ঢাকা ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

দলে অবদান রাখতে টপ-অর্ডারের ছয় ব্যাটার ক্ষুধার্ত : মার্করাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ২৭ বার পড়া হয়েছে

প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষ ছয় ব্যাটারই রানের জন্য ক্ষুধার্ত বলে জানিয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে মার্করাম বলেন, ‘খেলোয়াড়দের উপর বিশ্বাস রাখলে তাদের শক্তি এবং বিকল্পের সমর্থন করা হয়। একটি ব্যাটিং ইউনিট হিসাবে আলোচনা হয়েছে, সত্যিই আমাদের শীর্ষ ছয় ব্যাটার অবদান রাখার জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে আছে। প্রথম টেস্ট ৭ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ঐ ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেনি প্রোটিয়াদের শীর্ষ ছয় ব্যাটার।

তবে সাত নম্বরে নামা কাইল ভেরেনির ১১৪ এবং আট নম্বরে ওয়াইন মুল্ডারের ৫৪ রান দলের জয়ের বড় অবদান রাখে। সপ্তম উইকেট জুটিতে ভেরেনি ও মুল্ডার ১১৯ রান যোগ করলে প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রানের পুঁঁজি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের চেয়ে ২০২ রানে এগিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। যা টাইগারদের হারাতে বড় ভূমিকা রাখে। মার্করাম বলেন, ‘আমি মনে করি প্রত্যেক ব্যাটারেরই নিজের শক্তিকে কাজে লাগানোর নিজস্ব উপায় থাকে। আমাদের প্রতিটি বিকল্পের ক্ষেত্রে উইকেট কেমন করে সেটি দেখতে হবে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে জয়ের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কারন ২০১৪ সালে গল টেস্টে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৫৩ রানের জয় উপমহাদেশের মাটিতে দক্ষিণ আর্ফ্রিকার সর্বশেষ সাফল্য ছিলো। পাশাপাশি এই জয়ে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার দৌড়ে ফিরেছে প্রোটিয়ারা।দ্বিতীয় টেস্টে জয় পেলে ফাইনালের দৌড়ে আরও শক্তভাবে টিকে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্করাম জানান, চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনায় দল চাপে পড়বে না।মার্করাম বলেন, ‘আমি মনে করি না, এটি আমাদের জন্য চাপ হবে।

এটি শুধুমাত্র উত্তেজনাপূর্ণ সুযোগ হতে পারে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিষয়টি এভাবেই দেখার চেষ্টা করছি। সম্ভবত এখনও অনেক ম্যাচ জিততে হবে এবং আমাদের এখনও পাঁচটি ম্যাচ বাকি আছে। পাঁচ টেস্টে অনেক ক্রিকেট খেলতে হবে। আমরা এখন যেখানে তাতে মোটামুটি ভালো অবস্থায় আছি। আশা করছি সেশন বাই সেশন ও ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলতে পারবো। আশা করি আমরা নিজেদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারবো ও সামনে এগিয়ে যেতে পারবো।’দশ বছর পর উপমহাদেশের মাটিতে জয় বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে দলকে স্বস্তি দিয়েছে বলে মনে করেন মার্করাম।

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটা আমাদের ড্রেসিংরুমে আনন্দের একটা মুহূর্ত হয়ে এসেছে। একটা ভালো দল সব সময় জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পথ খুঁজে। আশা করি আমরা আরেকটি ভালো পারফরমেন্স করতে পারবো।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময়ই প্রতিপক্ষকে সমীহ করে থাকি। বিশেষভাবে বাংলাদেশের কন্ডিশনকে। অবশ্যই এটি একটি কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে। আমরা প্রস্তুত আছি এবং ড্রেসিংরুমে নিজেদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে চাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দলে অবদান রাখতে টপ-অর্ডারের ছয় ব্যাটার ক্ষুধার্ত : মার্করাম

আপডেট সময় : ১১:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষ ছয় ব্যাটারই রানের জন্য ক্ষুধার্ত বলে জানিয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে মার্করাম বলেন, ‘খেলোয়াড়দের উপর বিশ্বাস রাখলে তাদের শক্তি এবং বিকল্পের সমর্থন করা হয়। একটি ব্যাটিং ইউনিট হিসাবে আলোচনা হয়েছে, সত্যিই আমাদের শীর্ষ ছয় ব্যাটার অবদান রাখার জন্য ক্ষুধার্ত হয়ে আছে। প্রথম টেস্ট ৭ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ঐ ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেনি প্রোটিয়াদের শীর্ষ ছয় ব্যাটার।

তবে সাত নম্বরে নামা কাইল ভেরেনির ১১৪ এবং আট নম্বরে ওয়াইন মুল্ডারের ৫৪ রান দলের জয়ের বড় অবদান রাখে। সপ্তম উইকেট জুটিতে ভেরেনি ও মুল্ডার ১১৯ রান যোগ করলে প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রানের পুঁঁজি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের চেয়ে ২০২ রানে এগিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। যা টাইগারদের হারাতে বড় ভূমিকা রাখে। মার্করাম বলেন, ‘আমি মনে করি প্রত্যেক ব্যাটারেরই নিজের শক্তিকে কাজে লাগানোর নিজস্ব উপায় থাকে। আমাদের প্রতিটি বিকল্পের ক্ষেত্রে উইকেট কেমন করে সেটি দেখতে হবে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে জয়ের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কারন ২০১৪ সালে গল টেস্টে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৫৩ রানের জয় উপমহাদেশের মাটিতে দক্ষিণ আর্ফ্রিকার সর্বশেষ সাফল্য ছিলো। পাশাপাশি এই জয়ে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার দৌড়ে ফিরেছে প্রোটিয়ারা।দ্বিতীয় টেস্টে জয় পেলে ফাইনালের দৌড়ে আরও শক্তভাবে টিকে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্করাম জানান, চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনায় দল চাপে পড়বে না।মার্করাম বলেন, ‘আমি মনে করি না, এটি আমাদের জন্য চাপ হবে।

এটি শুধুমাত্র উত্তেজনাপূর্ণ সুযোগ হতে পারে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিষয়টি এভাবেই দেখার চেষ্টা করছি। সম্ভবত এখনও অনেক ম্যাচ জিততে হবে এবং আমাদের এখনও পাঁচটি ম্যাচ বাকি আছে। পাঁচ টেস্টে অনেক ক্রিকেট খেলতে হবে। আমরা এখন যেখানে তাতে মোটামুটি ভালো অবস্থায় আছি। আশা করছি সেশন বাই সেশন ও ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলতে পারবো। আশা করি আমরা নিজেদের জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারবো ও সামনে এগিয়ে যেতে পারবো।’দশ বছর পর উপমহাদেশের মাটিতে জয় বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে দলকে স্বস্তি দিয়েছে বলে মনে করেন মার্করাম।

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এটা আমাদের ড্রেসিংরুমে আনন্দের একটা মুহূর্ত হয়ে এসেছে। একটা ভালো দল সব সময় জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পথ খুঁজে। আশা করি আমরা আরেকটি ভালো পারফরমেন্স করতে পারবো।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময়ই প্রতিপক্ষকে সমীহ করে থাকি। বিশেষভাবে বাংলাদেশের কন্ডিশনকে। অবশ্যই এটি একটি কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে। আমরা প্রস্তুত আছি এবং ড্রেসিংরুমে নিজেদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে চাই।