বিদেশি হস্তক্ষেপে বিগত সরকার ফ্যাসিস্টে পরিণত হয়েছিলো : আইন উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ১০:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বিদেশি হস্তক্ষেপের ফলে বিগত সরকার ফ্যাসিস্টে পরিণত হয়েছিলো। ২০০৫ সালে বোমা হামলায় নিহত বিচারক জগন্নাথ পাঁড়ে ও সোহেল আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় আজ তিনি একথা বলেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভুঁঞা, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম, আইন ও বিচার বিভাগ মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট সরকারের নৃশংসতায় এতো মানুষকে প্রাণ দিতে হলো,গণহত্যা চালানো হলো, এর সাথে বিচারকদের নৃশংসভাবে হত্যার সেই ঘটনাটির একটি যোগসূত্র আছে। ২০০৫-২০০৬ সালে মৌলবাদী ঘটনাগুলো যতটা ঘটেছে তার থেকে অনেক বাড়িয়ে প্রচার করে আমাদের একটা তকমা দেয়ার চেষ্টা করেছে বিদেশি হস্তক্ষেপকারীরা। তারা আমাদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলিয়েছে যেন তাদের নিয়ন্ত্রিত একটি সরকার তারা এদেশে স্থাপন করতে পারে, আর এর ফলাফল ছিলো বিতাড়িত সেই ফ্যাসিবাদি সরকার।
আইন উপদেষ্টা বলেন, তাদের সবসময় চেষ্টা থাকে বাংলাদেশকে হেয় করার। একটা ঘটনাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তা নিয়ে ষড়যন্ত্র করার। তবে তাদের জানিয়ে দিতে হবে, এদেশে আর কোনোদিন কোনো মূল্যে ফ্যাসিবাদ, জঙ্গিবাদ বা উগ্রবাদকে জায়গা করে নিতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, আমরা যদি দেশের, মানুষের ও সমাজের ভালো চাই, আমাদের দেশকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ থেকে রক্ষা করতে চাই তাহলে সবার আগে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ থেকে দেশকে যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে।
জঙ্গিবাদ বা উগ্রবাদ বা অন্য কোনো কিছুর সুযোগ নিয়ে আমাদের অভ্যুত্থান ও দেশের সম্ভাবনাকে দেশি-বিদেশি কোন শক্তি যেন ব্যহত করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি এসময় নিহত বিচারকদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, আমরা সবসময় তাঁদের পাশে আছি, থাকবো। ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর নারকীয় জঙ্গি হামলার মাধ্যমে হত্যা করা হয় বাংলাদেশে বিচার বিভাগে কর্মরত সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ে’কে। জেলা জজ আদালত ২০০৬ সালের ২৯ মে ৭ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। একজন পলাতক আসামি বাদে দেশের বিভিন্ন কারাগারে ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ অবশিষ্ট ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।