ঢাকা ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

আগামী বছরের জানুয়ারিতে যমুনা রেল সেতু চালু হবে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ ৯ বার পড়া হয়েছে

যমুনা নদীর উপর বহুল প্রতীক্ষিত ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলওয়ে সেতুটি ২০২৫ সালের জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান আজ বলেন, ‘আমরা যমুনা নদীর উপর ডেডিকেটেড ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। তিনি বলেন, ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ সেতু, যা হবে দেশের বৃহত্তম ডেডিকেটেড রেল সেতু। ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ডব্লিউডি-১ এবং ডব্লিউডি-২ সহ দুটি প্যাকেজে এ সেতু নির্মান করা হয়েছে।

রহমান জানান, ‘সেতুটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, যার মধ্যে নির্মাণ কাজের জন্য ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং অন্যান্য খরচ মেটানোর জন্য ৩,০০০ কোটি টাকা। কিন্তু নির্মানে আমাদের সাশ্রয় হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, মূল নির্মাণ কাজে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা)। তারা দিয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা, বাকি টাকার যোগান দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬ সালে নেওয়া এ প্রকল্পের প্রধান কাজগুলো যৌথভাবে করছে জাপানের দুটি সংস্থা।

গ্যাস পাইপলাইন সুবিধা সম্বলিত ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক সেতুটি বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রায় তিনশ মিটার উজানে নির্মিত হচ্ছে, যেখানে একটি একক রেললাইন রয়েছে।২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু প্রকল্পটি পাস করে এবং প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের ভৌত কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের আগস্টে এবং সেতুর ভিত্তি কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে।প্রকল্পের বিবরণে বলা হয়েছে, এ রেলসেতু দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ করবে। সেতুটি চালু হলে উত্তর ও দেশের বাকি অংশের মধ্যে ডেডিকেটেড রেলওয়ে নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে।

এতে বলা হয়েছে, রেলওয়ে সেতুটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) বৃদ্ধিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে আরও বলা হয়েছে, রেলওয়ে সেতুটি রাজধানী ও দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে আরও বেশি ট্রেন পরিচালনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের (বিআর) সক্ষমতা বাড়াবে। এ ছাড়া ট্রেনের বিলম্ব কমাতেও সহায়ক হবে। নতুন রেল সেতুতে দৈনিক ৮৮টি ট্রেন চলাচলের ক্ষমতা থাকবে, যেখানে বঙ্গবন্ধু সেতুর সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজে দিনে সর্বোচ্চ ২২টি ট্রেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। এছাড়াও সব দিক বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি রেলসেতু নির্মাণ এবং আরেকটি জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণের জন্য দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আগামী বছরের জানুয়ারিতে যমুনা রেল সেতু চালু হবে

আপডেট সময় : ১০:২৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

যমুনা নদীর উপর বহুল প্রতীক্ষিত ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলওয়ে সেতুটি ২০২৫ সালের জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান আজ বলেন, ‘আমরা যমুনা নদীর উপর ডেডিকেটেড ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। তিনি বলেন, ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ সেতু, যা হবে দেশের বৃহত্তম ডেডিকেটেড রেল সেতু। ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ডব্লিউডি-১ এবং ডব্লিউডি-২ সহ দুটি প্যাকেজে এ সেতু নির্মান করা হয়েছে।

রহমান জানান, ‘সেতুটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, যার মধ্যে নির্মাণ কাজের জন্য ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং অন্যান্য খরচ মেটানোর জন্য ৩,০০০ কোটি টাকা। কিন্তু নির্মানে আমাদের সাশ্রয় হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, মূল নির্মাণ কাজে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা)। তারা দিয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা, বাকি টাকার যোগান দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬ সালে নেওয়া এ প্রকল্পের প্রধান কাজগুলো যৌথভাবে করছে জাপানের দুটি সংস্থা।

গ্যাস পাইপলাইন সুবিধা সম্বলিত ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক সেতুটি বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রায় তিনশ মিটার উজানে নির্মিত হচ্ছে, যেখানে একটি একক রেললাইন রয়েছে।২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু প্রকল্পটি পাস করে এবং প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের ভৌত কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের আগস্টে এবং সেতুর ভিত্তি কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে।প্রকল্পের বিবরণে বলা হয়েছে, এ রেলসেতু দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ করবে। সেতুটি চালু হলে উত্তর ও দেশের বাকি অংশের মধ্যে ডেডিকেটেড রেলওয়ে নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে।

এতে বলা হয়েছে, রেলওয়ে সেতুটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) বৃদ্ধিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে আরও বলা হয়েছে, রেলওয়ে সেতুটি রাজধানী ও দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে আরও বেশি ট্রেন পরিচালনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের (বিআর) সক্ষমতা বাড়াবে। এ ছাড়া ট্রেনের বিলম্ব কমাতেও সহায়ক হবে। নতুন রেল সেতুতে দৈনিক ৮৮টি ট্রেন চলাচলের ক্ষমতা থাকবে, যেখানে বঙ্গবন্ধু সেতুর সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজে দিনে সর্বোচ্চ ২২টি ট্রেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। এছাড়াও সব দিক বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি রেলসেতু নির্মাণ এবং আরেকটি জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণের জন্য দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।