ঢাকা ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নরের সাক্ষাৎ নগরীর যানজট নিরসনে হকার ব্যবস্থাপনা জরুরি : চসিক মেয়র পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন টক-শো দেখেন, কেমন একটা অস্থিরতা চলছে দেশে আগামী প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ারও আহ্বান: দুদক চেয়ারম্যান ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করা যাবে না রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: জাপান রাষ্ট্রদূত দ্রুত ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করবে টাইগাররা: সালাহউদ্দিন চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে: পিডিবি চেয়ারম্যান সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ রাজধানীর ফকিরাপুলে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

পিস্তল সোহেলের অবৈধ টাকা ও ক্ষমতার উৎস ছিলো সাবেক বিচারপতি মানিক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০০:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

সাব্বির হোসেন, খুলনা জেলা প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক বিচারপতি মানিকের ব্যবসায়িক পার্টনার ছিল পিস্তল সোহেল।সূত্রমতে, বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলা ঘোলা গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান ও মাতা শাহিনা বেগমের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম যার বর্তমান নাম পিস্তল সোহেল। যার আতঙ্কে খুলনা ঠিকাদার পরিবার আজও আতঙ্কিত। কিভাবে মোঃ শহিদুল থেকে পিস্তল সোহেল হলেন সেই সব তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জানা গেল এক নতুন চাঞ্চলকর তথ্য। চিতলমারী উপজেলায় এক সময়ের মাদ্রাসায় পড়ুয়া শহিদুল ইসলাম সংবাদ কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বাইসাইকেল চালিয়ে সংবাদ সংবাদ সংগ্রহ করতেন।

সাংবাদিকতার জের ধরে তার পরিচয় হয় বিভিন্ন অফিস আদালতে এবং সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের সাথে। দূর সম্পর্কের আত্মীয়তার জের ধরে সাবেক বিচারপতি আওয়ামী লীগের দোসর মানিকের সাথে তার পরিচয় ঘটে। বিচারপতি মানিকের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা দিন দিন বেড়েই চলে। শহিদুল ইসলাম শুরু করে দেয় ঠিকাদারী ব্যবসা। কাজ না পেলেও তার কাজ পাইয়ে যেতো টেলিফোনের জোরে। বিচারপতি মানিক থেকে শুরু করে উর্দ্ধতন অনেক এমপি মন্ত্রীও অবৈধভাবে ক্ষমতার বলে কাজ পাইয়ে দিতেন শহিদুল ইসলাম সোহেলকে। একসময় সে ধীরে ধীরে অনেক অবৈধ সম্পত্তি ও টাকার মালিক হয়ে যান গাড়ি-বাড়ি ফ্যাক্টরি কোন কিছুরই অভাব থাকে না পিস্তল সোহেলের।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারে ছিল তার সচরাচর যাতায়াত। যে কোন সময় যে কোন বিপদে ফোন করতেন সাবেক এমপি শেখ জুয়েল ও শেখ সোহেলকে পরিচয় দিতে আত্মীয় বলে ব্যবসায়িক পার্টনারী হিসাবে। অবৈধভাবে কাজ হাতিয়ে নিতেন বড় বড় টাকার। নামমাত্র কাজ করতেন এবং নানা অনিয়ম করতেন কাজে। এমন অনিয়ম করলে যদি সে ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ার ও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা বাধা প্রদান করতেন সে ক্ষেত্রে তাদের গালের ভিতর পিস্তল ঠেকিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতেন। এমনও সোনা গিয়েছে পিস্তল সোহেল সবাইকে বলতেন শেখ হাসিনার দেশে আমি যা করব তাই হবে সে আমার আত্মীয় লাগে।

পিস্তল সোহেল সম্পর্কে এলাকায় জানতে চাইলে জানা যায় তার নাম শহিদুল ইসলাম সে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হঠাৎ করে তার শত শত কোটি টাকার উৎস হল সে মনে হয় আলাউদ্দিনের প্রদীপ পেয়েছেন।আর সে আলাউদ্দিনের প্রদিপের নাম হল সাবেক বিচারপতি মানিক।তার সম্পর্কে আরো জানা যায় মানিক তার ব্যবসায়িক পার্টনার মানিকের অবৈধ হাজার কোটি টাকা এখন অনেক অংশই পিস্তল সোহেলের কাছে রক্ষিত রয়েছে। বিচারপতি মানিককে নিয়ে শহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে অনেক বড় প্রোগ্রাম করে যে প্রোগ্রামে বাগেরহাটের অধিকাংশ আইন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন খুলনা ঠিকাদারি ব্যবসায়ী পরিবার। সেখানে তাদের পার্টনারশিপ এর নতুন বিজনেস NOVA ANIMAL HEALTH LIMITEDBHAGIRATH KHULNA এ মিলন মেলা অনুষ্ঠানে যোগদেন বিচারপতি মানিক।

শুধু তাই নয় বিচারপতি মানিক ও শেখ পরিবারকে সামনে রেখে শহিদুল ইসলাম ধীরে ধীরে পিস্তল সোহেল পরিণত হয়। তার ভয়ে ঠিকাদার পরিবার আতঙ্কে থাকে সবসময়। কর্মকর্তারা তার ভয়ে কাজ না করালেও অথবা কাজ খারাপ করালেও বিল দিয়ে দিতে বাধ্য থাকতেন। ৫ ই আগস্ট ২০২৪ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পিস্তল সোহেল নিজের গায়ের রং পাল্টানোর চেষ্টা করে শেখ সোহেলের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এবং বিএনপি’র কথিত কয়েকজন নেতার সাথে ওঠাবসা শুরু করেন নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে দাবী করার চেষ্টা করছেন।

সর্বশেষ চিতলমারী এলাকাবাসী ও খুলনা ঠিকাদারি পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিগত বছরগুলো তারা অতিষ্ঠ ছিল পিস্তল সোহেলের ভয়ে। অনেক লেনদেন রয়েছে পিস্তল সোহেলের নিকট। তারা স্থল সোহেল থেকে তাদের পাওনা টাকা পাচ্ছে না। সর্বস্তরের দাবি পিস্তল সোহেলকে আইনের আওতায় এনে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। এ ব্যাপারে পিস্তল সোহেলের নিজের ব্যবহারিত মোবাইল নাম্বারে বারবার ফোন করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি অন্য একজনের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারের মাধ্যমে কথা বললে সে বলে এমন নিউজ করলে তার কিছু যায় আসে না তাকে ছোঁয়ার মতো কোনো ক্ষমতা বাংলাদেশের কারো নাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পিস্তল সোহেলের অবৈধ টাকা ও ক্ষমতার উৎস ছিলো সাবেক বিচারপতি মানিক

আপডেট সময় : ১২:০০:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

সাব্বির হোসেন, খুলনা জেলা প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের দোসর সাবেক বিচারপতি মানিকের ব্যবসায়িক পার্টনার ছিল পিস্তল সোহেল।সূত্রমতে, বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলা ঘোলা গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান ও মাতা শাহিনা বেগমের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম যার বর্তমান নাম পিস্তল সোহেল। যার আতঙ্কে খুলনা ঠিকাদার পরিবার আজও আতঙ্কিত। কিভাবে মোঃ শহিদুল থেকে পিস্তল সোহেল হলেন সেই সব তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জানা গেল এক নতুন চাঞ্চলকর তথ্য। চিতলমারী উপজেলায় এক সময়ের মাদ্রাসায় পড়ুয়া শহিদুল ইসলাম সংবাদ কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বাইসাইকেল চালিয়ে সংবাদ সংবাদ সংগ্রহ করতেন।

সাংবাদিকতার জের ধরে তার পরিচয় হয় বিভিন্ন অফিস আদালতে এবং সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের সাথে। দূর সম্পর্কের আত্মীয়তার জের ধরে সাবেক বিচারপতি আওয়ামী লীগের দোসর মানিকের সাথে তার পরিচয় ঘটে। বিচারপতি মানিকের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা দিন দিন বেড়েই চলে। শহিদুল ইসলাম শুরু করে দেয় ঠিকাদারী ব্যবসা। কাজ না পেলেও তার কাজ পাইয়ে যেতো টেলিফোনের জোরে। বিচারপতি মানিক থেকে শুরু করে উর্দ্ধতন অনেক এমপি মন্ত্রীও অবৈধভাবে ক্ষমতার বলে কাজ পাইয়ে দিতেন শহিদুল ইসলাম সোহেলকে। একসময় সে ধীরে ধীরে অনেক অবৈধ সম্পত্তি ও টাকার মালিক হয়ে যান গাড়ি-বাড়ি ফ্যাক্টরি কোন কিছুরই অভাব থাকে না পিস্তল সোহেলের।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারে ছিল তার সচরাচর যাতায়াত। যে কোন সময় যে কোন বিপদে ফোন করতেন সাবেক এমপি শেখ জুয়েল ও শেখ সোহেলকে পরিচয় দিতে আত্মীয় বলে ব্যবসায়িক পার্টনারী হিসাবে। অবৈধভাবে কাজ হাতিয়ে নিতেন বড় বড় টাকার। নামমাত্র কাজ করতেন এবং নানা অনিয়ম করতেন কাজে। এমন অনিয়ম করলে যদি সে ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ার ও বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা বাধা প্রদান করতেন সে ক্ষেত্রে তাদের গালের ভিতর পিস্তল ঠেকিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতেন। এমনও সোনা গিয়েছে পিস্তল সোহেল সবাইকে বলতেন শেখ হাসিনার দেশে আমি যা করব তাই হবে সে আমার আত্মীয় লাগে।

পিস্তল সোহেল সম্পর্কে এলাকায় জানতে চাইলে জানা যায় তার নাম শহিদুল ইসলাম সে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হঠাৎ করে তার শত শত কোটি টাকার উৎস হল সে মনে হয় আলাউদ্দিনের প্রদীপ পেয়েছেন।আর সে আলাউদ্দিনের প্রদিপের নাম হল সাবেক বিচারপতি মানিক।তার সম্পর্কে আরো জানা যায় মানিক তার ব্যবসায়িক পার্টনার মানিকের অবৈধ হাজার কোটি টাকা এখন অনেক অংশই পিস্তল সোহেলের কাছে রক্ষিত রয়েছে। বিচারপতি মানিককে নিয়ে শহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে অনেক বড় প্রোগ্রাম করে যে প্রোগ্রামে বাগেরহাটের অধিকাংশ আইন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন খুলনা ঠিকাদারি ব্যবসায়ী পরিবার। সেখানে তাদের পার্টনারশিপ এর নতুন বিজনেস NOVA ANIMAL HEALTH LIMITEDBHAGIRATH KHULNA এ মিলন মেলা অনুষ্ঠানে যোগদেন বিচারপতি মানিক।

শুধু তাই নয় বিচারপতি মানিক ও শেখ পরিবারকে সামনে রেখে শহিদুল ইসলাম ধীরে ধীরে পিস্তল সোহেল পরিণত হয়। তার ভয়ে ঠিকাদার পরিবার আতঙ্কে থাকে সবসময়। কর্মকর্তারা তার ভয়ে কাজ না করালেও অথবা কাজ খারাপ করালেও বিল দিয়ে দিতে বাধ্য থাকতেন। ৫ ই আগস্ট ২০২৪ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পিস্তল সোহেল নিজের গায়ের রং পাল্টানোর চেষ্টা করে শেখ সোহেলের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এবং বিএনপি’র কথিত কয়েকজন নেতার সাথে ওঠাবসা শুরু করেন নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে দাবী করার চেষ্টা করছেন।

সর্বশেষ চিতলমারী এলাকাবাসী ও খুলনা ঠিকাদারি পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায় বিগত বছরগুলো তারা অতিষ্ঠ ছিল পিস্তল সোহেলের ভয়ে। অনেক লেনদেন রয়েছে পিস্তল সোহেলের নিকট। তারা স্থল সোহেল থেকে তাদের পাওনা টাকা পাচ্ছে না। সর্বস্তরের দাবি পিস্তল সোহেলকে আইনের আওতায় এনে তার সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। এ ব্যাপারে পিস্তল সোহেলের নিজের ব্যবহারিত মোবাইল নাম্বারে বারবার ফোন করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি অন্য একজনের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারের মাধ্যমে কথা বললে সে বলে এমন নিউজ করলে তার কিছু যায় আসে না তাকে ছোঁয়ার মতো কোনো ক্ষমতা বাংলাদেশের কারো নাই।