ঢাকা ০৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে সি-ট্রাক চলাচল বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে: উপ-প্রেস সচিব জনগণের ক্ষতি করার জন্য আওয়ামী লীগ ওঁৎ পেতে আছে: এ্যানি বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র সংস্কার ও বিচারের আগে নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে: জামায়াত আমির এসএসসি পরীক্ষার তৃতীয় দিন অনুপস্থিত ২৭ হাজার ৯০৫ জন ‘র’ প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না: হাসনাত ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান

চারুকলা হলো গভীর মানবিক অনুভূতির প্রকাশ : বেরোবি উপাচার্য

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেছেন, চারুকলা হলো গভীর মানবিক অনুভূতির প্রকাশ যা চিন্তা, সংস্কৃতি ও সময়ের প্রতিফলন ঘটায়। তিনি বলেন, চারুকলা কেবল রঙ এবং আকৃতির খেলা নয়, বরং গভীর মানবিক অনুভূতির প্রতিফলন ও বহিঃপ্রকাশ। তিনি শুক্রবার রাতে নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বিভাগীয় চারুকলা প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

অমর একুশে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে এই প্রদর্শনীটি নতুন এবং অভিজ্ঞ শিল্পীদের সৃজনশীল ধারণা প্রকাশের একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আয়োজন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই প্রদর্শনীটি কেবল শিল্পপ্রেমীদের জন্য নয়, এটি সমাজের কাছেও একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে। নর্থ ক্যানভাস বাংলাদেশ রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই বিপ্লবের সব শহীদদের প্রতি উৎসর্গকৃত এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে।

রংপুর বিভাগীয় চারুকলা প্রদর্শনী আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক আহসান আহমেদ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা, প্রখ্যাত শিল্পী অধ্যাপক আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, রংপুর বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি জেলা শহর। তিনি বলেন, রংপুরের অনেক প্রখ্যাত শিল্পী দেশের সীমানা অতিক্রম করে বহির্বিশ্বে তাদের সফলতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। এছাড়াও এই বিভাগীয় চারুকলা প্রদর্শনী সব শিল্পীর জন্য প্রাণবন্ত আনন্দ উদযাপন এবং রংপুরে চারুকলা আরো বিকাশের জন্য একটি সুযোগও বটে।

আহসান আহমেদ বলেন, বিভাগীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে জলরঙ, অ্যাক্রিলিক চিত্রকর্ম, অঙ্কন, স্কেচ, ক্ষুদ্রাকৃতির ভাস্কর্য, টেরাকোটা ও ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রখ্যাত শিল্পী অধ্যাপক আলাউদ্দিন আহমেদের নির্বাচিত দেশের ৫২জন শিল্পীর ১০৮টি চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হচ্ছে। তিনি বলেন- এই প্রদর্শনীতে শিল্পীদের আঁকা ফ্যাসিবাদী শাসনের নিপীড়ন ও নির্যাতনের ছবির পাশাপাশি উন্নয়নের নামে দেশের অর্থ পাচারের ছবিও স্থান পেয়েছে।

আবার সম্ভাবনার প্রাকৃতিক বাংলাদেশের ছবি, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং সময়ের চিত্রও চিত্রকর্মে ফুটে উঠছে।রংপুর বিভাগীয় চারুকলা প্রদর্শনী আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা ও জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা কেএম আরিফুজ্জামান, উপদেষ্টা চৌধুরী মাহমুদুন্নবী ডলার, যুগ্ম-আহ্বয়ক মিজানুর রহমান মিসু, সদস্য-সচিব জাহাঙ্গীর কবির, যুগ্ম-সচিব মাহমুদুন্নবী বাবুল, পলাশ কান্তি নাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বরেণ্য শিল্পী হাবিব উল্লাহ বাহার, চট্টগ্রামের সৌমেন চৌধুরী ও ফরহাদুল আলম সবুজ, ময়মনসিংহের শিল্পী এমডি রাজন ও ধর্ম নারায়ণ রায়, সিলেটের শিল্পী জিয়াউল হক ও এম এ আহাদ পলাশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পী সামিয়া রহমান, ঋতু প্রামানিক, মুনেম শাহরিয়ার, সুতপা বর্মণ এবং তামান্না ইয়াসমিন, ঢাকা থেকে আগত শিল্পী ইমন আলী, আনহা মৌ, টাইগার নাজির ও অরুণ কুমার বর্মন, বগুড়া আর্ট কলেজের সাঈদ মালিথা, কেয়ায়েত উল্লাহ, গাজী আশা ও অনিক রায়সহ অনেকের চিত্রকর্ম এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চারুকলা হলো গভীর মানবিক অনুভূতির প্রকাশ : বেরোবি উপাচার্য

আপডেট সময় : ১০:০৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেছেন, চারুকলা হলো গভীর মানবিক অনুভূতির প্রকাশ যা চিন্তা, সংস্কৃতি ও সময়ের প্রতিফলন ঘটায়। তিনি বলেন, চারুকলা কেবল রঙ এবং আকৃতির খেলা নয়, বরং গভীর মানবিক অনুভূতির প্রতিফলন ও বহিঃপ্রকাশ। তিনি শুক্রবার রাতে নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমি ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বিভাগীয় চারুকলা প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

অমর একুশে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫ উপলক্ষে এই প্রদর্শনীটি নতুন এবং অভিজ্ঞ শিল্পীদের সৃজনশীল ধারণা প্রকাশের একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আয়োজন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই প্রদর্শনীটি কেবল শিল্পপ্রেমীদের জন্য নয়, এটি সমাজের কাছেও একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে। নর্থ ক্যানভাস বাংলাদেশ রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই বিপ্লবের সব শহীদদের প্রতি উৎসর্গকৃত এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে।

রংপুর বিভাগীয় চারুকলা প্রদর্শনী আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক আহসান আহমেদ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা, প্রখ্যাত শিল্পী অধ্যাপক আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, রংপুর বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি জেলা শহর। তিনি বলেন, রংপুরের অনেক প্রখ্যাত শিল্পী দেশের সীমানা অতিক্রম করে বহির্বিশ্বে তাদের সফলতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। এছাড়াও এই বিভাগীয় চারুকলা প্রদর্শনী সব শিল্পীর জন্য প্রাণবন্ত আনন্দ উদযাপন এবং রংপুরে চারুকলা আরো বিকাশের জন্য একটি সুযোগও বটে।

আহসান আহমেদ বলেন, বিভাগীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে জলরঙ, অ্যাক্রিলিক চিত্রকর্ম, অঙ্কন, স্কেচ, ক্ষুদ্রাকৃতির ভাস্কর্য, টেরাকোটা ও ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রখ্যাত শিল্পী অধ্যাপক আলাউদ্দিন আহমেদের নির্বাচিত দেশের ৫২জন শিল্পীর ১০৮টি চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হচ্ছে। তিনি বলেন- এই প্রদর্শনীতে শিল্পীদের আঁকা ফ্যাসিবাদী শাসনের নিপীড়ন ও নির্যাতনের ছবির পাশাপাশি উন্নয়নের নামে দেশের অর্থ পাচারের ছবিও স্থান পেয়েছে।

আবার সম্ভাবনার প্রাকৃতিক বাংলাদেশের ছবি, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং সময়ের চিত্রও চিত্রকর্মে ফুটে উঠছে।রংপুর বিভাগীয় চারুকলা প্রদর্শনী আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা ও জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা কেএম আরিফুজ্জামান, উপদেষ্টা চৌধুরী মাহমুদুন্নবী ডলার, যুগ্ম-আহ্বয়ক মিজানুর রহমান মিসু, সদস্য-সচিব জাহাঙ্গীর কবির, যুগ্ম-সচিব মাহমুদুন্নবী বাবুল, পলাশ কান্তি নাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বরেণ্য শিল্পী হাবিব উল্লাহ বাহার, চট্টগ্রামের সৌমেন চৌধুরী ও ফরহাদুল আলম সবুজ, ময়মনসিংহের শিল্পী এমডি রাজন ও ধর্ম নারায়ণ রায়, সিলেটের শিল্পী জিয়াউল হক ও এম এ আহাদ পলাশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পী সামিয়া রহমান, ঋতু প্রামানিক, মুনেম শাহরিয়ার, সুতপা বর্মণ এবং তামান্না ইয়াসমিন, ঢাকা থেকে আগত শিল্পী ইমন আলী, আনহা মৌ, টাইগার নাজির ও অরুণ কুমার বর্মন, বগুড়া আর্ট কলেজের সাঈদ মালিথা, কেয়ায়েত উল্লাহ, গাজী আশা ও অনিক রায়সহ অনেকের চিত্রকর্ম এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।