ঢাকা ১১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

কৃষি খাতে উৎপাদন নির্বিঘ্ন করতে সরকার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে : কৃষি উপদেষ্টা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কৃষি খাতে উৎপাদন নির্বিঘ্ন রাখতে সরকার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি আজ রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে কৃষি অবকাঠামো ও ফসল, গবাদিপশু ও মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশে সকলের জন্য খাদ্য সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা লাভের সময় প্রায় সাড়ে ৭কোটি মানুষের খাদ্য যে জমিতে উৎপন্ন হতো এখন জমির পরিমাণ কমলেও প্রায় ১৮ কোটি মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে।

বর্তমানে দেশে প্রায় ৪ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, দেশ এখন দানা জাতীয় খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে ফল, সবজি, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম উৎপাদনেও আমাদের সক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়েছে। তিনি বলেন, দেশে সকলের জন্য খাদ্য সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না।

তবে, আমাদের এ প্রত্যাশা সহজেই পরিপূর্ণতা পাবে, যদি আমরা খাদ্যপণ্যের সংগ্রহোত্তর ক্ষতি এবং অপচয় হ্রাস করতে পারি। তিনি বলেন, আধুনিক ফসল সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সুশৃংখল ও আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় রোধ করতে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে একক এবং যৌথভাবে বিনিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে কৃষিপণ্য সংগ্রহোত্তর অপচয় ও ক্ষতির পরিমাণ ফসলের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ, বিশেষ করে শাক-সবজি এবং ফলে অপচয় এবং ক্ষতির হার সবচেয়ে বেশী যা প্রায় ৪০ শতাংশ। তিনি বলেন, উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের একটা বড় অংশ ভোক্তা পর্যায়ে অপচয় হচ্ছে। দেশে বছরে জনপ্রতি প্রায় ৮২ কেজি খাদ্য অপচয় হয়। খাদ্য অপচয় রোধে সচেতনতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই।

কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান এবং এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (শস্য) ও সার্ক কৃষি কেন্দ্র, ঢাকার পরিচালক ড. মো. হারুনূর রশীদ।

এছাড়াও সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে উপদেষ্টা বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এবছর বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘উন্নত জীবন ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য খাদ্যের অধিকার’।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কৃষি খাতে উৎপাদন নির্বিঘ্ন করতে সরকার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে : কৃষি উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১১:৩০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কৃষি খাতে উৎপাদন নির্বিঘ্ন রাখতে সরকার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি আজ রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে কৃষি অবকাঠামো ও ফসল, গবাদিপশু ও মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশে সকলের জন্য খাদ্য সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা লাভের সময় প্রায় সাড়ে ৭কোটি মানুষের খাদ্য যে জমিতে উৎপন্ন হতো এখন জমির পরিমাণ কমলেও প্রায় ১৮ কোটি মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে।

বর্তমানে দেশে প্রায় ৪ কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, দেশ এখন দানা জাতীয় খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বিশেষ করে ফল, সবজি, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম উৎপাদনেও আমাদের সক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়েছে। তিনি বলেন, দেশে সকলের জন্য খাদ্য সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না।

তবে, আমাদের এ প্রত্যাশা সহজেই পরিপূর্ণতা পাবে, যদি আমরা খাদ্যপণ্যের সংগ্রহোত্তর ক্ষতি এবং অপচয় হ্রাস করতে পারি। তিনি বলেন, আধুনিক ফসল সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সুশৃংখল ও আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যের অপচয় রোধ করতে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে একক এবং যৌথভাবে বিনিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, দেশে কৃষিপণ্য সংগ্রহোত্তর অপচয় ও ক্ষতির পরিমাণ ফসলের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ, বিশেষ করে শাক-সবজি এবং ফলে অপচয় এবং ক্ষতির হার সবচেয়ে বেশী যা প্রায় ৪০ শতাংশ। তিনি বলেন, উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের একটা বড় অংশ ভোক্তা পর্যায়ে অপচয় হচ্ছে। দেশে বছরে জনপ্রতি প্রায় ৮২ কেজি খাদ্য অপচয় হয়। খাদ্য অপচয় রোধে সচেতনতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই।

কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান এবং এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (শস্য) ও সার্ক কৃষি কেন্দ্র, ঢাকার পরিচালক ড. মো. হারুনূর রশীদ।

এছাড়াও সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে উপদেষ্টা বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এবছর বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘উন্নত জীবন ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য খাদ্যের অধিকার’।