ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আগামী রমজান মাসে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে সকলে মিলে কাজ করেই প্লাস্টিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে ইউপিডিএফ’র গোপন আস্তানার সন্ধান, নিহত ১ আসলে আওয়ামী লীগ বিদ্যুৎ খাতকে একটা ব্যবসার খাত বানিয়েছিল : মির্জা ফখরুল গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যা বেড়েছে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সরকারি দপ্তরে তদবির বন্ধে সচিবদের উদ্দেশে তথ্য উপদেষ্টার আধা-সরকারিপত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ ঘোষণা রাজনৈতিক বিভেদ অপশক্তির রসদ জোগাবে : খেলাফত মজলিস ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করেছে

ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য বেতনস্কেল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : ধর্ম উপদেষ্টা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য বেতনস্কেল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে এবং তারা নিবেদিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তিনি জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে বেতনস্কেলটি তৈরি করে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন নিয়ে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। আজ দুপুরে পটুয়াখালীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে মসজিদ-ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের শিক্ষক, মসজিদের খতিব ও ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিনরা সমাজের অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। সমাজের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত তাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, যুগ যুগ ধরে ইমাম-মুয়াজ্জিনরা অবহেলিত হয়ে আসছেন। মসজিদ-মাদরাসার ফান্ডে পর্যাপ্ত টাকা থাকলেও তাদেরকে উপযুক্ত বেতন-ভাতা দেওয়া হয় না। এ কারণে ২০১৫ সালের বেতনস্কেলকে সামনে রেখে তাদের জন্য একটি একীভূত বেতন কাঠামো তৈরিতে কাজ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ড. খালিদ হোসেন বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের চাকরির নিশ্চয়তা থাকা দরকার। একজনের কথাতে ইমাম নিয়োগ দেওয়া হবে, আরেকজনের কথাতে বরখাস্ত করা হবে- এ সিস্টেম চলতে পারে না। কোন ইমামের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে, সেটা পদ্ধতিগতভাবে নিষ্পত্তি করতে হবে।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে সার্কুলার জারি করা যায় কি না, সেটা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। তিনি আরো বলেন, সমাজে যদি আলেম-ওলামাদের দাম না থাকে, তাহলে আমাদেরও দাম থাকার কথা না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গুরুত্ব তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন, এই মুহূর্তে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। জুলাই বিপ্লবের পরে কিছু জায়গায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কিংবা অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায়ের বাড়ি ও উপাসনালয়ে কিছু হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অনেক বিদেশি রাষ্ট্র আমার অফিসে এসেও উদ্বেগ জানিয়েছে।

আমি তাদেরকে বলেছি, এ ঘটনাগুলো কোনরূপ ধর্মীয় উগ্রবাদ কিংবা সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতা থেকে হয়নি। এর পিছনে রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তি স্বার্থ জড়িত আছে।তিনি বলেন, এদেশে নানা ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। আমাদের সংবিধানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকার সমান। এখানে আবহমানকাল থেকেই সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য বিরাজ করছে। এই সৌহার্দ্য যারা নষ্ট করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।

দুর্নীতি প্রতিরোধে ইমামদের ভূমিকা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, এদেশে প্রতি টেবিলে টেবিলে পার্সেন্টেজ দিতে হয়। তিনি দুর্নীতির মানসিকতা বদলে দেশের সেবা করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পটুয়াখালী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক আসমা আখতারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গর্ভনর সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী ও মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ ও উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য বেতনস্কেল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : ধর্ম উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১১:৩৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য বেতনস্কেল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে এবং তারা নিবেদিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তিনি জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে বেতনস্কেলটি তৈরি করে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন নিয়ে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। আজ দুপুরে পটুয়াখালীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে মসজিদ-ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের শিক্ষক, মসজিদের খতিব ও ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিনরা সমাজের অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। সমাজের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত তাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, যুগ যুগ ধরে ইমাম-মুয়াজ্জিনরা অবহেলিত হয়ে আসছেন। মসজিদ-মাদরাসার ফান্ডে পর্যাপ্ত টাকা থাকলেও তাদেরকে উপযুক্ত বেতন-ভাতা দেওয়া হয় না। এ কারণে ২০১৫ সালের বেতনস্কেলকে সামনে রেখে তাদের জন্য একটি একীভূত বেতন কাঠামো তৈরিতে কাজ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ড. খালিদ হোসেন বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের চাকরির নিশ্চয়তা থাকা দরকার। একজনের কথাতে ইমাম নিয়োগ দেওয়া হবে, আরেকজনের কথাতে বরখাস্ত করা হবে- এ সিস্টেম চলতে পারে না। কোন ইমামের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে, সেটা পদ্ধতিগতভাবে নিষ্পত্তি করতে হবে।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে সার্কুলার জারি করা যায় কি না, সেটা নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। তিনি আরো বলেন, সমাজে যদি আলেম-ওলামাদের দাম না থাকে, তাহলে আমাদেরও দাম থাকার কথা না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গুরুত্ব তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন, এই মুহূর্তে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। জুলাই বিপ্লবের পরে কিছু জায়গায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কিংবা অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায়ের বাড়ি ও উপাসনালয়ে কিছু হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অনেক বিদেশি রাষ্ট্র আমার অফিসে এসেও উদ্বেগ জানিয়েছে।

আমি তাদেরকে বলেছি, এ ঘটনাগুলো কোনরূপ ধর্মীয় উগ্রবাদ কিংবা সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতা থেকে হয়নি। এর পিছনে রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তি স্বার্থ জড়িত আছে।তিনি বলেন, এদেশে নানা ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। আমাদের সংবিধানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকার সমান। এখানে আবহমানকাল থেকেই সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য বিরাজ করছে। এই সৌহার্দ্য যারা নষ্ট করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।

দুর্নীতি প্রতিরোধে ইমামদের ভূমিকা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, এদেশে প্রতি টেবিলে টেবিলে পার্সেন্টেজ দিতে হয়। তিনি দুর্নীতির মানসিকতা বদলে দেশের সেবা করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পটুয়াখালী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক আসমা আখতারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গর্ভনর সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী ও মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ ও উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ।