ঢাকা ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে আমাদের তরুণ প্রজন্ম লড়াই-সংগ্রাম করেছে : মির্জা ফখরুল মতিঝিল আরামবাগে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ ২ জন গ্রেপ্তার সরকার জনগণকে সাথে নিয়ে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছে: পরিবেশ উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ডিপোর ‘গোপন চুক্তি’ বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ বিচার শেষ হওয়ার আগে আ. লীগের কার্যক্রম-নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে : রাশেদ খান ফলাফল ঘোষণার চব্বিশ ঘণ্টায় মোজাম্বিকে ২১ জন নিহত উত্তরবঙ্গের বৈষম্য ঘোচাতে কাজ করবে অন্তর্বর্তী সরকার : আসিফ মাহমুদ সংস্কৃতি ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসা জাগিয়ে তোলার বৈপ্লবিক উপাদান : রাহাত ফতেহ আলী খান সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় বড় দিন উদযাপিত জাহাজে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা ৭ জনকে: র‍্যাব

শেখ হাসিনা-জেল সুপারসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে জেলখানায় হত্যা মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫ বার পড়া হয়েছে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গুলি করে মো. জাভেদ নামে এক কয়েদিকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। উল্লেখযোগ আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদ, আনিসুল হক, দিলীপ বড়ুয়া, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস ও সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুর রহমানের আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহতের খালাতো ভাই ও ঘটনার সময় কারাগারে আহত কয়েদি শিকদার লিটন। আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ভুক্তোভোগী মারা গেছেন কিনা ও এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়েছে কিনা এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী শিকদার লিটন বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট বেলা ১২টার দিকে কেরানিগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা কয়েদিরা আন্দোলন শুরু করে। এ সময় এজাহারভুক্ত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সারাদেশের মতো দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে কয়েদিদের ওপর গুলিববর্ষণ করে। গুলিবর্ষণে অনেক কয়েদি আহত হয় এবং কয়েদি মো. জাভেদ কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ সময় কারাগারে থাকা নিহতের খালাতো ভাই সাংবাদিক শিকদার লিটন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে বাদীর পরিচয়ে আরো বলা হয়, বাদী লিটন পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি ২০১৯ সালে আলোচিত ফরিদপুরে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাচার চক্রের মূলহোতা শেখ হাসিনার বেয়াই এবং সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের সহযোগী ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান দোলনের বিরুদ্ধে নিউজ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা দিয়ে ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর কারাগারে পাঠানো হয়। ৫ আগস্টে গুলিবর্ষণে তিনিও আহত হন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শেখ হাসিনা-জেল সুপারসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে জেলখানায় হত্যা মামলা

আপডেট সময় : ১০:২৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গুলি করে মো. জাভেদ নামে এক কয়েদিকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। উল্লেখযোগ আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদ, আনিসুল হক, দিলীপ বড়ুয়া, মহিবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস ও সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজুর রহমানের আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহতের খালাতো ভাই ও ঘটনার সময় কারাগারে আহত কয়েদি শিকদার লিটন। আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ভুক্তোভোগী মারা গেছেন কিনা ও এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়েছে কিনা এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী শিকদার লিটন বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট বেলা ১২টার দিকে কেরানিগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা কয়েদিরা আন্দোলন শুরু করে। এ সময় এজাহারভুক্ত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সারাদেশের মতো দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে কয়েদিদের ওপর গুলিববর্ষণ করে। গুলিবর্ষণে অনেক কয়েদি আহত হয় এবং কয়েদি মো. জাভেদ কেন্দ্রীয় কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ সময় কারাগারে থাকা নিহতের খালাতো ভাই সাংবাদিক শিকদার লিটন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে বাদীর পরিচয়ে আরো বলা হয়, বাদী লিটন পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি ২০১৯ সালে আলোচিত ফরিদপুরে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাচার চক্রের মূলহোতা শেখ হাসিনার বেয়াই এবং সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশারফ হোসেনের সহযোগী ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান দোলনের বিরুদ্ধে নিউজ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা দিয়ে ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর কারাগারে পাঠানো হয়। ৫ আগস্টে গুলিবর্ষণে তিনিও আহত হন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।