ঢাকা ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার এপ্রিলের প্রথম ১২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৫ বিলিয়ন ডলার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশ নীতি হচ্ছে প্রো-বাংলাদেশ: প্রেস সচিব স্বাস্থ্যখাতকে শক্তিশালী করতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চেয়েছে ঢাকা সুদানের দুই বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে: ইউনিসেফ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ক্রিকেট বোর্ডে দুদকের অভিযান ত্রাণ হস্তান্তর শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছে নৌবাহিনী জাহাজ সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে সরকারকে ৫ বছর ক্ষমতায় রাখার বিষয়ে আমি কিছু বলিনি, জনগণ বলেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২১ মে

বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ক্রিকেট বোর্ডে দুদকের অভিযান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) বিভিন্ন ক্রিকেট লীগের বাছাই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি, টিকেট বিক্রয়ে অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ অর্জনসহ নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ জানান, দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে আজ মঙ্গলবার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদক সূত্র জানায়, ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের বাছাই পর্বে বিগত বছরগুলোতে ৩/৪টি ক্লাব থেকে নামসর্বস্ব আবেদন দেখিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম করা হয়েছে বলে প্রাথমিক প্রমাণ পায় দুদক টিম।

অপরদিকে বিপিএল এর টিকেট বিক্রি নিয়ে আর্থিক অনিয়মেরও প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। দুদক টিম জানতে পারে সদ্যসমাপ্ত ১১তম বিপিএলে টিকেট বিক্রয়ের মাধ্যমে আয় ১৩ কোটি টাকা দেখানো হলেও ৩য় থেকে ১০ম বিপিএল, তথা ৮ বছরে বিসিবি’র আয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি টাকা- যা বিগত বিপিএলগুলোতে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের ইঙ্গিত বহন করে। এ ছাড়া ‘ক্রিকেট সেলিব্রেট মুজিব ১০০’ বাস্তবায়নে ২৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা খরচ দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে মাত্র ৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল এমন তথ্য পায় দুদক টিম।

অর্থাৎ এক্ষেত্রে প্রায় ১৯ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের তথ্য প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়। অভিযানকালে অভিযোগগুলোর প্রাথমিক সত্যতার প্রেক্ষিতে অধিকতর যাচাইয়ের লক্ষ্যে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। রেকর্ডপত্র যাচাই বাছাই করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে সূত্র জানায়। এদিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন সংস্কারের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, গোপালগঞ্জ থেকে ওই কাজের প্রাক্কলন, কাজ সমাপ্তির সনদ, বিল ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। সরেজমিন পরিদর্শনে প্রাপ্ত তথ্য ও সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ফ্যানের রেগুলেটর, থ্রি গ্যাং ইত্যাদি হংকং/মালয়েশিয়া/সিংগাপুর/দক্ষিণ কোরিয়া/থাইল্যান্ড/ইংল্যান্ড/জার্মানি/জাপানি প্রতিষ্ঠানের হওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে দেশীয় কোম্পানি সুপার স্টারের ফ্যান রেগুলেটর ও থ্রি গ্যাং সুইচ সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও ১ লাখ ১২ হাজার টাকা মূল্যের ২৮ মিটার ক্যাবল ও ২৭ হাজার টাকা মূল্যের ৬টি সার্কিট ব্রেকার পরিদর্শনকালে পাওয়া যায়নি।সার্বিক বিবেচনায় ওই সংস্কার কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযানকালে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

এ ছাড়া, বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের স্লিপ ফান্ড ও রুটিন মেইনটেনান্সের অর্থ প্রদানে ঘুষ দাবিসহ নানাবিধ দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, বাগেরহাট থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিম কর্তৃক দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনসহ শিক্ষকদের সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলা হয়। পরবর্তীতে, টিম ওই প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পরিদর্শন করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। গৃহীত বক্তব্য ও রেকর্ডপত্রের প্রাথমিক পর্যালোচনায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ক্রিকেট বোর্ডে দুদকের অভিযান

আপডেট সময় : ১২:১৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) বিভিন্ন ক্রিকেট লীগের বাছাই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি, টিকেট বিক্রয়ে অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ অর্জনসহ নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) তানজির আহমেদ জানান, দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে আজ মঙ্গলবার এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদক সূত্র জানায়, ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগের বাছাই পর্বে বিগত বছরগুলোতে ৩/৪টি ক্লাব থেকে নামসর্বস্ব আবেদন দেখিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম করা হয়েছে বলে প্রাথমিক প্রমাণ পায় দুদক টিম।

অপরদিকে বিপিএল এর টিকেট বিক্রি নিয়ে আর্থিক অনিয়মেরও প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। দুদক টিম জানতে পারে সদ্যসমাপ্ত ১১তম বিপিএলে টিকেট বিক্রয়ের মাধ্যমে আয় ১৩ কোটি টাকা দেখানো হলেও ৩য় থেকে ১০ম বিপিএল, তথা ৮ বছরে বিসিবি’র আয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি টাকা- যা বিগত বিপিএলগুলোতে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের ইঙ্গিত বহন করে। এ ছাড়া ‘ক্রিকেট সেলিব্রেট মুজিব ১০০’ বাস্তবায়নে ২৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা খরচ দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে মাত্র ৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল এমন তথ্য পায় দুদক টিম।

অর্থাৎ এক্ষেত্রে প্রায় ১৯ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের তথ্য প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়। অভিযানকালে অভিযোগগুলোর প্রাথমিক সত্যতার প্রেক্ষিতে অধিকতর যাচাইয়ের লক্ষ্যে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। রেকর্ডপত্র যাচাই বাছাই করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে সূত্র জানায়। এদিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন সংস্কারের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, গোপালগঞ্জ থেকে ওই কাজের প্রাক্কলন, কাজ সমাপ্তির সনদ, বিল ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। সরেজমিন পরিদর্শনে প্রাপ্ত তথ্য ও সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ফ্যানের রেগুলেটর, থ্রি গ্যাং ইত্যাদি হংকং/মালয়েশিয়া/সিংগাপুর/দক্ষিণ কোরিয়া/থাইল্যান্ড/ইংল্যান্ড/জার্মানি/জাপানি প্রতিষ্ঠানের হওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে দেশীয় কোম্পানি সুপার স্টারের ফ্যান রেগুলেটর ও থ্রি গ্যাং সুইচ সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও ১ লাখ ১২ হাজার টাকা মূল্যের ২৮ মিটার ক্যাবল ও ২৭ হাজার টাকা মূল্যের ৬টি সার্কিট ব্রেকার পরিদর্শনকালে পাওয়া যায়নি।সার্বিক বিবেচনায় ওই সংস্কার কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযানকালে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

এ ছাড়া, বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের স্লিপ ফান্ড ও রুটিন মেইনটেনান্সের অর্থ প্রদানে ঘুষ দাবিসহ নানাবিধ দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, বাগেরহাট থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিম কর্তৃক দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনসহ শিক্ষকদের সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলা হয়। পরবর্তীতে, টিম ওই প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পরিদর্শন করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। গৃহীত বক্তব্য ও রেকর্ডপত্রের প্রাথমিক পর্যালোচনায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়।