দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও প্রতিশ্রুতিশীল
- আপডেট সময় : ১১:২৯:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৪ বার পড়া হয়েছে
নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও প্রতিশ্রুতিশীল। বাংলাদেশ ধারাবাহিকতভাবে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে উন্নতি করছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বেসরকারি খাতেও জাহাজ নির্মাণ শিল্প এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে জাহাজ নির্মাণ জাতি হিসেবে আমরা গড়ে উঠছি। বর্তমান সরকার জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
আজ বৃহস্পতিবার ( ৭ নভেম্বর) বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেরিন এন্ড অফশোর এক্সপো- (বিমক্স ২০২৪)’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের মেরিনটাইম সেক্টর তথা জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিদেশিদের বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের তিনটি সমুদ্রবন্দর রয়েছে; চট্টগ্রাম বন্দর, মোংলা বন্দর ও পায়রা বন্দর। আপনাদের সবাইকে এই তিন বন্দরে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। আপনারা আসুন ঘুরে দেখে যান। মাতারবাড়িসহ সকল বন্দরগুলোতে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। বে টার্মিনাল নির্মাণ ও লালদিয়ার চরে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
কোনো প্রকল্পে কোনোরূপ অনিয়ম বা অবহেলা হবে না মর্মে দেশী বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে উপদেষ্টা বলেন, সবকিছুই অত্যন্ত স্বচ্ছ ও সঠিকভাবে পরিচালিত হবে। কোনোরূপ অন্যায়, দুর্নীতি অনিয়ম আমি বরদাশত করবো না। সবকিছুই থাকবে উন্মুক্ত।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। ছোট বড় মিলিয়ে আমাদের ৯০৭টি নদ-নদী রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬৬টি নদীতে নৌযান চলাচল করে। যেখানে অনেক দেশের সমুদ্র বন্দরই নেই, সেখানে আমাদের সমুদ্র বন্দরের পাশাপাশি অসংখ্য নদীবন্দর রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা নৌ যোগাযোগ বাড়াতে পারিনি। নৌযোগাযোগ বাড়াতে সম্প্রতি সরকার
নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাগবে দেশের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বা জেলাগুলোতে নৌযোগাযোগ স্হাপন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত এবং নেদারল্যান্ডস ও সুইডিশ দূতাবাসের প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, তাদের দেশ সবসময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। তাদের দেশের সরকার এবং বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
সেভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের আয়োজনে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরাতে (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী আগামীকাল শনিবার শেষ হবে। এতে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে মেরিটাইম ইঞ্জিনিয়ারিং, অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি শিপ রিসাইকেলিং শিপ-ব্রেকি। ইকুইপমেন্ট, বন্দর ও এর সম্পর্কিত বিভিন্ন লজিস্টিক ও টেকনোলজির বিষয়বস্তু প্রর্দশনীতে স্থান পেয়েছে। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানী বাজার তৈরীর লক্ষ্যে সেভর ষষ্ঠবারের মতো এই প্রর্দশনীর আয়োজন করছে। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে মেরিটাইম ও অফশোর শিল্পে বাংলাদেশি ও আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তাদের জন্য এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হল। প্রর্দশনীতে ১৫টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মোট ১৮০টিরও বেশি স্টলে তাদের পণ্য প্রর্দশন করছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য মধ্যে সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (ম্যাটেরিয়েল) রিয়ার অ্যাডমিরাল খন্দকার আখতার হুসাইন, ঢাকার ড্যানিশ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের মিশন প্রধান আন্দ্রে কারস্টেন্স, সুইডেন দূতাবাসের রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান লোভিসা হফম্যান এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বক্তৃতা করেন।