গত ১৫ বছরে দেশ থেকে বার্ষিক ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার : টিআইবি
- আপডেট সময় : ১১:৩১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ ৯ বার পড়া হয়েছে
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজ বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের তৎকালীন সময়ে মানি লন্ডারিংয়ের কারণে বাংলাদেশ বার্ষিক ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হারিয়েছে। তিনি বলেন, অর্থ পাচারকারিদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে, এবং ভবিষ্যতের ঘটনা রোধ করার জন্য অর্থ পাচার বিরোধী সংস্থার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
ড.ইফতেখারুজ্জামান আজ রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উপায়’ শীর্ষক ইআরএফ এবং সম্ভাবনার বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার প্রতিফলনের উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন যে আগের বছরগুলিতে, এই প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী প্রভাবের অধীনে মানি লন্ডারিং কার্যক্রমকে উপেক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন অর্থ পাচার মোকাবিলা এবং পাচারকৃত তহবিল পুনরুদ্ধারের জন্য তার প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘কিন্তু এটিকে ভবিষ্যতের জন্য একটি টেকসই ব্যবস্থায় পরিণত করা উচিত। ইফতেখারুজ্জামান ভুয়া কোম্পানিকে ঋণ প্রদান রোধ করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আরোপিত শর্তাবলীর দিকে ইঙ্গিত করে, পদক্ষেপ গ্রহনের অভাবেরও সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ইসলামী এবং অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলি প্রতারণামূলক স্কিমে কাগুজে সংস্থাগুলির কাছে তহবিল হারিয়েছে।
অথচ তখন সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণকারী অনেক বৈধ কোম্পানি ঋণ পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করেছে। এই অভিযোগ যা উত্থিত হয়েছিল, বাংলাদেশ ব্যাংক তখন থেকেই স্বীকার করেছে। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চৌধুরী। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমেদ, অর্থনীতিবিদ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাস্ট্রা গাট্টাকা ওপেনহাইমারের প্রতিষ্ঠাতা নাঈম চৌধুরী ।