বন্ডের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম গ্রহণযোগ্য হবে না : চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার
- আপডেট সময় : ১০:৪৩:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪ ৮ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কমিশনার মো. জাকির হোসেন বলেছেন, বন্ডের ক্ষেত্রে কোন অনিয়মই গ্রহণযোগ্য হবে না। সোমবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সন্মেলন কক্ষে ব্যাবসায়ীদের সিএন্ডএফ লাইসেন্সিং বিধিমালা সংস্কার, বন্ডের জরিমানা রহিতকরণ, আমদানিকৃত গাড়ি খালাসে জটিলতা নিরসনসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ট্রেডকে সহযোগিতা করাটাই হলো বড় কাজ। বাংলাদেশের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ আমদানি হয় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। সেই বিষয়ে আমিও আপনাদের সঙ্গে একমত। আমি এ বিষয়ে প্রতিনিধিকে স্বাগত জানাচ্ছি। উর্ধ্বতন সবার কাছে আপনাদের এক্সেস থাকবে। এইচএস কোড পরিবর্তন করে ২০০ থেকে ৪০০ শতাংশ জরিমানা করার বিষয়টি তুলে ধরে কাস্টমস হাউস কমিশনার জাকির বলেন, এইচএস কোডের ক্ষেত্রে যদি কোনো ধরনের বৈসাদৃশ্য দেখা যায় সেটাও আমরা দেখবো।
পার্টনারশিপ বা কোম্পানি এক হলে লাইসেন্সের ক্ষেত্রে মূল মালিক পরিবর্তন হলেও সমস্যা হবে না। তবে নতুন রুলসে কি রয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোনো নির্দেশনা আছে কি না, সেগুলা দেখে এগুলো সমাধান করবো। লাইসেন্স কখনো হস্তান্তরযোগ্য নয়। তবে এ সমস্যাটা সমাধানে আইনই প্রাধান্য পাবে। সভায় ব্যাবসায়ী ফোরামের আহবায়ক এসএম সাইফুল আলম বলেন, বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের দৃঢ় ভূমিকার কারণে চট্টগ্রাম চেম্বারকে আমরা কলঙ্কমুক্ত করতে পেরেছি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসেও একসময় দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিল্পখাত, বিশেষত উৎপাদনমুখী শিল্প কারখানা। এ দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছিল। তিনি বলেন, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কাস্টমস হাউসকে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির আহবান জানাচ্ছি। তাছাড়া আমদানি-রফতানি বাণিজ্য আরো গতিশীল করে পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন চালু।
অযৌক্তিক শুল্ক নির্ধারণ বন্ধ, অনিয়ম ও হয়রানি বন্ধ করে দ্রুত পণ্য খালাসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। বঞ্চিত ব্যাবসায়ী ফোরামের আহবায়ক ও বন্দর ইউজার এসএম সাইফুল আলমের নেতৃত্বে মতবিনিময় সভায় কাস্টমস হাউসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরামের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ী শওকত আলীসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পরে ব্যবসায়ী ফোরামের পক্ষ থেকে লিখিত দাবিগুলো কাস্টমস কমিশনারকে প্রদান করা হয়।