ঢাকা ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যদি আমরা বৈশ্বিকভাবে প্রভাবশালী হতে চাই, তাহলে এটাই আমাদের পথ বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দুরত্ব নয় বরং সু-সম্পর্ক রয়েছে : ডা. তাহের সাংবাদিকতা হতে হবে পুরো সত্য, আংশিক নয় : কাদের গনি এবি পার্টির নতুন চেয়ারম্যান মজিবুর, সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান চলচ্চিত্র শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সরকার : নাহিদ ইসলাম ঢাবি ক্যাম্পাসের খাবার পানিতে মল-মূত্রের জীবাণু এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন : ডিসিসিআই বিদেশে টাকা পাচারকারিরা এখনও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে : প্রেস সচিব পাকিস্তানে ফিরতে পেরে ‘অভিভূত ও আনন্দিত’ মালালা লক্ষ্মীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ জন

বিদেশে টাকা পাচারকারিরা এখনও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে : প্রেস সচিব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০০:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে

বিদেশে টাকা পাচারকারিরা এখনও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে বিশ্বের ইতিহাসে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা দেশে চোরতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। বড় বড় কোম্পানিকে তখন অর্থের বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেয়া ছিল তার কাজ।

সে সময়ে বিদেশে টাকা পাচারকারীরা এখন সেই টাকায় প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও পরবর্তী প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় শফিকুল আলম একথা বলেন। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে তারা প্রাতষ্ঠিত করতে চায় যে, এখানে এখন মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে, কোনো গণঅভ্যুত্থান হয়নি।

পরাজিত শক্তি আবার আপনাদের জঙ্গি বানাতে চায়। জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, অনেক গণমাধ্যম আন্দোলনকারীদের ‘জাতির শত্রু’ হিসেবে তুলে ধরেছিল। গণমাধ্যমের ভাষা ব্যবহার করে তখন শাসকদের কাছে বার্তা দেয়া হচ্ছিল এই আন্দোলনকারীদের দমন করা উচিত।

যদি ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হত, তাহলে দুই লাখ মানুষকে জেলে যেতে হত, আর তখন ন্যারেটিভ হত যে কিছু ‘দুর্বৃত্ত’ দেশজুড়ে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়, এটি একটি দায়িত্ব উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, জুলাই বিপ্লবে কারা কী ভূমিকা রেখেছে তা আমরা আরও ভালোভাবে বিশ্লেষণ করব। এজন্য তিনি সবাইকে তাদের অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ লিখে রাখার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার যদি আরও এক মাস সময় পেত তাহলে ২৫ মার্চের মতো আরও একটি কালরাত দেখতে হতো। যেখানে টার্গেট হতো শিক্ষক-সাংবাদিকরা। ফ্যাসিস্ট সরকার থাকলে যুবকদের চাকরির অধিকার হরণ করত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিদেশে টাকা পাচারকারিরা এখনও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে : প্রেস সচিব

আপডেট সময় : ১২:০০:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

বিদেশে টাকা পাচারকারিরা এখনও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে বিশ্বের ইতিহাসে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা দেশে চোরতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। বড় বড় কোম্পানিকে তখন অর্থের বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেয়া ছিল তার কাজ।

সে সময়ে বিদেশে টাকা পাচারকারীরা এখন সেই টাকায় প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও পরবর্তী প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় শফিকুল আলম একথা বলেন। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে তারা প্রাতষ্ঠিত করতে চায় যে, এখানে এখন মৌলবাদী শক্তির উত্থান ঘটেছে, কোনো গণঅভ্যুত্থান হয়নি।

পরাজিত শক্তি আবার আপনাদের জঙ্গি বানাতে চায়। জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, অনেক গণমাধ্যম আন্দোলনকারীদের ‘জাতির শত্রু’ হিসেবে তুলে ধরেছিল। গণমাধ্যমের ভাষা ব্যবহার করে তখন শাসকদের কাছে বার্তা দেয়া হচ্ছিল এই আন্দোলনকারীদের দমন করা উচিত।

যদি ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হত, তাহলে দুই লাখ মানুষকে জেলে যেতে হত, আর তখন ন্যারেটিভ হত যে কিছু ‘দুর্বৃত্ত’ দেশজুড়ে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়, এটি একটি দায়িত্ব উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, জুলাই বিপ্লবে কারা কী ভূমিকা রেখেছে তা আমরা আরও ভালোভাবে বিশ্লেষণ করব। এজন্য তিনি সবাইকে তাদের অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ লিখে রাখার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার যদি আরও এক মাস সময় পেত তাহলে ২৫ মার্চের মতো আরও একটি কালরাত দেখতে হতো। যেখানে টার্গেট হতো শিক্ষক-সাংবাদিকরা। ফ্যাসিস্ট সরকার থাকলে যুবকদের চাকরির অধিকার হরণ করত।