জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের আয়োজনে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ভূমিকা ও পরবর্তী করণীয়’- শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আজ এ কথা বলেন। মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেকে বিভিন্ন দাবি জানাচ্ছে, রাজপথে আন্দোলনে নামছেন। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে যারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন, তাদের মধ্যেও এখন বিভাজন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই বিভাজন বাস্তবসম্মত, কারণ গণ-অভ্যুত্থান এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে সমাজের প্রতিটি শ্রেণির মানুষ তাদের মতাদর্শ ও সমর্থন নিয়ে একত্রিত হন। কিন্তু আন্দোলন সফল হওয়ার পর সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশ গঠনের কথা ভাবেন এবং নিজেদের দাবি উত্থাপন করেন, যা স্বাভাবিক। তবে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে, এসব দাবির মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের যে ঐক্য ছিল, তা যেন বিনষ্ট না হয়।
গণ-অভ্যুত্থানের শিক্ষা স্মরণ করিয়ে মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘ঐক্যের মূল শিক্ষা হলো, মতাদর্শিক ভিন্নতা থাকলেও আমরা যেন পরস্পর ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সেই ঐক্য ধরে রাখা। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা যেন ভুলে না যাই কীভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হয়।
গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে পরিবর্তন এসেছে, তারপর আবার সেই পুরনো শাসনব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই না-যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতো, ভোটাধিকার ছিল না, স্বাধীনভাবে রাজনীতি করা যেত না, মিছিল-মিটিংয়ের সুযোগ ছিল না। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সকলের প্রতিজ্ঞা করা উচিত, আমরা যেন আর কখনো ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থায় ফিরে না যাই।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ পালোয়ান রুহুল আমিন ঢালী (বীর মুক্তিযোদ্ধা)
যোগাযোগঃ মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ঢালী কমপ্লেক্স, ২১৩/১ ( ৪র্থ তলা), শাহবাগ, ঢাকা- ১০০০
ফোনঃ ০২-৪৪৬১২০৩১, ৪৪৬১২০৩২
মোবাইলঃ ০১৮১৯২১১৩২৭, ০১৭৭৭১৮৯৯৫৯
Copyright © 2025 দৈনিক অগ্নিকন্ঠ. All rights reserved.