ঢাকা ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে সংস্কারে ভারসাম্য আনতে হবে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০০:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪ ২৪ বার পড়া হয়েছে

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আজ বলেছেন, ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলগুলোকে লক্ষ্যবস্তু মনে করা হলে অর্থনৈতিক সুফল লাভের সম্ভাবনার সাথে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারকে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘সংস্কার প্রবর্তনের প্রচেষ্টা শুরু হলেও রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক বাধা রয়ে গেছে।

দেশের অর্থনীতির ওপর একটি শ্বেতপত্র প্রস্তুতকরণ কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় আরো বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি অনাচারী অর্থনীতির উদ্ভব হয়েছে এবং আমলা, ‘ইউনিফর্ম পরিহিত আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের একটি বিশাল নেক্সাস সৃষ্টি হয়েছে যা ব্যক্তিগত লাভের জন্য জনসাধারণের অর্থ পাচার করার কাজে প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোকে একচেটিয়াভাবে ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, পদ্ধতিগত দুর্নীতি বিগত সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়েছিল যা জনসাধারণের অর্থের অপব্যবহার করেছে এবং উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে।দেবপ্রিয় বলেন, অদক্ষতার সঙ্গে সরকারী অর্থ ব্যয় এবং তহবিলের অপব্যবহার ও বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এই দুর্নীতির পরিণতি জনগণ এখন ভোগ করবে। তিনি বলেন, দুর্নীতি করার পাশাপাশি জনসাধারণকে প্রতারিত করার জন্য উন্নয়নের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, দুর্নীতিবাজ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে ও উন্নয়নের বিভ্রম ধরে রাখতে স্বৈরাচারী প্রবণতা প্রয়োজন এবং এটি নেক্সাসের একটি চক্রাকার সম্পর্ক তৈরি করেছে। দেবপ্রিয় বলেন, তবে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এ চক্রটি ভেঙে সংস্কার বাস্তবায়নের সুযোগ এনে দিয়েছে। পাবলিক পলিসি বিশেষজ্ঞ দেবপ্রিয় বলেন, সরকারী প্রতিষ্ঠানের পরিধি, ধারাবাহিকতা ও গতিধারা নির্ভর করবে অর্থনীতির ক্ষেত্রে সরকার কতটা আস্থাশীল এবং জনগণের স্বাচ্ছন্দ্য বোধের ওপর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে সংস্কারে ভারসাম্য আনতে হবে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

আপডেট সময় : ১২:০০:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আজ বলেছেন, ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলগুলোকে লক্ষ্যবস্তু মনে করা হলে অর্থনৈতিক সুফল লাভের সম্ভাবনার সাথে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারকে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে ভারসাম্য আনতে হবে। ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘সংস্কার প্রবর্তনের প্রচেষ্টা শুরু হলেও রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক বাধা রয়ে গেছে।

দেশের অর্থনীতির ওপর একটি শ্বেতপত্র প্রস্তুতকরণ কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় আরো বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি অনাচারী অর্থনীতির উদ্ভব হয়েছে এবং আমলা, ‘ইউনিফর্ম পরিহিত আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের একটি বিশাল নেক্সাস সৃষ্টি হয়েছে যা ব্যক্তিগত লাভের জন্য জনসাধারণের অর্থ পাচার করার কাজে প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোকে একচেটিয়াভাবে ব্যবহার করেছে।

তিনি বলেন, পদ্ধতিগত দুর্নীতি বিগত সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়েছিল যা জনসাধারণের অর্থের অপব্যবহার করেছে এবং উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে।দেবপ্রিয় বলেন, অদক্ষতার সঙ্গে সরকারী অর্থ ব্যয় এবং তহবিলের অপব্যবহার ও বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এই দুর্নীতির পরিণতি জনগণ এখন ভোগ করবে। তিনি বলেন, দুর্নীতি করার পাশাপাশি জনসাধারণকে প্রতারিত করার জন্য উন্নয়নের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, দুর্নীতিবাজ ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে ও উন্নয়নের বিভ্রম ধরে রাখতে স্বৈরাচারী প্রবণতা প্রয়োজন এবং এটি নেক্সাসের একটি চক্রাকার সম্পর্ক তৈরি করেছে। দেবপ্রিয় বলেন, তবে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এ চক্রটি ভেঙে সংস্কার বাস্তবায়নের সুযোগ এনে দিয়েছে। পাবলিক পলিসি বিশেষজ্ঞ দেবপ্রিয় বলেন, সরকারী প্রতিষ্ঠানের পরিধি, ধারাবাহিকতা ও গতিধারা নির্ভর করবে অর্থনীতির ক্ষেত্রে সরকার কতটা আস্থাশীল এবং জনগণের স্বাচ্ছন্দ্য বোধের ওপর।