ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শৃঙ্খলা নিশ্চিতসহ ভ্রমণ খাতে অনিয়ম দূর করতে : আটাব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২০:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে

বিমানের টিকিটের দাম কমানো ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ভ্রমণ খাতে অনিয়ম দূর করতে এই খাতের সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আটাব)। আটাব সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ আজ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এয়ার টিকিট বিক্রি মজুদ এবং সিন্ডিকেশন চেক করার জন্য গ্রুপ এয়ার টিকিটের জন্য একটি নির্দেশিকা থাকতে হবে। তিনি শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ৯ দফা দাবি জানান। আটাব সভাপতি বিমানের টিকিটের ক্রমবর্ধমান ব্যয় সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটি আংশিকভাবে গ্রুপ বুকিংয়ের আড়ালে টিকিট মজুদের কারণে হয়, এটা দাম বাড়ানোর কৌশল।

আরেফ অভিযোগ করেন বলেন যে, নির্দিষ্ট কিছু এয়ারলাইন্স, নির্দিষ্ট গ্রুপের ট্রাভেল এজেন্টদের সহযোগিতায়, গ্রুপ টিকিটের নীতিমালা না থাকার কারণে সিস্টেমে হেরফের করছে। অনেক ব্যক্তি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত না হয়েই টিকিট বিক্রি করছেন, সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন বলেও দাবী করেন তিনি। আরেফ বলেন, কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কাছ থেকে টিকিটের জন্য অর্থ আদায় করছে এবং তারপর উধাও হয়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আটাব-এর ৯-দফা দাবির মধ্যে রয়েছে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর জন্য যথাযথ প্রবিধান প্রণয়ন, বিমান টিকিট বিক্রিতে মজুদ এবং সিন্ডিকেশনের অবসান এবং টিকিটের তথ্যে এজেন্সির নাম, যোগাযোগ নম্বর এবং মূল্য অন্তর্ভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা। বাংলাদেশে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা বিদেশি ওয়েবসাইট ও এপিআই ব্লক করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এজেন্সির নাম, যোগাযোগের ফোন নম্বর এবং টিকিটের মূল্য উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা উচিত।

আরেফ বলেন, লাইসেন্সবিহীন ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর বা প্রতিষ্ঠানকে লগইন আইডি সরবরাহ করা থেকে ওটিএকে বিরত রাখা জরুরি, বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। তিনি ভারত, দুবাই এবং সিঙ্গাপুরের মতো তৃতীয় দেশ থেকে কেনা টিকিটধারী যাত্রীদের বাংলাদেশে বিমানে উঠতে বাধা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান, কারণ এটি অর্থের বহিঃপ্রবাহ বন্ধ করবে এবং সেসব দেশ থেকে টিকিট বিক্রি হ্রাস করবে। তিনি টিকিটে বড় অগ্রিম অর্থ প্রদানের জন্য প্রণোদনা দেওয়ার পদ্ধতি বন্ধ করার দাবি জানান।

এসব বিষয়ে আমরা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং আমাদের সুপারিশমালা দিয়েছি। এসব বিষয়ের সুরাহা না হলে এ খাতে শৃঙ্খলা থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন আরেফ। সরকার আটাবের উদ্বেগকে গুরুত্ব সহকারে নেবে আশা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, অনিয়মগুলো তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব, তবে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের দায়িত্ব। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আটাব’র সাধারণ সম্পাদক আফসিয়া জান্নাত সালেহ, সহ-সভাপতি- মুস্তাফিজুর রহমান হিরো ও মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান খান নওয়াজ এবং যুগ্ম সম্পাদক আতিকুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শৃঙ্খলা নিশ্চিতসহ ভ্রমণ খাতে অনিয়ম দূর করতে : আটাব

আপডেট সময় : ১০:২০:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

বিমানের টিকিটের দাম কমানো ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ভ্রমণ খাতে অনিয়ম দূর করতে এই খাতের সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আটাব)। আটাব সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ আজ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এয়ার টিকিট বিক্রি মজুদ এবং সিন্ডিকেশন চেক করার জন্য গ্রুপ এয়ার টিকিটের জন্য একটি নির্দেশিকা থাকতে হবে। তিনি শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ৯ দফা দাবি জানান। আটাব সভাপতি বিমানের টিকিটের ক্রমবর্ধমান ব্যয় সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটি আংশিকভাবে গ্রুপ বুকিংয়ের আড়ালে টিকিট মজুদের কারণে হয়, এটা দাম বাড়ানোর কৌশল।

আরেফ অভিযোগ করেন বলেন যে, নির্দিষ্ট কিছু এয়ারলাইন্স, নির্দিষ্ট গ্রুপের ট্রাভেল এজেন্টদের সহযোগিতায়, গ্রুপ টিকিটের নীতিমালা না থাকার কারণে সিস্টেমে হেরফের করছে। অনেক ব্যক্তি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত না হয়েই টিকিট বিক্রি করছেন, সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন বলেও দাবী করেন তিনি। আরেফ বলেন, কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কাছ থেকে টিকিটের জন্য অর্থ আদায় করছে এবং তারপর উধাও হয়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আটাব-এর ৯-দফা দাবির মধ্যে রয়েছে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর জন্য যথাযথ প্রবিধান প্রণয়ন, বিমান টিকিট বিক্রিতে মজুদ এবং সিন্ডিকেশনের অবসান এবং টিকিটের তথ্যে এজেন্সির নাম, যোগাযোগ নম্বর এবং মূল্য অন্তর্ভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা। বাংলাদেশে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা বিদেশি ওয়েবসাইট ও এপিআই ব্লক করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এজেন্সির নাম, যোগাযোগের ফোন নম্বর এবং টিকিটের মূল্য উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা উচিত।

আরেফ বলেন, লাইসেন্সবিহীন ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর বা প্রতিষ্ঠানকে লগইন আইডি সরবরাহ করা থেকে ওটিএকে বিরত রাখা জরুরি, বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। তিনি ভারত, দুবাই এবং সিঙ্গাপুরের মতো তৃতীয় দেশ থেকে কেনা টিকিটধারী যাত্রীদের বাংলাদেশে বিমানে উঠতে বাধা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান, কারণ এটি অর্থের বহিঃপ্রবাহ বন্ধ করবে এবং সেসব দেশ থেকে টিকিট বিক্রি হ্রাস করবে। তিনি টিকিটে বড় অগ্রিম অর্থ প্রদানের জন্য প্রণোদনা দেওয়ার পদ্ধতি বন্ধ করার দাবি জানান।

এসব বিষয়ে আমরা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং আমাদের সুপারিশমালা দিয়েছি। এসব বিষয়ের সুরাহা না হলে এ খাতে শৃঙ্খলা থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন আরেফ। সরকার আটাবের উদ্বেগকে গুরুত্ব সহকারে নেবে আশা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, অনিয়মগুলো তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব, তবে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের দায়িত্ব। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আটাব’র সাধারণ সম্পাদক আফসিয়া জান্নাত সালেহ, সহ-সভাপতি- মুস্তাফিজুর রহমান হিরো ও মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান খান নওয়াজ এবং যুগ্ম সম্পাদক আতিকুর রহমান।