ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সবার মতামতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র করতে চাই : প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বচ্ছতা শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে : দেবপ্রিয় ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ঐক্য জাতির মধ্যে যেন বিভেদ সৃষ্টি না হয় পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কিনবে সরকার পরিবারসহ সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের ৭৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স এবারের বিপিএলকে জাঁকজমক করেছে : আশরাফুল জুলাই অভ্যুত্থানের ৮৩৪ জন শহীদের গেজেট প্রকাশ বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে সব দল ঐকমত্যে পৌঁছেছে : আসিফ নজরুল ‘গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি’ ঘোষিত

ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ঐক্য জাতির মধ্যে যেন বিভেদ সৃষ্টি না হয়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ২ বার পড়া হয়েছে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অংশ নিয়েছিলেন। বৈঠক শেষে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জানতে চেয়েছি জুলাই গণঅভুত্থ্যানের সাড়ে পাঁচ মাস পরে জুলাই ঘোষণাপত্রের কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল কিনা? যদি থেকে থাকে তাহলে রাজনৈতিক গুরুত্ব, ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও আইনি গুরুত্ব কি সেগুলো নির্ধারণ করতে হবে। কারণ ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ঐক্য জাতির মধ্যে যেন বিভেদ সৃষ্টি না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছি।

তিনি বলেন, এই ঘোষণাপত্র যদি রাজনৈতিক দলিল বা ঐতিহাসিক দলিল সৃষ্টি হয় তাহলে সেটিকে আমরা সম্মান করি। তবে সেটা প্রণয়নে যেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সবার সঙ্গে পরামর্শ ও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এদিন বিকাল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টা রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে প্রবেশ করেন। এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা একে একে বৈঠকস্থলে আসতে থাকেন।

বৈঠকে অংশ নেন জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার, গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের পক্ষ থেকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম প্রমুখ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ঐক্য জাতির মধ্যে যেন বিভেদ সৃষ্টি না হয়

আপডেট সময় : ১১:৩৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অংশ নিয়েছিলেন। বৈঠক শেষে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জানতে চেয়েছি জুলাই গণঅভুত্থ্যানের সাড়ে পাঁচ মাস পরে জুলাই ঘোষণাপত্রের কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল কিনা? যদি থেকে থাকে তাহলে রাজনৈতিক গুরুত্ব, ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও আইনি গুরুত্ব কি সেগুলো নির্ধারণ করতে হবে। কারণ ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে ঐক্য জাতির মধ্যে যেন বিভেদ সৃষ্টি না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছি।

তিনি বলেন, এই ঘোষণাপত্র যদি রাজনৈতিক দলিল বা ঐতিহাসিক দলিল সৃষ্টি হয় তাহলে সেটিকে আমরা সম্মান করি। তবে সেটা প্রণয়নে যেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সবার সঙ্গে পরামর্শ ও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এদিন বিকাল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টা রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে প্রবেশ করেন। এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা একে একে বৈঠকস্থলে আসতে থাকেন।

বৈঠকে অংশ নেন জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার, গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের পক্ষ থেকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম প্রমুখ।