ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নরের সাক্ষাৎ নগরীর যানজট নিরসনে হকার ব্যবস্থাপনা জরুরি : চসিক মেয়র পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন টক-শো দেখেন, কেমন একটা অস্থিরতা চলছে দেশে আগামী প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ারও আহ্বান: দুদক চেয়ারম্যান ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করা যাবে না রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: জাপান রাষ্ট্রদূত দ্রুত ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করবে টাইগাররা: সালাহউদ্দিন চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে: পিডিবি চেয়ারম্যান সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ রাজধানীর ফকিরাপুলে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

নগরীর মশক নিধনে যুক্ত হচ্ছে সেনাবাহিনী: ডিএনসিসি প্রশাসক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে

মো. সাজ্জাদ হোসেন: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মশক নিধন কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মশার ওষুধ ছিটানো থেকে শুরু করে এই কাজের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে সুদক্ষ এই বাহিনীকে।জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া আজ এক সাক্ষাৎকারে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ মশক নিধনে তার বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘নগরীর মশক নিধনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং যে বিষয়টি তা হলো- মশার ওষুধ ঠিকমতো ছিটানো হয় না। যারা মশার ওষুধ ছিটান তাদের সঠিকভাবে তদারক করার জন্য আমাদের কোন অনলাইন মেকানিজম নেই।

এই কাজে যাদের সঙ্গে আমাদের থার্ড পার্টি এগ্রিমেন্ট ছিলো সেটা বাদ দিয়ে দিচ্ছি। তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়ে যাচ্ছে। যদি এটা বাতিল হয় আমরা আর্মির সঙ্গে কথা বলেছি, আর্মি এটা সার্ভিলেন্স করতে রাজি আছে। সুতরাং আর্মি যেহেতু একটা দক্ষ প্রতিষ্ঠান। আর এটা যেহেতু জনস্বাস্থ্যের বিষয়, তাই আমি আর এ বিষয়ে রিস্ক নিতে চাই না। মনিটরিং সার্ভিস এবং মশার ওষুধ ছিটানোর যে সার্ভিস সেটা আমরা আর্মিকে দিয়ে দেবো। মোহাম্মদ এজাজ বলেন, সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি মশক নিধনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মশার ট্র্যাপ বসানো হচ্ছে।

একটা ট্র্যাপ বসালে ১০০ মিটার পর্যন্ত কোন মশা থাকবে না। এক একটা ট্র্যাপ প্রতিদিন তিন থেকে চার কেজি মশা মারতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথমে সিটির ১ নং অঞ্চলে অর্থাৎ পুরো উত্তরা ও খিলখেত এলাকায় এই ট্র্যাপ বসানো হবে। ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, এসব কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রচুর সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হবে। এর জন্য হাজার-হাজার যুবককে মাঠে নামানো হবে। ডেঙ্গু মোকাবেলায় এবার ৫ হাজার যুবককে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে।

ডেঙ্গু মৌসুমের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আগামী সপ্তাহে ঢাকা শহরের সব হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সব হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করবো, তারা যেনো তাদের হাসপাতালে আলাদা করে ডেডিকেটেড ডেঙ্গু কর্নার করে রাখে। ওষুধ ছিটানো থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্যক্রম আমরা করবো পাশাপাশি যাতে কোনো ধরনের জনস্বাস্থ্যজনিত সংকট তৈরি না হয় এজন্য এই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।

ডেঙ্গুর ব্যাপারে সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘ডেঙ্গু একটা বড় ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংকট। এই সংকট মোকাবেলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ডেঙ্গু মশা যেহেতু বাসায় জন্মায় তাই আমাদের সবাইকেও এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। নিরাপত্তার কারণে মশক নিধন কর্মীদের অনেক নাগরিক বাসার ভেতরে, কার্নিশে, বারান্দায় যেতে দেয়া হয় না। সুতরাং ডেঙ্গু মশা থেকে রক্ষা পেতে নাগরিকদের নিজেদেরও সচেতন হতে হবে। তারপরও আমরা হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু ডেডিকেটেড কর্নার করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নগরীর মশক নিধনে যুক্ত হচ্ছে সেনাবাহিনী: ডিএনসিসি প্রশাসক

আপডেট সময় : ১২:৩৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

মো. সাজ্জাদ হোসেন: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মশক নিধন কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মশার ওষুধ ছিটানো থেকে শুরু করে এই কাজের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে সুদক্ষ এই বাহিনীকে।জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া আজ এক সাক্ষাৎকারে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ মশক নিধনে তার বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘নগরীর মশক নিধনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং যে বিষয়টি তা হলো- মশার ওষুধ ঠিকমতো ছিটানো হয় না। যারা মশার ওষুধ ছিটান তাদের সঠিকভাবে তদারক করার জন্য আমাদের কোন অনলাইন মেকানিজম নেই।

এই কাজে যাদের সঙ্গে আমাদের থার্ড পার্টি এগ্রিমেন্ট ছিলো সেটা বাদ দিয়ে দিচ্ছি। তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়ে যাচ্ছে। যদি এটা বাতিল হয় আমরা আর্মির সঙ্গে কথা বলেছি, আর্মি এটা সার্ভিলেন্স করতে রাজি আছে। সুতরাং আর্মি যেহেতু একটা দক্ষ প্রতিষ্ঠান। আর এটা যেহেতু জনস্বাস্থ্যের বিষয়, তাই আমি আর এ বিষয়ে রিস্ক নিতে চাই না। মনিটরিং সার্ভিস এবং মশার ওষুধ ছিটানোর যে সার্ভিস সেটা আমরা আর্মিকে দিয়ে দেবো। মোহাম্মদ এজাজ বলেন, সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি মশক নিধনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মশার ট্র্যাপ বসানো হচ্ছে।

একটা ট্র্যাপ বসালে ১০০ মিটার পর্যন্ত কোন মশা থাকবে না। এক একটা ট্র্যাপ প্রতিদিন তিন থেকে চার কেজি মশা মারতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথমে সিটির ১ নং অঞ্চলে অর্থাৎ পুরো উত্তরা ও খিলখেত এলাকায় এই ট্র্যাপ বসানো হবে। ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, এসব কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রচুর সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হবে। এর জন্য হাজার-হাজার যুবককে মাঠে নামানো হবে। ডেঙ্গু মোকাবেলায় এবার ৫ হাজার যুবককে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে।

ডেঙ্গু মৌসুমের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আগামী সপ্তাহে ঢাকা শহরের সব হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সব হাসপাতালের পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করবো, তারা যেনো তাদের হাসপাতালে আলাদা করে ডেডিকেটেড ডেঙ্গু কর্নার করে রাখে। ওষুধ ছিটানো থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্যক্রম আমরা করবো পাশাপাশি যাতে কোনো ধরনের জনস্বাস্থ্যজনিত সংকট তৈরি না হয় এজন্য এই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।

ডেঙ্গুর ব্যাপারে সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘ডেঙ্গু একটা বড় ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংকট। এই সংকট মোকাবেলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ডেঙ্গু মশা যেহেতু বাসায় জন্মায় তাই আমাদের সবাইকেও এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। নিরাপত্তার কারণে মশক নিধন কর্মীদের অনেক নাগরিক বাসার ভেতরে, কার্নিশে, বারান্দায় যেতে দেয়া হয় না। সুতরাং ডেঙ্গু মশা থেকে রক্ষা পেতে নাগরিকদের নিজেদেরও সচেতন হতে হবে। তারপরও আমরা হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু ডেডিকেটেড কর্নার করছি।