ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র সংস্কার ও বিচারের আগে নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে: জামায়াত আমির এসএসসি পরীক্ষার তৃতীয় দিন অনুপস্থিত ২৭ হাজার ৯০৫ জন ‘র’ প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না: হাসনাত ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ ইউক্রেনের দনিপ্রোতে রাশিয়ার হামলায় দুইজন নিহত: গভর্নর বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বিএনপি সন্তুষ্ট নয়: মির্জা ফখরুল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ ঢাকায় এসেছেন

এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন : ডিসিসিআই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ হতে বেসরকারিখাতকে সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে। তবে দেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা বিবেচনায় নিয়ে এলডিসি উত্তরণের সময় পেছানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব হলে, সরকার আরো কিছুটা সময় নিতে পারে । আজ শনিবার ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের সম-সাময়িক অর্থনীতির বিভিন্ন দিক উপস্থাপনকালে একথা বলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি তাসকীন আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী ও সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বেসরকারি খাতের পক্ষ হতে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দ্রুত সম্পন্ন করবেন বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যদি সরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়, তাহলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরো আশাবাদী হবেন।

এতে বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক ও করহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এবং শিল্পে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির উদ্বেগ প্রকাশ করে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মূল কারণ সীমিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানি ব্যয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা ও উচ্চ সুদহার। এসব বিবেচনায় আমাদের আরো সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এছাড়া বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অর্থনীতির বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোকে বিবেচনায় নেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ অর্থনীতির ১২টি বিষয়বস্তুর উপর বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ২০২৫ সালে ডিসিসিআই’র কর্মপরিকল্পনার উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, ঢাকা চেম্বার এ বছর সুদের হার কমানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করবে।

তিনি বলেন, এমতাস্থায় বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমরা কতটা প্রস্তুত, তা নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য অংশীজনদের মাঝে বিশদ আলোচনার ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরামর্শ দেন। এছাড়া অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সরকারী ব্যয়ে কৃচ্ছতা সাধনের কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে- ডিসিসিআই সভাপতি সরকারকে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করা এবং এডিপি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার পাশাপাশি সময়মত প্রকল্প সমাপ্তিতে নজরদারি বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন : ডিসিসিআই

আপডেট সময় : ১২:০১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ হতে বেসরকারিখাতকে সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে। তবে দেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা বিবেচনায় নিয়ে এলডিসি উত্তরণের সময় পেছানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব হলে, সরকার আরো কিছুটা সময় নিতে পারে । আজ শনিবার ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের সম-সাময়িক অর্থনীতির বিভিন্ন দিক উপস্থাপনকালে একথা বলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি তাসকীন আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী ও সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বেসরকারি খাতের পক্ষ হতে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দ্রুত সম্পন্ন করবেন বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যদি সরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়, তাহলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরো আশাবাদী হবেন।

এতে বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক ও করহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এবং শিল্পে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির উদ্বেগ প্রকাশ করে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মূল কারণ সীমিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানি ব্যয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা ও উচ্চ সুদহার। এসব বিবেচনায় আমাদের আরো সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এছাড়া বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অর্থনীতির বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোকে বিবেচনায় নেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ অর্থনীতির ১২টি বিষয়বস্তুর উপর বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ২০২৫ সালে ডিসিসিআই’র কর্মপরিকল্পনার উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, ঢাকা চেম্বার এ বছর সুদের হার কমানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করবে।

তিনি বলেন, এমতাস্থায় বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমরা কতটা প্রস্তুত, তা নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য অংশীজনদের মাঝে বিশদ আলোচনার ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরামর্শ দেন। এছাড়া অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সরকারী ব্যয়ে কৃচ্ছতা সাধনের কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে- ডিসিসিআই সভাপতি সরকারকে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করা এবং এডিপি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার পাশাপাশি সময়মত প্রকল্প সমাপ্তিতে নজরদারি বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।