ঢাকা ১০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ইতিহাসে ‘সেরা নির্বাচন’ আয়োজন করবে: প্রধান উপদেষ্টা নগরীর মশক নিধনে যুক্ত হচ্ছে সেনাবাহিনী: ডিএনসিসি প্রশাসক ঝালকাঠিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ ‘জুলাই রেভ্যুলুশনারি এ্যালায়েন্স’ কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা নেতা নয়, জনগণের সেবক হয়ে থাকতে চাই: কায়কোবাদ এখন সকলে মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময় এসেছে: আলী রীয়াজ পেটের ক্ষুধায় কচ্ছপ খেতে বাধ্য হচ্ছেন গাজার মুসলিমরা সংস্কারের নামে জনগণের সঙ্গে নাটক করছে অন্তবতীকালীন সরকার: কর্নেল অলি স্পোর্টস হাবকে কেন্দ্র করে স্পোর্টস ইকো-সিস্টেম গড়ে উঠবে বিশ্বে প্রথমবার বেইজিংয়ে হাফ ম্যারাথনে অংশ নিল দু-পেয়ে রোবট

চীন চায় বাংলাদেশের ঐক্য, সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা : রাষ্ট্রদূত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে

চীন বাংলাদেশে ঐক্য, সার্বভৌমত্ব, স্থিতিশীলতা এবং অব্যাহত উন্নয়ন দেখতে চায়। বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আজ এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, সংস্কার সম্পর্কিত বিষয়গুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চলমান সংস্কার উদ্যোগ… আমি আপনাদের বলছি এটা সত্যিই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বেইজিং সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। তিনি ডিজিটাল অর্থনীতি, সবুজ অর্থনীতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদীয়মান খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। বেইজিং চীনা উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ ও তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে উৎসাহিত করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে চলতি বছর উভয় দেশ বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

তিনি বলেন, চীন এই বার্ষিকীকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার, কৌশলগত যোগাযোগ আরও গভীর, ব্যবহারিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার প্রসারে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে ব্যবহার করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, চীন-বাংলাদেশ ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে একটি নতুন স্তরে নিয়ে যাওয়া এবং পরবর্তী ৫০ বছরের সুবর্ণ সম্পর্কের সূচনা করা।

ঋণ ইস্যুতে, রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন কোনো শর্ত যুক্ত করে না এবং চীনের সহযোগিতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু যুগান্তকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন কৌশলগত অংশীদার হিসেবে একে অপরকে সমর্থন করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় থেকে ৩০টি চীনা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে প্রায় ২৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের চুক্তি করেছে।

তিনি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশে বৃহত্তম বিনিয়োগকারী এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাষ্ট্রদূত ইয়াও ঘোষণা দেন, চীন এ বছরের মে মাস থেকে বাংলাদেশ থেকে আম ও কাঁঠাল আমদানি শুরু করবে, যা দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে ভূমিকা রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চীন চায় বাংলাদেশের ঐক্য, সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা : রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় : ১১:৫৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চীন বাংলাদেশে ঐক্য, সার্বভৌমত্ব, স্থিতিশীলতা এবং অব্যাহত উন্নয়ন দেখতে চায়। বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আজ এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, সংস্কার সম্পর্কিত বিষয়গুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চলমান সংস্কার উদ্যোগ… আমি আপনাদের বলছি এটা সত্যিই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বেইজিং সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। তিনি ডিজিটাল অর্থনীতি, সবুজ অর্থনীতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদীয়মান খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। বেইজিং চীনা উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ ও তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে উৎসাহিত করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে চলতি বছর উভয় দেশ বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

তিনি বলেন, চীন এই বার্ষিকীকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার, কৌশলগত যোগাযোগ আরও গভীর, ব্যবহারিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার প্রসারে একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে ব্যবহার করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, চীন-বাংলাদেশ ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে একটি নতুন স্তরে নিয়ে যাওয়া এবং পরবর্তী ৫০ বছরের সুবর্ণ সম্পর্কের সূচনা করা।

ঋণ ইস্যুতে, রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন কোনো শর্ত যুক্ত করে না এবং চীনের সহযোগিতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু যুগান্তকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন কৌশলগত অংশীদার হিসেবে একে অপরকে সমর্থন করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় থেকে ৩০টি চীনা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে প্রায় ২৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের চুক্তি করেছে।

তিনি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশে বৃহত্তম বিনিয়োগকারী এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাষ্ট্রদূত ইয়াও ঘোষণা দেন, চীন এ বছরের মে মাস থেকে বাংলাদেশ থেকে আম ও কাঁঠাল আমদানি শুরু করবে, যা দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে ভূমিকা রাখবে।