ঢাবি ক্যাম্পাসের খাবার পানিতে মল-মূত্রের জীবাণু
- আপডেট সময় : ১২:০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ ০ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাবার পানিতে মল-মূত্রের জীবাণুর অস্তিত্ব মিলেছে। ক্যাম্পাসের ৫টি পয়েন্টের পানি পরীক্ষা করে এ তথ্য জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর স্বপ্রণোদিত অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন নামে ওই শিক্ষার্থী এ তথ্য জানিয়েছেন। শাহরিয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী জানায়, কিছুদিন আগে স্বপ্রণোদিত হয়ে তিনি ক্যাম্পাসের খাবার পানির মান টেস্ট করার জন্য ক্যাম্পাসের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে পানির স্যাম্পল সংগ্রহ করেন। প্রত্যেকটা স্যাম্পলের ৭ ধরনের টেস্ট হয়। এসব পরীক্ষার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিল কলিফর্ম (ফেকাল) ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি নির্ণয় করা। তিনি জানান, কলিফর্ম হলো একধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা সাধারণত মানুষের ও প্রাণীর মল, মূত্র এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থে পাওয়া যায়।
কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে পানিতে ফেকাল দূষণ ঘটেছে এবং তা পানির মাধ্যমে রোগ সৃষ্টিকারী প্যাথোজেনিক জীবাণুর উপস্থিতি নির্দেশ করে। রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী এমন বিভিন্ন প্যাথোজেন যেমন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়ার সম্ভাব্য উপস্থিতির সংকেত দেয়। স্যুয়ারেজ বা নর্দমার মিশ্রণ, গবাদি পশুর খামারের বর্জ্য, অপর্যাপ্ত বা লিকেজযুক্ত সেপটিক ট্যাংক, দূষিত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার উৎস।
ফেকাল কলিফর্মযুক্ত সেসব পানি বা খাদ্য গ্রহণ করলে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, কলেরা এবং অন্যান্য পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি থাকে বলে জানানো হয় গবেষণা প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ক্যাম্পাসের পানিতে ২ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ মাত্রার কলিফর্মের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যদিও এটি খুব বেশি দূষিত নয়, তবুও এর উপস্থিতি রোগজীবাণু থাকার সম্ভাবনা তৈরি করে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
বিশেষত, সংবেদনশীল ব্যক্তিদের (শিশু, বয়স্ক, বা দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের) জন্য এটি বিপজ্জনক। অতএব, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। এটা থেকে উত্তরণের জন্য নিয়মিত পানি ফুটানো, ক্লোরিন ট্যাবলেট ব্যবহার, ফিল্টার ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়।