ঢাকা ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণঅভ্যুত্থানের মনন সৃষ্টিতে সিপিডির গবেষণা ও কার্যক্রম ভূমিকা রেখেছে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে

গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সবসময় সচেষ্ট থেকেছে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মনন সৃষ্টিতে সিপিডির গবেষণা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অশেষ ভূমিকা রেখেছে’।

রোববার ঢাকায় সিপিডির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা একথা বলেন। বিগত ৩০ বছর ধরে বিভিন্নমুখী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সিপিডি দেশের মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য এবং নির্ভীক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এ কারণে এই প্রতিষ্ঠানটি সবসময় আমার কাছে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে’।

বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি আশা করি সিপিডি অতীতের মত বর্তমানে ও আগামীতে তার বুদ্ধিবৃত্তিক অবদান অব্যাহত রাখবে এবং দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে অবদান রেখে যাবে।’ আগামী দিনগুলোতে দেশের প্রয়োজনে সিপিডির অধিকতর ভুমিকা ও সাফল্য কামনা করেন তিনি।

সিপিডির একজন প্রতিষ্ঠাকালীন ট্রাস্টি হিসেবে অধ্যাপক ইউনূস সংস্থাটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আমি আজ বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই সিপিডির প্রতিষ্ঠাতা আমার শিক্ষক অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে। তিনি দেশের বিভিন্ন সময়ে তার ব্যাতিক্রমী ভূমিকা রেখে চলেছেন।

৩০ বছরের দীর্ঘযাত্রায় দেশে এবং দেশের বাইরে সিপিডি একটি স্বনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে উল্লেখ করে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস বলেন, ‘সিপিডি সব সময় স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে স্বাধীন ভাবে চিন্তা করেছে এবং দেশের স্বার্থে বিভিন্ন সময়ে নীতি নির্ধারকদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করেছে। দেশের সাধারণ মানুষের সামগ্রিক অবস্থার পরিবর্তন এবং দারিদ্র দূরীকরণের যে চেষ্টা আমি সারা জীবন ধরে করেছি সিপিডির কাজে সব সময় তার প্রতিফলন দেখেছি।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে সিপিডি বিভিন্ন সময়ে নিয়মিত নীতি সংলাপের আয়োজন করে, যার অনেকগুলোতে আমি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থেকেছি।’ তাদের নীতি-বিশ্লেষণ ও গবেষণা কার্যক্রম দেশের সার্বিক চিন্তা কাঠামোয় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গণঅভ্যুত্থানের মনন সৃষ্টিতে সিপিডির গবেষণা ও কার্যক্রম ভূমিকা রেখেছে : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১০:১৮:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সবসময় সচেষ্ট থেকেছে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মনন সৃষ্টিতে সিপিডির গবেষণা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অশেষ ভূমিকা রেখেছে’।

রোববার ঢাকায় সিপিডির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা একথা বলেন। বিগত ৩০ বছর ধরে বিভিন্নমুখী কর্মকান্ডের মাধ্যমে সিপিডি দেশের মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য এবং নির্ভীক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এ কারণে এই প্রতিষ্ঠানটি সবসময় আমার কাছে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে’।

বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি আশা করি সিপিডি অতীতের মত বর্তমানে ও আগামীতে তার বুদ্ধিবৃত্তিক অবদান অব্যাহত রাখবে এবং দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে অবদান রেখে যাবে।’ আগামী দিনগুলোতে দেশের প্রয়োজনে সিপিডির অধিকতর ভুমিকা ও সাফল্য কামনা করেন তিনি।

সিপিডির একজন প্রতিষ্ঠাকালীন ট্রাস্টি হিসেবে অধ্যাপক ইউনূস সংস্থাটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, আমি আজ বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই সিপিডির প্রতিষ্ঠাতা আমার শিক্ষক অধ্যাপক রেহমান সোবহানকে। তিনি দেশের বিভিন্ন সময়ে তার ব্যাতিক্রমী ভূমিকা রেখে চলেছেন।

৩০ বছরের দীর্ঘযাত্রায় দেশে এবং দেশের বাইরে সিপিডি একটি স্বনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে উল্লেখ করে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস বলেন, ‘সিপিডি সব সময় স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে স্বাধীন ভাবে চিন্তা করেছে এবং দেশের স্বার্থে বিভিন্ন সময়ে নীতি নির্ধারকদের গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করেছে। দেশের সাধারণ মানুষের সামগ্রিক অবস্থার পরিবর্তন এবং দারিদ্র দূরীকরণের যে চেষ্টা আমি সারা জীবন ধরে করেছি সিপিডির কাজে সব সময় তার প্রতিফলন দেখেছি।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে সিপিডি বিভিন্ন সময়ে নিয়মিত নীতি সংলাপের আয়োজন করে, যার অনেকগুলোতে আমি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থেকেছি।’ তাদের নীতি-বিশ্লেষণ ও গবেষণা কার্যক্রম দেশের সার্বিক চিন্তা কাঠামোয় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।