ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

সংখ্যালঘুদের বিষয়ে তথ্য পেতে ধর্মীয় নেতাদের সাহায্য চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো হামলা হলে সঠিক তথ্য সংগ্রহে ধর্মীয় নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপে সূচনা বক্তৃতায় তিনি বলেন, তথ্য সরবরাহকারীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন সেজন্য কিভাবে নিরাপদে তথ্য সংগ্রহ করা যায় তা জানতে আজকের সংলাপে আসার আহ্বান জানিয়েছি।

জুলাই বিপ্লবের পর ৮ আগস্ট বিদেশ থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছে ড. ইউনূস বলেছিলেন, মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা সবাই একটি পরিবার এবং আমরা একই পরিবারের সদস্য। আমরা একে অপরের শত্রু নই। আমরা সবাই বাংলাদেশি। পরে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি উঠেছিল, যা আমাকে দুঃখ দিয়েছে।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয় এবং সর্বস্তরের মানুষ এতে যোগ দিয়ে দুর্গাপূজাকে জাতীয় উৎসবে পরিণত করে। এখন সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়টি আবারও উঠে এসেছে এবং বিদেশি গণমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, বাস্তবতা ও বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মধ্যে তথ্যের ফারাক রয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটলে অবিলম্বে এ ধরনের ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। প্রধান উপদেষ্টা এ ধরনের ঘটনা রোধে একটি পরিবেশ সৃষ্টির ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক প্রতিকার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয় আমি যা বলেছি, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ তাতে একমত। সংলাপে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা যোগ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সংখ্যালঘুদের বিষয়ে তথ্য পেতে ধর্মীয় নেতাদের সাহায্য চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১১:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো হামলা হলে সঠিক তথ্য সংগ্রহে ধর্মীয় নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপে সূচনা বক্তৃতায় তিনি বলেন, তথ্য সরবরাহকারীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন সেজন্য কিভাবে নিরাপদে তথ্য সংগ্রহ করা যায় তা জানতে আজকের সংলাপে আসার আহ্বান জানিয়েছি।

জুলাই বিপ্লবের পর ৮ আগস্ট বিদেশ থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছে ড. ইউনূস বলেছিলেন, মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা সবাই একটি পরিবার এবং আমরা একই পরিবারের সদস্য। আমরা একে অপরের শত্রু নই। আমরা সবাই বাংলাদেশি। পরে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি উঠেছিল, যা আমাকে দুঃখ দিয়েছে।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয় এবং সর্বস্তরের মানুষ এতে যোগ দিয়ে দুর্গাপূজাকে জাতীয় উৎসবে পরিণত করে। এখন সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়টি আবারও উঠে এসেছে এবং বিদেশি গণমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, বাস্তবতা ও বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মধ্যে তথ্যের ফারাক রয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটলে অবিলম্বে এ ধরনের ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। প্রধান উপদেষ্টা এ ধরনের ঘটনা রোধে একটি পরিবেশ সৃষ্টির ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক প্রতিকার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয় আমি যা বলেছি, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ তাতে একমত। সংলাপে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা যোগ দেন।