বাংলাদেশ পুলিশ ‘স্বতন্ত্র পুলিশ কমিশন’ গঠনের অপেক্ষায় আছে: আইজিপি

- আপডেট সময় : ১২:২২:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ০ বার পড়া হয়েছে

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, পুলিশ এখনো ‘স্বতন্ত্র পুলিশ কমিশন’ গঠনের অপেক্ষায় আছে। আমরা আশা করছি এটা গঠন করা হবে। সরকারকে আমরা আমাদের কথাগুলো জানাচ্ছি। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আজ সোমবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এ কথা বলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহসান।
আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ শুরু হচ্ছে। এবারের পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘আমার পুলিশ, আমার দেশ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধন করবেন।আইজিপি বলেন, ৫ আগস্টের পর সবচেয়ে বেশি আলোচনা ছিল পুলিশের সংস্কার নিয়ে। রাষ্ট্র কাঠামোর বিভিন্ন জায়গায় এই আলোচনাটি এসেছে।অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আমরা খুব আশান্বিত ছিলাম যে, পুলিশ সংস্কার কমিশন যেহেতু গঠিত হয়েছে। তারা পুলিশের জন্য জনগুরুত্বপূর্ণ কিছু সুপারিশ রাখবেন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে আমরাও কিছু সাজেশন দিয়েছিলাম একটি স্বতন্ত্র পুলিশ কমিশন গঠন করা, সরাসরি নির্বাহী নিয়ন্ত্রণে না রেখে পুলিশকে কিছু অটোনামি বা স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার।
এটার একটি সাজেশন আমাদের ছিল। এটার বিষয়ে পুলিশ সংস্কার কমিশন নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন। তিনি বলেন, পুলিশ সংস্কার কমিশন যেসব সুপারিশ করেছে সেগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। অর্থাৎ এক্সিকিউটিভ পর্যায়ে এসব বাস্তবায়ন হবে। যেমন থানায় একজন নারী পুলিশ সদস্য সব সময় থাকবে। যাতে করে নারী ও শিশু পুলিশি সেবা পান। পুলিশ যখন কাউকে গ্রেফতার করবে, জিজ্ঞাসাবাদ করবে, সেটা স্বচ্ছ হতে হবে। এটা আসামির আইনজীবীর সামনে হতে হবে। এ জাতীয় অনেক ভালো ভালো সুপারিশ তারা করেছেন।
আইজিপি বলেন, আমাদের প্রধান পরামর্শ ছিল পুলিশের কাজের যেন স্বাতন্ত্র্য বজায় থাকে, যাতে কর্তৃপক্ষের চাপের মুখোমুখি হতে না হয়। এই জায়গায় পুলিশ অপেক্ষা করে আছে। আমরা আশা করছি এটা অ্যাড্রেস করা হবে। আমরা সরকারকে আমাদের কথাগুলো জানাচ্ছি।আইজিপি বলেন, নিরীহ লোককে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না। এ বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, গণ-অভ্যুত্থান বা আন্দোলনে কারা নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে বা গুলি চালিয়েছে তা মামলাগুলোর তদন্তে উঠে আসবে। এ পর্যন্ত ১৫ শ’ মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৬০০ হত্যা মামলা রয়েছে।
এসব মামলার তদন্ত কাজ চলমান আছে। তবে ডিএমপি থেকে কয়েকটি হত্যা চেষ্টা বা আহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় পুলিশের অনেক যানবাহন পুড়ে গেছে। যানবাহনের সমস্যা সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে ২০০ গাড়ি ক্রয় করার প্রক্রিয়া চলছে।আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, অনাড়ম্বর নয়, এ বছর আমরা কার্যকর পুলিশ সপ্তাহ পালন করতে চাই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরিকল্পনা শুনে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া এবারের পুলিশ সপ্তাহে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের অভিমত জানাবেন।