ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র সংস্কার ও বিচারের আগে নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে: জামায়াত আমির এসএসসি পরীক্ষার তৃতীয় দিন অনুপস্থিত ২৭ হাজার ৯০৫ জন ‘র’ প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না: হাসনাত ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ ইউক্রেনের দনিপ্রোতে রাশিয়ার হামলায় দুইজন নিহত: গভর্নর বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বিএনপি সন্তুষ্ট নয়: মির্জা ফখরুল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ ঢাকায় এসেছেন

ব্যবসায়ীরা রোজার এক মাসেই বছরের আয় করে নিতে চায় : চসিক মেয়র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে

বন্দর নগরীর খাতুনগঞ্জে রমজানের বাজার মনিটরিং করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। মেয়র বলেন, তারা (ব্যবসায়ী) চায় রাতারাতি ধনী হয়ে যেতে। রোজার এক মাসেই তারা পুরো বছরের আয় একসঙ্গে করতে পাগল হয়ে যায়। তিনি বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং করছি। এ মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এ কথা বলেন।

এ সময় সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদা খানম।চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে সিটি মেয়র বলেন, বাজারে অস্থিরতা কমাতে কঠোর অবস্থানে সিটি কর্পোরেশন। সারা পৃথিবীর মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে রোজা আসলে ভর্তুকি দিয়ে পণ্য বিক্রি করে। কারণ তারা তা সওয়াব হিসেবে দেখে। আর আমাদের দেশে রোজা এলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দেয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ খুঁজে কীভাবে আরো টাকা ইনকাম করা যায়। আজকে আমরা দেখছি এখানে ভোজ্য তেল উধাও হয়ে গেছে।

ভোজ্য তেল কোনো জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে না। বাজার মনিটরিং করার কথা জানিয়ে চসিক মেয়র বলেন, কয়েকদিন ধরে সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল ভোজ্যতেল বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। আর যেগুলো বিক্রি হচ্ছে তা লিটার প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ টাকার ওপরে। সে কারণে আজকে আমরা এখানে এসেছি। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযানে এসে সত্যতা মিলেছে এখানে ভোজ্যতেল মোটেও পাওয়া যাচ্ছে না। ভোজ্যতেল যেগুলো দেখেছি সেগুলো ল্যাব টেস্টের জন্য নিয়েছি।

এগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে; এগুলো আদৌ ভোজ্যতেল কিনা। মেয়র বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদেরকে বলছি- প্রত্যেকটা জায়গায় যাতে রেট চার্ট দেওয়া হয় এবং আমাদের জেলা প্রশাসক মহোদয় উনার ম্যাজিস্ট্রেটসহ এখানে আছেন। যদি কোন ধরনের অসঙ্গতি আমরা দেখি-তাহলে জরিমানা ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘তেল ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আগামীকাল (মঙ্গলবার) বসবো। তারা যাতে অনতিবিলম্বে বাজারজাত করে দাম কমিয়ে আনে।

এ ব্যাপারে শক্তভাবে অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়া হবে। পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, সহকারী কমিশনার মো. ইসরাফিল জাহান, শাকিব শাহরিয়ার, রাইয়ান ফেরদৌস, ফারজানা রহমান মীম, আসিফ জাহান সিকদার, সুমন মণ্ডল অপু, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা আক্তার কণা এবং কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম প্রমুখ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ব্যবসায়ীরা রোজার এক মাসেই বছরের আয় করে নিতে চায় : চসিক মেয়র

আপডেট সময় : ১১:৪৮:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

বন্দর নগরীর খাতুনগঞ্জে রমজানের বাজার মনিটরিং করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। মেয়র বলেন, তারা (ব্যবসায়ী) চায় রাতারাতি ধনী হয়ে যেতে। রোজার এক মাসেই তারা পুরো বছরের আয় একসঙ্গে করতে পাগল হয়ে যায়। তিনি বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং করছি। এ মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এ কথা বলেন।

এ সময় সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদা খানম।চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে সিটি মেয়র বলেন, বাজারে অস্থিরতা কমাতে কঠোর অবস্থানে সিটি কর্পোরেশন। সারা পৃথিবীর মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে রোজা আসলে ভর্তুকি দিয়ে পণ্য বিক্রি করে। কারণ তারা তা সওয়াব হিসেবে দেখে। আর আমাদের দেশে রোজা এলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দেয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ খুঁজে কীভাবে আরো টাকা ইনকাম করা যায়। আজকে আমরা দেখছি এখানে ভোজ্য তেল উধাও হয়ে গেছে।

ভোজ্য তেল কোনো জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে না। বাজার মনিটরিং করার কথা জানিয়ে চসিক মেয়র বলেন, কয়েকদিন ধরে সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল ভোজ্যতেল বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। আর যেগুলো বিক্রি হচ্ছে তা লিটার প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ টাকার ওপরে। সে কারণে আজকে আমরা এখানে এসেছি। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযানে এসে সত্যতা মিলেছে এখানে ভোজ্যতেল মোটেও পাওয়া যাচ্ছে না। ভোজ্যতেল যেগুলো দেখেছি সেগুলো ল্যাব টেস্টের জন্য নিয়েছি।

এগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে; এগুলো আদৌ ভোজ্যতেল কিনা। মেয়র বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদেরকে বলছি- প্রত্যেকটা জায়গায় যাতে রেট চার্ট দেওয়া হয় এবং আমাদের জেলা প্রশাসক মহোদয় উনার ম্যাজিস্ট্রেটসহ এখানে আছেন। যদি কোন ধরনের অসঙ্গতি আমরা দেখি-তাহলে জরিমানা ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘তেল ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আগামীকাল (মঙ্গলবার) বসবো। তারা যাতে অনতিবিলম্বে বাজারজাত করে দাম কমিয়ে আনে।

এ ব্যাপারে শক্তভাবে অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়া হবে। পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, সহকারী কমিশনার মো. ইসরাফিল জাহান, শাকিব শাহরিয়ার, রাইয়ান ফেরদৌস, ফারজানা রহমান মীম, আসিফ জাহান সিকদার, সুমন মণ্ডল অপু, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা আক্তার কণা এবং কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম প্রমুখ।