ঢাকা ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নরের সাক্ষাৎ নগরীর যানজট নিরসনে হকার ব্যবস্থাপনা জরুরি : চসিক মেয়র পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন টক-শো দেখেন, কেমন একটা অস্থিরতা চলছে দেশে আগামী প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ারও আহ্বান: দুদক চেয়ারম্যান ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করা যাবে না রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: জাপান রাষ্ট্রদূত দ্রুত ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করবে টাইগাররা: সালাহউদ্দিন চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে: পিডিবি চেয়ারম্যান সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ রাজধানীর ফকিরাপুলে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরাতে ট্রাম্পের পরিকল্পনার নিন্দা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৪:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫ ২৯ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস এবং সশস্ত্র সংগঠন হামাস ঘোষণা করেছে যে, তারা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক গাজা থেকে সরানোর পরিকল্পনার বিরোধিতা করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত এই অঞ্চলকে ‘পরিষ্কার’ করার প্রস্তাব দেওয়ার পর এই প্রতিক্রিয়া এসেছে। গাজা সিটি এএফপি এ খবর জানায়।

ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, ‘গাজা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আমি ফিলিস্তিনিদের ওই এলাকা থেকে সরানোর বিষয়ে জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই মিসর ও জর্দান তাদের প্রতিবেশী লোকজনকে আশ্রয় দিক।

মাহমুদ আব্বাস ট্রাম্পের এ প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূমি এবং পবিত্র স্থান ছাড়বে না। হামাস নেতা বাসেম নাঈম বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা এমন পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেবে। ইসলামিক জিহাদ ট্রাম্পের প্রস্তাবকে ‘ঘৃণিত’ বলে উল্লেখ করেছে।

গাজার অধিবাসীদের সরানোর যে কোনো প্রচেষ্টা ১৯৪৮ সালের ‘নাকবা’ বা বিপর্যয়ের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। এ সময় ইসরাইল প্রতিষ্ঠা হয় এবং  ফিলিস্তিনিরা ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুত হয়। আরব লীগ এই পরিকল্পনাকে ‘জাতিগত নির্মূল’ বলে আখ্যা দিয়েছে। জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘জর্দান শুধু জর্দানিদের জন্য, আর ফিলিস্তিন শুধু ফিলিস্তিনিদের জন্য।

মিসরও ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য সহায়তার অভাবে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। হামাসের আক্রমণে ১,২১০ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজায় ৪৭,৩০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

লেবানন সীমান্তেও উত্তেজনা চলছে। ইসরাইলি সেনারা সেখানে গুলি চালিয়েছে, যাতে প্রায় ২০ জন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি এখনো অস্থিতিশীল। আন্তর্জাতিক মহল শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানালেও গাজার সংকট সমাধান অনিশ্চিত।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরাতে ট্রাম্পের পরিকল্পনার নিন্দা

আপডেট সময় : ১২:৪৪:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাস এবং সশস্ত্র সংগঠন হামাস ঘোষণা করেছে যে, তারা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক গাজা থেকে সরানোর পরিকল্পনার বিরোধিতা করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত এই অঞ্চলকে ‘পরিষ্কার’ করার প্রস্তাব দেওয়ার পর এই প্রতিক্রিয়া এসেছে। গাজা সিটি এএফপি এ খবর জানায়।

ট্রাম্প শনিবার বলেছেন, ‘গাজা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আমি ফিলিস্তিনিদের ওই এলাকা থেকে সরানোর বিষয়ে জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই মিসর ও জর্দান তাদের প্রতিবেশী লোকজনকে আশ্রয় দিক।

মাহমুদ আব্বাস ট্রাম্পের এ প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূমি এবং পবিত্র স্থান ছাড়বে না। হামাস নেতা বাসেম নাঈম বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা এমন পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেবে। ইসলামিক জিহাদ ট্রাম্পের প্রস্তাবকে ‘ঘৃণিত’ বলে উল্লেখ করেছে।

গাজার অধিবাসীদের সরানোর যে কোনো প্রচেষ্টা ১৯৪৮ সালের ‘নাকবা’ বা বিপর্যয়ের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। এ সময় ইসরাইল প্রতিষ্ঠা হয় এবং  ফিলিস্তিনিরা ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুত হয়। আরব লীগ এই পরিকল্পনাকে ‘জাতিগত নির্মূল’ বলে আখ্যা দিয়েছে। জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘জর্দান শুধু জর্দানিদের জন্য, আর ফিলিস্তিন শুধু ফিলিস্তিনিদের জন্য।

মিসরও ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য সহায়তার অভাবে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। হামাসের আক্রমণে ১,২১০ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক হামলায় গাজায় ৪৭,৩০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

লেবানন সীমান্তেও উত্তেজনা চলছে। ইসরাইলি সেনারা সেখানে গুলি চালিয়েছে, যাতে প্রায় ২০ জন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি এখনো অস্থিতিশীল। আন্তর্জাতিক মহল শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানালেও গাজার সংকট সমাধান অনিশ্চিত।