ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় : রাষ্ট্রপতি জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচন দরকার : মির্জা ফখরুল কেয়া কসমেটিকস লিমিটেড বন্ধ করার ঘোষণা উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়েই করবে : আসিফ মাহমুদ বেরোবিতে পরীক্ষা না দিয়েও ছাত্রলীগ নেত্রী পাস : তদন্ত কমিটি গঠন হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পেল ২৬ লাখ টাকা জুলাই-আগস্ট নৃশংসতা সম্পর্কে জাতিসংঘ প্রতিবেদন ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হবে: তুর্ক বিক্রির উদ্দ্যেশে নেওয়া ৯ হাজার বইসহ ট্রাক চালক আটক গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে ২শ’র বেশি মরদেহ উদ্ধার বিশ্বশান্তি ও মানব কল্যাণ কামনায় শ্রীশ্রী রাধা গোবিন্দের অষ্টকালীন লীলাকীর্তন অনুষ্ঠিত

জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচন দরকার : মির্জা ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ ২ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার। নির্বাচন থেকে আমরা প্রায় ১৫ বছর বঞ্চিত’- এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া দরকার। কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুযোগ পাবে। জোর করে যদি সেই বিষয়টাকে বিতর্কিত করে ফেলা হয়, তাহলে জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের শহিদ আসাদের ৫৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। শহিদ আসাদ পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।পরিষদের সভাপতি ড. মাহবুব উল্লাহর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

বিএনপি’র মহাসচিব অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যদি নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে নির্বাচনের সময় একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার আছে। আমি এই কথাটা বলেছি কারণ, আমরা দেখছি, কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছে না। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমলাতন্ত্র আগে যে অবস্থায় ছিল, বলতে গেলে এখনো সেই-অবস্থায় রয়েছে।

সচিবালয় থেকে শুরু করে প্রশাসনের সকল স্তরে আমলারা আগের মতো একইভাবে ভূমিকা পালন করছে। এখনো কোনো ধরনের রদবদল হয়নি। তিনি দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার দৈন্যদশার কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া একদম বন্ধ হয়ে গেছে, স্কুল-কলেজগুলোতে সেভাবে লেখাপড়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাও প্রায় ভেঙে পড়েছে। এগুলো অতীত থেকেই এসেছে। এসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন হয়তো এত অল্প সময়ে সম্ভবও নয়। সে জন্যই আমরা বলছি, নির্বাচন দ্রুত হওয়া দরকার। নির্বাচন হলে যে সরকার আসবে, রাজনৈতিক কমিটমেন্ট পালন করতে তারা দায়বদ্ধ থাকবে।

বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনে কে আসবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা। সেটার জন্যই আমরা লড়াই করেছি দীর্ঘ ১৫ বছর। সে কারণেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। স্বাভাবিকভাবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে। কিন্তু এখন সমাজের যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তাতে আমাদের প্রত্যাশাগুলো পূরণ হবে কি-না, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না।

রাজনীতির প্রসঙ্গে এ অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন প্রোগ্রাম, কর্মসূচি আছে। সেই কর্মসূচিগুলো তারা চালিয়ে যেতে চায়। কিন্তু একটি বিষয়ে সবাই একমত যে, একটি নির্বাচন হওয়া দরকার। নির্বাচন শুধু একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়, গণতান্ত্রিক একটি পথ সৃষ্টির জন্যও নির্বাচন প্রয়োজন। শহিদ আসাদকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘উনসত্তরের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আমরা যারা জড়িত ছিলাম, তাদের কাছে শহিদ আসাদ ভালোবাসার নাম। আমরা যে সংগ্রাম-আন্দোলন করেছি, সেই সংগ্রাম-আন্দোলনে আসাদ একটি অনুপ্রেরণা।

পাঠ্যপুস্তকে নাম থাকুক বা না থাকুক, কেউ স্মরণ না করুক, শহিদ আসাদকে ইতিহাস থেকে কেউ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে আসাদ অমর হয়ে থাকবেন। বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, ‘চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে আমরা একজন ফ্যাসিস্ট শাসককে দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছি। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খানকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচন দরকার : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ১১:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই দ্রুত নির্বাচন হওয়া দরকার। নির্বাচন থেকে আমরা প্রায় ১৫ বছর বঞ্চিত’- এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া দরকার। কারণ, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুযোগ পাবে। জোর করে যদি সেই বিষয়টাকে বিতর্কিত করে ফেলা হয়, তাহলে জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের শহিদ আসাদের ৫৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। শহিদ আসাদ পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।পরিষদের সভাপতি ড. মাহবুব উল্লাহর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

বিএনপি’র মহাসচিব অন্তর্বর্তী সরকারকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যদি নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে নির্বাচনের সময় একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার আছে। আমি এই কথাটা বলেছি কারণ, আমরা দেখছি, কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছে না। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমলাতন্ত্র আগে যে অবস্থায় ছিল, বলতে গেলে এখনো সেই-অবস্থায় রয়েছে।

সচিবালয় থেকে শুরু করে প্রশাসনের সকল স্তরে আমলারা আগের মতো একইভাবে ভূমিকা পালন করছে। এখনো কোনো ধরনের রদবদল হয়নি। তিনি দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার দৈন্যদশার কথা বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া একদম বন্ধ হয়ে গেছে, স্কুল-কলেজগুলোতে সেভাবে লেখাপড়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাও প্রায় ভেঙে পড়েছে। এগুলো অতীত থেকেই এসেছে। এসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন হয়তো এত অল্প সময়ে সম্ভবও নয়। সে জন্যই আমরা বলছি, নির্বাচন দ্রুত হওয়া দরকার। নির্বাচন হলে যে সরকার আসবে, রাজনৈতিক কমিটমেন্ট পালন করতে তারা দায়বদ্ধ থাকবে।

বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচনে কে আসবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা। সেটার জন্যই আমরা লড়াই করেছি দীর্ঘ ১৫ বছর। সে কারণেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। স্বাভাবিকভাবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে জনগণের প্রত্যাশা বেড়েছে। কিন্তু এখন সমাজের যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তাতে আমাদের প্রত্যাশাগুলো পূরণ হবে কি-না, সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না।

রাজনীতির প্রসঙ্গে এ অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন প্রোগ্রাম, কর্মসূচি আছে। সেই কর্মসূচিগুলো তারা চালিয়ে যেতে চায়। কিন্তু একটি বিষয়ে সবাই একমত যে, একটি নির্বাচন হওয়া দরকার। নির্বাচন শুধু একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়, গণতান্ত্রিক একটি পথ সৃষ্টির জন্যও নির্বাচন প্রয়োজন। শহিদ আসাদকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘উনসত্তরের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আমরা যারা জড়িত ছিলাম, তাদের কাছে শহিদ আসাদ ভালোবাসার নাম। আমরা যে সংগ্রাম-আন্দোলন করেছি, সেই সংগ্রাম-আন্দোলনে আসাদ একটি অনুপ্রেরণা।

পাঠ্যপুস্তকে নাম থাকুক বা না থাকুক, কেউ স্মরণ না করুক, শহিদ আসাদকে ইতিহাস থেকে কেউ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে আসাদ অমর হয়ে থাকবেন। বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, ‘চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে আমরা একজন ফ্যাসিস্ট শাসককে দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছি। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খানকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। কিন্তু আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি।