ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মেয়াদ শেষে ডাটা-মিনিট পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আপিলের রায় আগামীকাল জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামি সতর্কতা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ সম্ভব: বিশেষজ্ঞ মতামত শ্রী কমল ঘোষ মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ বাংলাদেশ পুলিশকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে : আইজিপি বেনাপোল বন্দরের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৭৬ হাজার মেট্রিক টন ঢাকা-করাচি ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে চলতি বছরেই বাংলাদেশ সীমান্তের ১৬০টি জায়গায় ভারত কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে : রিজভী মালয়েশিয়ার সাথে ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য চায় বাংলাদেশ : বাণিজ্য উপদেষ্টা

বেনাপোল বন্দরের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৭৬ হাজার মেট্রিক টন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে

বেনাপোল বন্দর দিয়ে গেল বছর ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮০ মেট্রিক টন। এর আগে ২০২৩ সালে আমদানির পরিমাণ ছিল ২১ লাখ ১৪ হাজার ৫০৯ মেট্রিক টন। গত বছরে আগের বছরের চেয়ে পণ্য আমদানির পরিমাণ কমেছে ৭৫ হাজার ৭৪৬ মেট্রিক টন। বৈশ্বিক মন্দা আর বাণিজ্যে নানা প্রতিবন্ধকতাকে এ অবস্থার জন্য দায়ী বলছেন ব্যবসায়ীরা। সূত্র জানিয়েছে, মোট ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য হয় ১৬ টি বন্দরের মধ্য দিয়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় বেনাপোল- পেট্রাপোল বন্দরের মধ্য দিয়ে।

তবে দেশ করোনা ভাইরাসের কবলে পড়ে ২০১৯ সাল থেকে বৈশ্বিক মন্দায় ডলারের দাম ঊর্ধ্বগতির কারণে কমে আসতে থাকে আমদানির পরিমাণ। এছাড়া দ্রুত পণ্য ছাড়করণ ও অবকাঠামোগত নানা সমস্যাও বাণিজ্য ঘাটতির কারণ হয়ে উঠে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বাণিজ্য সম্প্রসারণে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত দুই মাসে বেনাপোল বন্দরের শূন্যরেখায় চালু করা হয় বন্দর কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল ও বন্দরে বসানো হয় স্ক্যানিং মেশিন। দ্রুত পণ্য খালাস ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের উদ্যোগে কমিটি গঠন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়।

এতে বর্তমানে বাণিজ্যে অনেকটা গতি ফিরে হয়রানি কমেছে যা সামনের দিনে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমদানি, রফতানি বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। এ পথে আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্পকলকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, গার্মেন্টস, শিশু খাদ্য, মাছ, কেমিকেলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। আর রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট, পাটের তৈরি পণ্য, তৈরি পোশাক, কেমিকেল, বসুন্ধরা টিস্যু, মেলামাইন, মাছ উল্লেখযোগ্য।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মফিজুর রহমান স্বজন জানান, গত বছর ভারত থেকে আমদানি হয় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের পণ্য এবং ৮ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি হয় ভারতে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেশির ভাগ আমদানিকারকেরা বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। তবে দ্রুত পণ্য খালাস করার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতায় হয়রানি হতে হয়। বাণিজ্য সহজীকরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত হলে আমদানি ও রাজস্ব বাড়বে। বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক কাজী রতন জানান, ইতোমধ্যে বেনাপোল বন্দরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সমাপ্ত হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বেনাপোল বন্দরের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৭৬ হাজার মেট্রিক টন

আপডেট সময় : ১১:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

বেনাপোল বন্দর দিয়ে গেল বছর ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮০ মেট্রিক টন। এর আগে ২০২৩ সালে আমদানির পরিমাণ ছিল ২১ লাখ ১৪ হাজার ৫০৯ মেট্রিক টন। গত বছরে আগের বছরের চেয়ে পণ্য আমদানির পরিমাণ কমেছে ৭৫ হাজার ৭৪৬ মেট্রিক টন। বৈশ্বিক মন্দা আর বাণিজ্যে নানা প্রতিবন্ধকতাকে এ অবস্থার জন্য দায়ী বলছেন ব্যবসায়ীরা। সূত্র জানিয়েছে, মোট ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য হয় ১৬ টি বন্দরের মধ্য দিয়ে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় বেনাপোল- পেট্রাপোল বন্দরের মধ্য দিয়ে।

তবে দেশ করোনা ভাইরাসের কবলে পড়ে ২০১৯ সাল থেকে বৈশ্বিক মন্দায় ডলারের দাম ঊর্ধ্বগতির কারণে কমে আসতে থাকে আমদানির পরিমাণ। এছাড়া দ্রুত পণ্য ছাড়করণ ও অবকাঠামোগত নানা সমস্যাও বাণিজ্য ঘাটতির কারণ হয়ে উঠে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বাণিজ্য সম্প্রসারণে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত দুই মাসে বেনাপোল বন্দরের শূন্যরেখায় চালু করা হয় বন্দর কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল ও বন্দরে বসানো হয় স্ক্যানিং মেশিন। দ্রুত পণ্য খালাস ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের উদ্যোগে কমিটি গঠন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়।

এতে বর্তমানে বাণিজ্যে অনেকটা গতি ফিরে হয়রানি কমেছে যা সামনের দিনে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমদানি, রফতানি বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। এ পথে আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্পকলকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, গার্মেন্টস, শিশু খাদ্য, মাছ, কেমিকেলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। আর রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট, পাটের তৈরি পণ্য, তৈরি পোশাক, কেমিকেল, বসুন্ধরা টিস্যু, মেলামাইন, মাছ উল্লেখযোগ্য।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের মফিজুর রহমান স্বজন জানান, গত বছর ভারত থেকে আমদানি হয় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের পণ্য এবং ৮ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি হয় ভারতে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেশির ভাগ আমদানিকারকেরা বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। তবে দ্রুত পণ্য খালাস করার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতায় হয়রানি হতে হয়। বাণিজ্য সহজীকরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত হলে আমদানি ও রাজস্ব বাড়বে। বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক কাজী রতন জানান, ইতোমধ্যে বেনাপোল বন্দরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সমাপ্ত হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।