের আশা করাটাও খুব কঠিন হয়ে যাবে।

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক রুশদ হক আইন রিপোর্টিং : বাংলাদেশের বিচারিক ব্যবস্থাকে উপলব্ধি শীর্ষক কর্মশালায় তার বক্তব্যে জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃতির পাশাপাশি, সর্বোচ্চ আদালতের রায় ভালোভাবে নিরীক্ষণ এবং সবিস্তারে মামলা পদ্ধতি সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করার জন্য সংবাদকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও প্রশিক্ষক বদরুদ্দোজা বাবু ‘প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার জন্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’ এবং ‘ফলপ্রসু অনুসন্ধানী গল্পকথন’ বিষয়ের উপর পৃথক দুইটি লেকচার প্রদান করেন। এসআরএফ’র সভাপতি মাসুদুর রহমান রানা এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী সহ অন্যান্য সদস্য কর্মশালায় অংশ নেন। দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।