বরগুনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজ চলছে। বিভিন্ন এলাকার নদীপাড়ে প্রায় ৮শ ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো’র তথ্য অনুযায়ী সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে নদীগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে ১১শ মিটার। পাউবো’র দাবি বর্তমানে এসব বেড়িবাঁধের অল্প কিছু অংশ ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামত সম্পন্ন করা হয়েছে।
বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব বলেন, বরগুনা যে ৮শ ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে এগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে মেরামতের কাজ করি। চলমান বর্ষা মৌসুমে গুরুত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়। এছাড়া বর্তমানে দুটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর অধীনে প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজ চলমান রয়েছে। তবে বেড়িবাঁধ মেরামত একটি চলমান প্রক্রিয়া, যখন যেখানে প্রয়োজন হয় তখন সেখানে কাজ করা হয়।
বরগুনার সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে বিশেষ করে সিডরে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ওই সময় ২০ থেকে ২৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে ৩৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে আবার আইলা হয়েছে, এতেও বেড়িবাঁধের ক্ষতি হয়েছিল। এরপর থেকেই প্রায় ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এ ছাড়া যেসব বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে তাও নামেমাত্র।
পাকিস্তান আমলে যে উচ্চতায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল সে তুলনায় বর্তমান বেড়িবাঁধের উচ্চতা অনেক কম। এ কারণে জলোচ্ছ্বাস হলেই এসব বেড়িবাঁধ উপচে পানি লোকালয়ের ভেতরে চলে আসে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি হচ্ছে বেড়িবাঁধগুলো উঁচু ও টেকসইভাবে নির্মাণ করতে হবে।
টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব জানান, বর্তমানে দুটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ঢাল সংরক্ষণ করতে সিসি ব্লক দিয়ে বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। এর আগে ইসিআরবি প্রকল্পের মাধ্যমে বরগুনার বিভিন্ন জায়গায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া চলমান দুটি প্রকল্পসহ আরও দুটি প্রকল্পের প্রস্তবনা দেওয়া আছে। এগুলো গৃহীত হলে ওই প্রকল্পের আওতায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে বলে আরও জানান তিনি। বাসস
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ পালোয়ান রুহুল আমিন ঢালী (বীর মুক্তিযোদ্ধা)
যোগাযোগঃ মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ঢালী কমপ্লেক্স, ২১৩/১ ( ৪র্থ তলা), শাহবাগ, ঢাকা- ১০০০
ফোনঃ ০২-৪৪৬১২০৩১, ৪৪৬১২০৩২
মোবাইলঃ ০১৮১৯২১১৩২৭, ০১৭৭৭১৮৯৯৫৯
Copyright © 2024 দৈনিক অগ্নিকন্ঠ. All rights reserved.