ইসরাইলি হামলায় গাজা হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত: বেসামরিক প্রতিরক্ষা

- আপডেট সময় : ১১:০৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ২ বার পড়া হয়েছে

গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে একটি করিডোর দখল করার পর রোববার ভোরে ইসরাইলি বিমান হামলায় একটি হাসপাতালের কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইল তাদের সামরিক হামলা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। গাজা সিটি থেকে এএফপি এ খবর জানায়।হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এএফপিকে জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরাইলি বিমান বাহিনী মধ্যরাতের পরে গাজা সিটির আল-আহলি হাসপাতালের একটি ভবন, যা ব্যাপটিস্ট বা আহলি আরব হাসপাতাল নামেও পরিচিত সেটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী রোগী, আহত ও তাদের সহযোগীদের ভবনটি খালি করার সতর্কবার্তা দেওয়ার কয়েক মিনিট পরেই বিমান হামলা চালানো হয়।
এতে আরো বলা হয়েছে, ‘বোমা হামলার ফলে সার্জারি ভবন ও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে।’৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে সুরক্ষিত হাসপাতালগুলো বারবার ইসরাইলি হামলার শিকার হয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গ তৈরির এবং সেনাবাহিনী ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও পরিচালনার জন্য চিকিৎসা স্থাপনা কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে।
তবে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, আল-আহলি হাসপাতালটির গাড়ি পার্কিংয়ে একটি বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ওই হামলার ফলে বহু মানুষ নিহত হয়।হামাসের প্রেস অফিস রোববার জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী আল-আহলিসহ গাজার হাসপাতালগুলোকে ‘বোমাবর্ষণ, অগ্নিসংযোগ (এবং) ধ্বংস’ অন্যথায় ‘অকার্যকর’ করে তুলেছে। ২৮ মার্চ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে ২২টি আংশিকভাবে কার্যকর ছিল।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপির এক হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলের ওপর হামাসের আক্রমণের পর গাজা যুদ্ধ শুরু হয়, যার ফলে ১,২১৮ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে, ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ১,৫৬৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার ফলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মোট মৃতের সংখ্যা ৫০,৯৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।