ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

শেখার কোনো শেষ নেই : তরুণ পেসার নাহিদ রানা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫ বার পড়া হয়েছে

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সমতায় শেষ করতে দলের হয়ে বড় ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার নাহিদ রানা। সিরিজ শেষে প্রশংসায় ভাসলেও, নিজের পারফরমেন্সের দিকে আরও মনোযোগ দিতে চান তিনি।ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে আছেন রানা। বল হাতে গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র গতি দিয়েই নয়, লাইন-লেন্থ বজায় রেখে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সুনামও কুড়িয়েছেন রানা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টে খেলার সুযোগ না পেলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেই চমক দেখিয়েছেন রানা। প্রথম ইনিংসে ৬১ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। ২০০৯ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জয়ে বড় অবদান রেখেছে রানার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রানাকে ঘিরে চলছে আলোচনা। তাকে ভবিষ্যতের তারকা হিসাবে মনে করেছেন ক্রিকেটপ্রেমিরা।

রানার প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সও। তবে প্রশংসায় নিজেকের না ভাসিয়ে দিয়ে শেখার দিকে আরও মনোনিবেশ করতে চান রানা।বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় আজ রানা বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা চলছে, সেগুলোতে আমি মনোযোগ দেই না। আমি একটি বিষয়ে ফোকাস করছি, মাঠে কিভাবে পারফর্ম করতে হয় এবং কিভাবে দলের জন্য সেরাটা দিতে হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোচদের তত্ত্বাবধানে আছি যারা আমাকে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখাচ্ছেন। আমি বিভিন্ন দেশের কন্ডিশনে খেলে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখছি। টেস্ট ম্যাচের বিভিন্ন কন্ডিশনে গতি বাড়ানো ও কমানোর পারদর্শীতা দেখিয়েছেন রানা। তিনি বলেন, ‘শেখার কোন শেষ নেই। এখানে আসার পরও আমি শিখেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচে কিভাবে বল করতে হয় এবং এখানে কোন লাইন-লেন্থে বল করা উচিত। আমি এখনও শেখার প্রক্রিয়ায় আছি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার এবং বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের সাথে দেখা করেছেন রানা। ওয়ালশের সাথে তার কথোপকথনের গল্প শেয়ার করেছেন তিনি। রানা বলেন, ‘আমি তার সাথে দেখা করেছি। ওয়ালশ বলেছেন, তুমি যেখানেই থাকেন না কেন, শিখতে থাকো এবং নিজের ফিটনেস ধরে রাখো। জীবনে যেখানেই যাবে, শিখবে। শেখার কোন শেষ নেই। তিনি আরও বলেন, ‘জ্যামাইকার শেষ ম্যাচের পর কোর্টনি ওয়ালশ আবার নিজের এবং ফিটনেসের যত্ন নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন নতুন নতুন জিনিস শিখো থাকুন, এটা তোমার জন্য উপকারী হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শেখার কোনো শেষ নেই : তরুণ পেসার নাহিদ রানা

আপডেট সময় : ১০:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সমতায় শেষ করতে দলের হয়ে বড় ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার নাহিদ রানা। সিরিজ শেষে প্রশংসায় ভাসলেও, নিজের পারফরমেন্সের দিকে আরও মনোযোগ দিতে চান তিনি।ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে আছেন রানা। বল হাতে গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র গতি দিয়েই নয়, লাইন-লেন্থ বজায় রেখে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সুনামও কুড়িয়েছেন রানা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টে খেলার সুযোগ না পেলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেই চমক দেখিয়েছেন রানা। প্রথম ইনিংসে ৬১ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। ২০০৯ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জয়ে বড় অবদান রেখেছে রানার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রানাকে ঘিরে চলছে আলোচনা। তাকে ভবিষ্যতের তারকা হিসাবে মনে করেছেন ক্রিকেটপ্রেমিরা।

রানার প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সও। তবে প্রশংসায় নিজেকের না ভাসিয়ে দিয়ে শেখার দিকে আরও মনোনিবেশ করতে চান রানা।বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় আজ রানা বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা চলছে, সেগুলোতে আমি মনোযোগ দেই না। আমি একটি বিষয়ে ফোকাস করছি, মাঠে কিভাবে পারফর্ম করতে হয় এবং কিভাবে দলের জন্য সেরাটা দিতে হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোচদের তত্ত্বাবধানে আছি যারা আমাকে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখাচ্ছেন। আমি বিভিন্ন দেশের কন্ডিশনে খেলে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখছি। টেস্ট ম্যাচের বিভিন্ন কন্ডিশনে গতি বাড়ানো ও কমানোর পারদর্শীতা দেখিয়েছেন রানা। তিনি বলেন, ‘শেখার কোন শেষ নেই। এখানে আসার পরও আমি শিখেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচে কিভাবে বল করতে হয় এবং এখানে কোন লাইন-লেন্থে বল করা উচিত। আমি এখনও শেখার প্রক্রিয়ায় আছি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার এবং বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের সাথে দেখা করেছেন রানা। ওয়ালশের সাথে তার কথোপকথনের গল্প শেয়ার করেছেন তিনি। রানা বলেন, ‘আমি তার সাথে দেখা করেছি। ওয়ালশ বলেছেন, তুমি যেখানেই থাকেন না কেন, শিখতে থাকো এবং নিজের ফিটনেস ধরে রাখো। জীবনে যেখানেই যাবে, শিখবে। শেখার কোন শেষ নেই। তিনি আরও বলেন, ‘জ্যামাইকার শেষ ম্যাচের পর কোর্টনি ওয়ালশ আবার নিজের এবং ফিটনেসের যত্ন নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন নতুন নতুন জিনিস শিখো থাকুন, এটা তোমার জন্য উপকারী হবে।