ঢাকা ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নরের সাক্ষাৎ নগরীর যানজট নিরসনে হকার ব্যবস্থাপনা জরুরি : চসিক মেয়র পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন টক-শো দেখেন, কেমন একটা অস্থিরতা চলছে দেশে আগামী প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ারও আহ্বান: দুদক চেয়ারম্যান ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করা যাবে না রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: জাপান রাষ্ট্রদূত দ্রুত ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করবে টাইগাররা: সালাহউদ্দিন চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে: পিডিবি চেয়ারম্যান সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ রাজধানীর ফকিরাপুলে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়ের অন্যতম বার্তা ছিল বৈষম্যহীন রাষ্ট্র নির্মাণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৩:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, সময়ের বিবর্তনে দেশ অনেক এগোলেও বিজয়ের প্রত্যাশা অনেক ক্ষেত্রে পদদলিত হয়েছে। সেই পদদলিত প্রত্যাশা পূরণে জুলাই বিপ্লব নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। আজ সোমবার বিকেলে বিজয় দিবস উপলক্ষে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র উদ্যোগে ‘বিজয় দিবসের প্রত্যাশা-বৈষম্যহীন রাষ্ট্রকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আইডিইবি’র কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. কবীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম।হোসেন জিল্লুর রহমান আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়ের অন্যতম বার্তা ছিল বৈষম্যহীন রাষ্ট্র নির্মাণ। তবে, আমরা বিজয় দিবসের চেতনাকে অনেক ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকতার গন্ডিতে সীমাবদ্ধ করায় এখানে কায়েমী স্বার্থ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার, মেধাচর্চা, ন্যায্য শ্রম মঞ্জুরির আকাংখা এখনো অধরাই রয়ে গেছে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে সত্যিকার অর্থে এসব আকাংখা বাস্তবায়নে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণের অন্যতম স্টেকহোল্ডার উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিল্প উৎপাদনসহ সেবাখাতে বিরাজমান বৈষম্য দূরীকরণে যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে সম্মানজক পর্যায়ে নিতে পারলে বিজয় দিবসের প্রত্যাশা পূরণ হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বহিঃবিশ্ব বাংলাদেশকে অন্য চোখে দেখতে শুরু করেছে। এ সম্মান ধরে রাখার জন্য তিনি প্রত্যেককে দায়িত্বশীল হবার আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়ের অন্যতম বার্তা ছিল বৈষম্যহীন রাষ্ট্র নির্মাণ

আপডেট সময় : ০১:১৩:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, সময়ের বিবর্তনে দেশ অনেক এগোলেও বিজয়ের প্রত্যাশা অনেক ক্ষেত্রে পদদলিত হয়েছে। সেই পদদলিত প্রত্যাশা পূরণে জুলাই বিপ্লব নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। আজ সোমবার বিকেলে বিজয় দিবস উপলক্ষে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র উদ্যোগে ‘বিজয় দিবসের প্রত্যাশা-বৈষম্যহীন রাষ্ট্রকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আইডিইবি’র কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. কবীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম।হোসেন জিল্লুর রহমান আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়ের অন্যতম বার্তা ছিল বৈষম্যহীন রাষ্ট্র নির্মাণ। তবে, আমরা বিজয় দিবসের চেতনাকে অনেক ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকতার গন্ডিতে সীমাবদ্ধ করায় এখানে কায়েমী স্বার্থ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার, মেধাচর্চা, ন্যায্য শ্রম মঞ্জুরির আকাংখা এখনো অধরাই রয়ে গেছে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে সত্যিকার অর্থে এসব আকাংখা বাস্তবায়নে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণের অন্যতম স্টেকহোল্ডার উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিল্প উৎপাদনসহ সেবাখাতে বিরাজমান বৈষম্য দূরীকরণে যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে সম্মানজক পর্যায়ে নিতে পারলে বিজয় দিবসের প্রত্যাশা পূরণ হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বহিঃবিশ্ব বাংলাদেশকে অন্য চোখে দেখতে শুরু করেছে। এ সম্মান ধরে রাখার জন্য তিনি প্রত্যেককে দায়িত্বশীল হবার আহ্বান জানান।