ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সবার মতামতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র করতে চাই : প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বচ্ছতা শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে : দেবপ্রিয় ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ঐক্য জাতির মধ্যে যেন বিভেদ সৃষ্টি না হয় পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কিনবে সরকার পরিবারসহ সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের ৭৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স এবারের বিপিএলকে জাঁকজমক করেছে : আশরাফুল জুলাই অভ্যুত্থানের ৮৩৪ জন শহীদের গেজেট প্রকাশ বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে সব দল ঐকমত্যে পৌঁছেছে : আসিফ নজরুল ‘গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি’ ঘোষিত

অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে সব দল ঐকমত্যে পৌঁছেছে : আসিফ নজরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ২ বার পড়া হয়েছে

গণঅভ্যুত্থানে সব দলের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ বিষয়ে রাজনৈতিকদলগুলো ঐকমত্যে পোঁছেছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আসিফ নজরুল বলেন, ‘সবার অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জুলাই ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে। এতে সময় আরেকটু বেশি লাগবে, তবে অহেতুক কালক্ষেপণ যেন না হয়, সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’তিনি আরও জানান, ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরির একটি কর্মপরিকল্পনা করা হবে।

আসিফ নজরুল বলেছেন, মতবিনিময়ে যারা অংশ নিয়েছেন তারা বলেছেন ঐকমত্য পোষণ করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত করার জন্য সময় লাগুক, তাড়াহুড়া যেন না করা হয়, আবার অযথা কালক্ষেপণ যেন না করা হয়। কয়েকজন প্রস্তাব করেছেন এই লক্ষ্যে সংগঠিতভাবে আলোচনা করার জন্য যেন একটি কমিটি গঠন করা হয়, সেই প্রস্তাবও এসেছে। তিনি বলেন, ‘সব প্রস্তাব অ্যাক্টিভলি বিবেচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আসিফ নজরুল বলেন, ‘ঘোষণাপত্র নিয়ে কতটা সময় নেওয়া যায়, সেটি আলোচনা করা হয়েছে। তবে চেষ্টা করা হয়েছে যেন অযথা কালবিলম্ব না হয়, সময়ক্ষেপণ না হয়। সবাই একমত হয়েছেন যে, সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরও নিবিড় আলোচনার করে এ ধরনের একটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত হওয়া উচিত।

সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, এই প্রক্রিয়ায় আমরা সফল হবো। গণঅভ্যুত্থানকালে অটুট জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছি সেই ঐক্যের ন্যারেটিভ সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রণয়ন করতে পারব সেই আশাবাদ ব্যক্ত করে সভা শেষ হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনও রকম দূরত্ব সৃষ্টি হয়নি। শুধুমাত্র কী প্রক্রিয়ায় আলোচনা করা হবে, সেটা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত এসেছে। বিভিন্ন মতামতকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা কোথাও অনৈক্যের সুর দেখি না। বরং সবাই মিলে যেন কাজ করা যায়, সবার মতামত যাতে প্রতিফলিত হয়, আমরা মনে করি এটি ঐক্যেকে আরও প্রতি সুদৃঢ় করবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এটি নিয়ে আরও আলোচনা হতে পারে, কমিটি হতে পারে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হতে পারে। সেগুলোর বিষয় আমরা অ্যাক্টিভলি বিবেচনা করে ওনাদের পরামর্শের ভিত্তিতে একটা কর্মকৌশল ঠিক করব। বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল ও অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিকদল ও অংশীজনদের মধ্যে ১৭ জন বৈঠকে তাদের মতামত তুলে ধরেন। গণঅভ্যুত্থানে সব দলের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ বিষয়ে রাজনৈতিকদলগুলো ঐকমত্যে পোঁছেছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আসিফ নজরুল বলেন, ‘সবার অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জুলাই ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে। এতে সময় আরেকটু বেশি লাগবে, তবে অহেতুক কালক্ষেপণ যেন না হয়, সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও জানান, ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরির একটি কর্মপরিকল্পনা করা হবে। আসিফ নজরুল বলেছেন, মতবিনিময়ে যারা অংশ নিয়েছেন তারা বলেছেন ঐকমত্য পোষণ করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত করার জন্য সময় লাগুক, তাড়াহুড়া যেন না করা হয়, আবার অযথা কালক্ষেপণ যেন না করা হয়।

কয়েকজন প্রস্তাব করেছেন এই লক্ষ্যে সংগঠিতভাবে আলোচনা করার জন্য যেন একটি কমিটি গঠন করা হয়, সেই প্রস্তাবও এসেছে। তিনি বলেন, ‘সব প্রস্তাব অ্যাক্টিভলি বিবেচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আসিফ নজরুল বলেন, ‘ঘোষণাপত্র নিয়ে কতটা সময় নেওয়া যায়, সেটি আলোচনা করা হয়েছে। তবে চেষ্টা করা হয়েছে যেন অযথা কালবিলম্ব না হয়, সময়ক্ষেপণ না হয়। সবাই একমত হয়েছেন যে, সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরও নিবিড় আলোচনার করে এ ধরনের একটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত হওয়া উচিত। সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, এই প্রক্রিয়ায় আমরা সফল হবো। গণঅভ্যুত্থানকালে অটুট জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছি সেই ঐক্যের ন্যারেটিভ সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রণয়ন করতে পারব সেই আশাবাদ ব্যক্ত করে সভা শেষ হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনও রকম দূরত্ব সৃষ্টি হয়নি। শুধুমাত্র কী প্রক্রিয়ায় আলোচনা করা হবে, সেটা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত এসেছে। বিভিন্ন মতামতকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা কোথাও অনৈক্যের সুর দেখি না। বরং সবাই মিলে যেন কাজ করা যায়, সবার মতামত যাতে প্রতিফলিত হয়, আমরা মনে করি এটি ঐক্যেকে আরও প্রতি সুদৃঢ় করবে। তিনি আরও বলেন, ‘এটি নিয়ে আরও আলোচনা হতে পারে, কমিটি হতে পারে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হতে পারে। সেগুলোর বিষয় আমরা অ্যাক্টিভলি বিবেচনা করে ওনাদের পরামর্শের ভিত্তিতে একটা কর্মকৌশল ঠিক করব।’বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল ও অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিকদল ও অংশীজনদের মধ্যে ১৭ জন বৈঠকে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে সব দল ঐকমত্যে পৌঁছেছে : আসিফ নজরুল

আপডেট সময় : ১১:২৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানে সব দলের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ বিষয়ে রাজনৈতিকদলগুলো ঐকমত্যে পোঁছেছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আসিফ নজরুল বলেন, ‘সবার অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জুলাই ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে। এতে সময় আরেকটু বেশি লাগবে, তবে অহেতুক কালক্ষেপণ যেন না হয়, সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’তিনি আরও জানান, ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরির একটি কর্মপরিকল্পনা করা হবে।

আসিফ নজরুল বলেছেন, মতবিনিময়ে যারা অংশ নিয়েছেন তারা বলেছেন ঐকমত্য পোষণ করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত করার জন্য সময় লাগুক, তাড়াহুড়া যেন না করা হয়, আবার অযথা কালক্ষেপণ যেন না করা হয়। কয়েকজন প্রস্তাব করেছেন এই লক্ষ্যে সংগঠিতভাবে আলোচনা করার জন্য যেন একটি কমিটি গঠন করা হয়, সেই প্রস্তাবও এসেছে। তিনি বলেন, ‘সব প্রস্তাব অ্যাক্টিভলি বিবেচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আসিফ নজরুল বলেন, ‘ঘোষণাপত্র নিয়ে কতটা সময় নেওয়া যায়, সেটি আলোচনা করা হয়েছে। তবে চেষ্টা করা হয়েছে যেন অযথা কালবিলম্ব না হয়, সময়ক্ষেপণ না হয়। সবাই একমত হয়েছেন যে, সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরও নিবিড় আলোচনার করে এ ধরনের একটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত হওয়া উচিত।

সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, এই প্রক্রিয়ায় আমরা সফল হবো। গণঅভ্যুত্থানকালে অটুট জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছি সেই ঐক্যের ন্যারেটিভ সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রণয়ন করতে পারব সেই আশাবাদ ব্যক্ত করে সভা শেষ হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনও রকম দূরত্ব সৃষ্টি হয়নি। শুধুমাত্র কী প্রক্রিয়ায় আলোচনা করা হবে, সেটা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত এসেছে। বিভিন্ন মতামতকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা কোথাও অনৈক্যের সুর দেখি না। বরং সবাই মিলে যেন কাজ করা যায়, সবার মতামত যাতে প্রতিফলিত হয়, আমরা মনে করি এটি ঐক্যেকে আরও প্রতি সুদৃঢ় করবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এটি নিয়ে আরও আলোচনা হতে পারে, কমিটি হতে পারে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হতে পারে। সেগুলোর বিষয় আমরা অ্যাক্টিভলি বিবেচনা করে ওনাদের পরামর্শের ভিত্তিতে একটা কর্মকৌশল ঠিক করব। বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল ও অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিকদল ও অংশীজনদের মধ্যে ১৭ জন বৈঠকে তাদের মতামত তুলে ধরেন। গণঅভ্যুত্থানে সব দলের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘জুলাই ঘোষণাপত্রের’ বিষয়ে রাজনৈতিকদলগুলো ঐকমত্যে পোঁছেছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আসিফ নজরুল বলেন, ‘সবার অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জুলাই ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে। এতে সময় আরেকটু বেশি লাগবে, তবে অহেতুক কালক্ষেপণ যেন না হয়, সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরও জানান, ঐকমত্যের ভিত্তিতেই জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরির একটি কর্মপরিকল্পনা করা হবে। আসিফ নজরুল বলেছেন, মতবিনিময়ে যারা অংশ নিয়েছেন তারা বলেছেন ঐকমত্য পোষণ করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত করার জন্য সময় লাগুক, তাড়াহুড়া যেন না করা হয়, আবার অযথা কালক্ষেপণ যেন না করা হয়।

কয়েকজন প্রস্তাব করেছেন এই লক্ষ্যে সংগঠিতভাবে আলোচনা করার জন্য যেন একটি কমিটি গঠন করা হয়, সেই প্রস্তাবও এসেছে। তিনি বলেন, ‘সব প্রস্তাব অ্যাক্টিভলি বিবেচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আসিফ নজরুল বলেন, ‘ঘোষণাপত্র নিয়ে কতটা সময় নেওয়া যায়, সেটি আলোচনা করা হয়েছে। তবে চেষ্টা করা হয়েছে যেন অযথা কালবিলম্ব না হয়, সময়ক্ষেপণ না হয়। সবাই একমত হয়েছেন যে, সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে আরও নিবিড় আলোচনার করে এ ধরনের একটি ডকুমেন্ট প্রস্তুত হওয়া উচিত। সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, এই প্রক্রিয়ায় আমরা সফল হবো। গণঅভ্যুত্থানকালে অটুট জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছি সেই ঐক্যের ন্যারেটিভ সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রণয়ন করতে পারব সেই আশাবাদ ব্যক্ত করে সভা শেষ হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনও রকম দূরত্ব সৃষ্টি হয়নি। শুধুমাত্র কী প্রক্রিয়ায় আলোচনা করা হবে, সেটা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মতামত এসেছে। বিভিন্ন মতামতকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা কোথাও অনৈক্যের সুর দেখি না। বরং সবাই মিলে যেন কাজ করা যায়, সবার মতামত যাতে প্রতিফলিত হয়, আমরা মনে করি এটি ঐক্যেকে আরও প্রতি সুদৃঢ় করবে। তিনি আরও বলেন, ‘এটি নিয়ে আরও আলোচনা হতে পারে, কমিটি হতে পারে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হতে পারে। সেগুলোর বিষয় আমরা অ্যাক্টিভলি বিবেচনা করে ওনাদের পরামর্শের ভিত্তিতে একটা কর্মকৌশল ঠিক করব।’বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিকদল ও অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিকদল ও অংশীজনদের মধ্যে ১৭ জন বৈঠকে তাদের মতামত তুলে ধরেন।