ঢাকা ০১:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

নিজেদের ওয়েবসাইটে নতুন কাভারেজে বাংলাদেশের নাম যুক্ত করলো স্টারলিংক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে

বছর তিনেক ধরে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছে কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক। সেসময় তারা দুবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। বিডা বিষয়টি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) জানালে শুরুর দিকে স্টারলিংকের প্রতি বিটিআরসির অনাগ্রহ ছিল। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড স্টারলিংকের প্রযুক্তি পরীক্ষার জন্য বিটিআরসির অনুমোদন নেয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ওই বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশে আসে স্টারলিংকের কিছু প্রযুক্তি।

পরীক্ষায় স্টারলিংক ইন্টারনেটের ডাউনলোড স্পিড ১৫০ মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডের মধ্যে পাওয়া যায়। এসময় নিজেদের ওয়েবসাইটে নতুন কাভারেজে বাংলাদেশের নাম যুক্ত করে স্টারলিংক। এর পর নজরদারি ও জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে আটকে ছিল। এরই মধ্যে চলতি বছরের উত্তাল সময়ে সে বিষয়টিও চাপাও পরে যায়। তবে এ মাসেই আবার আলোচনা শুরু করেছে বিডা। সূত্রমতে, ২১ অক্টোবর এ বিষয়ে স্টারলিংকের গ্লোবাল লাইসেন্সিং এবং মার্কেট অ্যাক্টিভেশন বিভাগের পরিচালক রেবেকা স্লিক হান্টারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। বৈঠক শেষে তিনি জানিয়েছেন, ইন্টারনেট সহজপ্রাপ্যতা এখন যৌক্তিকভাবেই লাইফ লাইন।

গত জুলাইয়ে যদি দেশে স্টারলিংক থাকত তবে ইন্টারনেট ব্লকেড কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারত না। ভাবা যায়, গ্রামের স্কুলগুলোতে উচ্চগতির ইন্টারনেট, সুন্দরবন থেকেও ফ্রিল্যান্সিং!বৈঠকে স্টারলিংকের বাংলাদেশে ব্যবসায় শুরু করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও সমানে সুখবর আসছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারী বলেন, এ বিষয়ে খসড়া লাইসেন্সিং গাইডলাইন প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর আগে ২০২৩ সালের ২৬ ও ২৭ জুলাই স্টারলিংকের প্রতিনিধি জোয়েল মেরিডিথ ও পার্নিল ঊর্ধারশি তৎকালীন সরকারের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ নিয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ফাহিম মাশুরুর বলেছেন, ‘এটা হলে কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু অনেক এক্সপেন্সিভ হবে।

তবে দেশের অনেক আন্তর্জাতিক কোম্পানি ও এনজিও এটা ব্যবহার করবে। প্রসঙ্গত, দেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা পেতে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়‍্যার বাবদ গ্রাহক পর্যায়ে খরচ করতে হবে ৫৯৯ ডলার বা ৬৫ হাজার ৯৫৯ টাকা। প্রতি মাসে ফি দিতে হবে ১২০ ডলার বা ১৩ হাজার ২১৩ টাকা। অন্যদিকে দেশে ৫ এমবিপিএস গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য ৫০০ ডলার খরচ করতে হয়। মোবাইলে ৩০ গিগাবাইট ইন্টারনেট কিনতে খরচ করতে হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। তবে স্টারলিংকের কার্যক্রম শুরু হলে দেশের টেলিকম কম্পানি ও ক্যাবল ইন্টারনেট সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নিজেদের ওয়েবসাইটে নতুন কাভারেজে বাংলাদেশের নাম যুক্ত করলো স্টারলিংক

আপডেট সময় : ১১:৩০:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

বছর তিনেক ধরে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছে কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক। সেসময় তারা দুবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। বিডা বিষয়টি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) জানালে শুরুর দিকে স্টারলিংকের প্রতি বিটিআরসির অনাগ্রহ ছিল। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড স্টারলিংকের প্রযুক্তি পরীক্ষার জন্য বিটিআরসির অনুমোদন নেয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ওই বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশে আসে স্টারলিংকের কিছু প্রযুক্তি।

পরীক্ষায় স্টারলিংক ইন্টারনেটের ডাউনলোড স্পিড ১৫০ মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডের মধ্যে পাওয়া যায়। এসময় নিজেদের ওয়েবসাইটে নতুন কাভারেজে বাংলাদেশের নাম যুক্ত করে স্টারলিংক। এর পর নজরদারি ও জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে আটকে ছিল। এরই মধ্যে চলতি বছরের উত্তাল সময়ে সে বিষয়টিও চাপাও পরে যায়। তবে এ মাসেই আবার আলোচনা শুরু করেছে বিডা। সূত্রমতে, ২১ অক্টোবর এ বিষয়ে স্টারলিংকের গ্লোবাল লাইসেন্সিং এবং মার্কেট অ্যাক্টিভেশন বিভাগের পরিচালক রেবেকা স্লিক হান্টারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। বৈঠক শেষে তিনি জানিয়েছেন, ইন্টারনেট সহজপ্রাপ্যতা এখন যৌক্তিকভাবেই লাইফ লাইন।

গত জুলাইয়ে যদি দেশে স্টারলিংক থাকত তবে ইন্টারনেট ব্লকেড কোনো বাধা সৃষ্টি করতে পারত না। ভাবা যায়, গ্রামের স্কুলগুলোতে উচ্চগতির ইন্টারনেট, সুন্দরবন থেকেও ফ্রিল্যান্সিং!বৈঠকে স্টারলিংকের বাংলাদেশে ব্যবসায় শুরু করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও সমানে সুখবর আসছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারী বলেন, এ বিষয়ে খসড়া লাইসেন্সিং গাইডলাইন প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর আগে ২০২৩ সালের ২৬ ও ২৭ জুলাই স্টারলিংকের প্রতিনিধি জোয়েল মেরিডিথ ও পার্নিল ঊর্ধারশি তৎকালীন সরকারের দুই মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ নিয়ে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ফাহিম মাশুরুর বলেছেন, ‘এটা হলে কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু অনেক এক্সপেন্সিভ হবে।

তবে দেশের অনেক আন্তর্জাতিক কোম্পানি ও এনজিও এটা ব্যবহার করবে। প্রসঙ্গত, দেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা পেতে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়‍্যার বাবদ গ্রাহক পর্যায়ে খরচ করতে হবে ৫৯৯ ডলার বা ৬৫ হাজার ৯৫৯ টাকা। প্রতি মাসে ফি দিতে হবে ১২০ ডলার বা ১৩ হাজার ২১৩ টাকা। অন্যদিকে দেশে ৫ এমবিপিএস গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য ৫০০ ডলার খরচ করতে হয়। মোবাইলে ৩০ গিগাবাইট ইন্টারনেট কিনতে খরচ করতে হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। তবে স্টারলিংকের কার্যক্রম শুরু হলে দেশের টেলিকম কম্পানি ও ক্যাবল ইন্টারনেট সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা।