ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র সংস্কার ও বিচারের আগে নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে: জামায়াত আমির এসএসসি পরীক্ষার তৃতীয় দিন অনুপস্থিত ২৭ হাজার ৯০৫ জন ‘র’ প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না: হাসনাত ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ ইউক্রেনের দনিপ্রোতে রাশিয়ার হামলায় দুইজন নিহত: গভর্নর বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বিএনপি সন্তুষ্ট নয়: মির্জা ফখরুল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ ঢাকায় এসেছেন

জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারে গাফিলতি দেখলে ছাত্র-জনতা ফের মাঠে নামবে : স্নিগ্ধ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে

জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রমে বিন্দু পরিমাণ গাফিলতি দেখলে ফের আবু সাঈদের মতো বুক চিতিয়ে, মীর মুগ্ধের মত পানি নিয়ে ছাত্র-জনতা মাঠে নামবে বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘আহত যোদ্ধাদের পাশে বাংলাদেশ’ শিরোনামে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আয়োজিত ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে হতাহতদের’ আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পূর্ব গজালিয়া এলাকার শহীদ ছাত্রদল নেতা নুরুল আমিনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা এবং জেলার আহত ৪৭ যোদ্ধাকে ১ লাখ টাকা করে চেক হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত ও শহীদদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, আন্দোলনে শহীদদের ও আহতদের এই ত্যাগ কোনোভাবে পূরণ করা সম্ভব নয়। দেশের জন্য ত্যাগের সাহস সবার থাকে না। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সবসময় তাদের পাশে থাকবে।

এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘কক্সবাজারে আহত ও শহীদ পরিবারগুলো বর্তমানে অত্যন্ত কষ্টে দিনযাপন করছে। প্রশাসন সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। রমজানের শুভেচ্ছা উপহার প্রদানসহ ইতিপূর্বেও এসব সাহসী যোদ্ধাদের সহায়তা প্রদান করেছিল।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আন্দোলনে কক্সবাজার জেলায় চারজন শহীদ এবং ৮২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬২ জনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে এক শহীদ পরিবারসহ আহত ৪৮ জনকে সহায়তা দেয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার।

এর আগে জেলার আরও তিন শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারে গাফিলতি দেখলে ছাত্র-জনতা ফের মাঠে নামবে : স্নিগ্ধ

আপডেট সময় : ১১:৫০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রমে বিন্দু পরিমাণ গাফিলতি দেখলে ফের আবু সাঈদের মতো বুক চিতিয়ে, মীর মুগ্ধের মত পানি নিয়ে ছাত্র-জনতা মাঠে নামবে বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘আহত যোদ্ধাদের পাশে বাংলাদেশ’ শিরোনামে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আয়োজিত ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে হতাহতদের’ আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পূর্ব গজালিয়া এলাকার শহীদ ছাত্রদল নেতা নুরুল আমিনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা এবং জেলার আহত ৪৭ যোদ্ধাকে ১ লাখ টাকা করে চেক হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত ও শহীদদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, আন্দোলনে শহীদদের ও আহতদের এই ত্যাগ কোনোভাবে পূরণ করা সম্ভব নয়। দেশের জন্য ত্যাগের সাহস সবার থাকে না। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সবসময় তাদের পাশে থাকবে।

এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘কক্সবাজারে আহত ও শহীদ পরিবারগুলো বর্তমানে অত্যন্ত কষ্টে দিনযাপন করছে। প্রশাসন সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। রমজানের শুভেচ্ছা উপহার প্রদানসহ ইতিপূর্বেও এসব সাহসী যোদ্ধাদের সহায়তা প্রদান করেছিল।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আন্দোলনে কক্সবাজার জেলায় চারজন শহীদ এবং ৮২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৬২ জনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে এক শহীদ পরিবারসহ আহত ৪৮ জনকে সহায়তা দেয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার।

এর আগে জেলার আরও তিন শহীদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল।