ঢাকা ০১:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান ঢাকায় আঞ্চলিক উচ্চশিক্ষা সম্মেলন ডিসেম্বরে: ইউজিসি সংবাদপত্রের গুণগত মানোন্নয়নে টাস্কফোর্স গঠন করবে সরকার: তথ্য উপদেষ্টা দোহার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ‘নিরাপদ পথচারী পারাপার পাইলট প্রকল্প’ চালু করেছে ডিএমপি-ডিএনসিসি এনসিপি থেকে যুগ্ম সদস্যসচিব সালাউদ্দিন তানভীরকে অব্যাহতি কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু: সিএএবি আমলযোগ্য অপরাধের ঘটনায় অবশ্যই মামলা নিতে হবে: ডিএমপি কমিশনার প্রাইম এশিয়ার শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় ৩ জন গ্রেফতার বিসিবি আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে: হাথুরুসিংহ

বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত চলমান সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় মার্টিন রেইজার বাংলাদেশে চলমান সংস্কার কর্মসূচির প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। বৈঠকে উভয়ে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কর ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতি চালু এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুশাসন ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে সুশাসন ও জবাবদিহিতার উন্নয়নে জরুরি সংস্কারে সহায়তা করছে, যার মধ্যে কর নীতি ও প্রশাসন, সরকারি ক্রয় এবং পরিসংখ্যান সংক্রান্ত সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

রেইজার বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, ভবিষ্যৎ সরকার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য এই সংস্কারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, এই সংস্কারগুলো জনগণ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সুশাসন ও জবাবদিহিতার প্রতি আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করবে, যা ভবিষ্যতের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপন করবে। রেইজার কর প্রশাসন ও কর নীতির পৃথকীকরণের আহ্বান জানান, যাতে রাজস্ব ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়।

তিনি বলেন, ‘কর রেয়াত ও ছাড় দেওয়ার একমাত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ হওয়া উচিত সংসদ’। প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি সম্প্রতি একটি “ঐকমত্য কমিশন” গঠন করেছেন, যা ছয়টি প্রধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ আয়োজনে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, একবার রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালে, তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক সরকার বাস্তবায়ন করবে।

রেইজার সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার উন্নতি এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন, যাতে নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যের গুণগত মান উন্নত করা যায়। বৈঠকে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ শক্তিশালী ডিজিটালাইজেশন কর্মসূচির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়। রেইজার বলেন, বিশ্বব্যাংক ঢাকা শহরকে এমন দেশগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করতে সহায়তা করতে পারে, যাদের শক্তিশালী ডিজিটাল পরিচয় অবকাঠামো রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

আপডেট সময় : ১১:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত চলমান সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় মার্টিন রেইজার বাংলাদেশে চলমান সংস্কার কর্মসূচির প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। বৈঠকে উভয়ে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কর ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতি চালু এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুশাসন ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে সুশাসন ও জবাবদিহিতার উন্নয়নে জরুরি সংস্কারে সহায়তা করছে, যার মধ্যে কর নীতি ও প্রশাসন, সরকারি ক্রয় এবং পরিসংখ্যান সংক্রান্ত সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

রেইজার বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, ভবিষ্যৎ সরকার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য এই সংস্কারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, এই সংস্কারগুলো জনগণ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সুশাসন ও জবাবদিহিতার প্রতি আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করবে, যা ভবিষ্যতের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপন করবে। রেইজার কর প্রশাসন ও কর নীতির পৃথকীকরণের আহ্বান জানান, যাতে রাজস্ব ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়।

তিনি বলেন, ‘কর রেয়াত ও ছাড় দেওয়ার একমাত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষ হওয়া উচিত সংসদ’। প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি সম্প্রতি একটি “ঐকমত্য কমিশন” গঠন করেছেন, যা ছয়টি প্রধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ আয়োজনে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, একবার রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছালে, তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক সরকার বাস্তবায়ন করবে।

রেইজার সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার উন্নতি এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন, যাতে নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যের গুণগত মান উন্নত করা যায়। বৈঠকে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ শক্তিশালী ডিজিটালাইজেশন কর্মসূচির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়। রেইজার বলেন, বিশ্বব্যাংক ঢাকা শহরকে এমন দেশগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করতে সহায়তা করতে পারে, যাদের শক্তিশালী ডিজিটাল পরিচয় অবকাঠামো রয়েছে।