এশিয়ায় শান্তি-নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য সহযোগিতার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
- আপডেট সময় : ১১:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ৬ বার পড়া হয়েছে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন প্যান-এশিয়া অঞ্চল এবং এর বাইরে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সম্মিলিত নিরাপত্তা আনতে সহমর্মিতা ও সংহতি বিষয়ে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অব্যাহত সংলাপের মাধ্যমে জোরালো সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার আজারবাইজান আয়োজিত কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) সপ্তম মন্ত্রী পর্যায়ের কাউন্সিল ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
যুদ্ধ, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মানুষের বেঁচে থাকার হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অর্থপূর্ণ উপায় অন্বেষণ করার জন্য নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। সিআইসিএ’কে সহযোগিতার মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে আস্থা তৈরির একটি গতিশীল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে তুলে ধরে তৌহিদ বহুমুখী হুমকি মোকাবিলা ও হ্রাস এবং অর্থনৈতিক, পরিবেশ ও মানবিক সুবিধা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে সিআইসিএ’র প্রভাবের প্রশংসা করেন।
বিশেষ করে সিআইসিএ’র তথ্যপ্রযুক্তি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবেশ সুরক্ষায় সিআইসিএ’র কো-চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।বৈঠকে সিআইসিএ’র বর্তমান চেয়ারম্যান কাজাখস্তান আগামী দুই বছরের জন্য আজারবাইজানের কাছে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।সপ্তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সিআইসিএ সদস্য রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী/উপদেষ্টা এবং বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণ অংশ নিচ্ছেন।
সভায় সিআইসিএ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের নীতি সম্পর্কিত ঘোষণাপত্রের ২৫ তম বার্ষিকীতে সিআইসিএ মন্ত্রী পর্যায়ের কাউন্সিলের বিবৃতিও গৃহীত হয়।ভার্চুয়ালি বৈঠককালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক সংস্থা অনুবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এশিয়ার শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদারে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে ২৮টি দেশের একটি বহুজাতিক ফোরাম সিআইসিএ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ২০১৪ সালে সিআইসিএ’র সদস্য লাভ করে।