ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিপাইনে ঝড়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি, বহু লোক পানিবন্দি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে

ফিলিপাইনে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ট্রামির প্রভাবে প্রবল বর্ষণে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার উদ্ধার কর্মীরা প্রাকৃতিক দুর্যোগটিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ বিকোল অঞ্চলে বন্যায় আটকে থাকা বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঝড় ও বন্যায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে।ঝড়টি প্রথমে রাজধানীর দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে।

ঝড়ের প্রভাবে দেশের প্রধান দ্বীপ লুজনে প্রবল বর্ষণ শুরু হলে উত্তর ফিলিপাইনের সব স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল আন্দ্রে ডিজন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, সকাল ৭টা পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি, মৃতের সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। নিহতদের বেশিরভাগই পানিতে ডুবে বা ভূমিধসে চাপা পড়ে মারা গেছে।

নাগা ও নাবুয়া শহরে উদ্ধার কর্মীদের ছাদে আটকে থাকা বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য নৌকা ব্যবহার করতে হয়েছে। জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা সূত্রে বলা হয়, সকাল ৮টার দিকে ঝড়ের কেন্দ্রটি উত্তর ফিলিপাইনের পার্বত্যঅঞ্চলের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৯৫ কিলোমিটার (৫৯ মাইল)।

পুলিশ জানায়, বুধবার বিকোল কর্তৃপক্ষ ৩০ সহস্রাধিক লোককে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। অপ্রত্যাশিতভাবে অনেক উঁচু’ পর্যন্ত স্থান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রাস্তাগুলি যেন নদীতে পরিণত হয়েছিল। রাজ্য আবহাওয়া ব্যুরোর লরি ডেলা ক্রুজ এএফপি’কে জানান, ক্যামারিনিস সুর প্রদেশ ও অ্যালবে প্রদেশের লেগাজপি শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফিলিপাইনে ঝড়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি, বহু লোক পানিবন্দি

আপডেট সময় : ১১:৫১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

ফিলিপাইনে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ট্রামির প্রভাবে প্রবল বর্ষণে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার উদ্ধার কর্মীরা প্রাকৃতিক দুর্যোগটিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ বিকোল অঞ্চলে বন্যায় আটকে থাকা বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঝড় ও বন্যায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে।ঝড়টি প্রথমে রাজধানীর দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে।

ঝড়ের প্রভাবে দেশের প্রধান দ্বীপ লুজনে প্রবল বর্ষণ শুরু হলে উত্তর ফিলিপাইনের সব স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল আন্দ্রে ডিজন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, সকাল ৭টা পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি, মৃতের সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। নিহতদের বেশিরভাগই পানিতে ডুবে বা ভূমিধসে চাপা পড়ে মারা গেছে।

নাগা ও নাবুয়া শহরে উদ্ধার কর্মীদের ছাদে আটকে থাকা বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য নৌকা ব্যবহার করতে হয়েছে। জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা সূত্রে বলা হয়, সকাল ৮টার দিকে ঝড়ের কেন্দ্রটি উত্তর ফিলিপাইনের পার্বত্যঅঞ্চলের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৯৫ কিলোমিটার (৫৯ মাইল)।

পুলিশ জানায়, বুধবার বিকোল কর্তৃপক্ষ ৩০ সহস্রাধিক লোককে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। অপ্রত্যাশিতভাবে অনেক উঁচু’ পর্যন্ত স্থান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রাস্তাগুলি যেন নদীতে পরিণত হয়েছিল। রাজ্য আবহাওয়া ব্যুরোর লরি ডেলা ক্রুজ এএফপি’কে জানান, ক্যামারিনিস সুর প্রদেশ ও অ্যালবে প্রদেশের লেগাজপি শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।