ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ : রিজভী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য শুধু অনভিপ্রেত নয়, এটা একটি গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।আজ বুধবার রাজধানীর গোড়ানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। দেশ নিয়ে এখনও অনেক ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘চক্রান্ত ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। অনেক ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত এখনও চলছে। এইবারের দুর্গাপূজায় কোথাও কি অশান্তি হয়েছে? কোন অশান্তি হয়নি। এখানে বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন পূজাম-প পাহারা দিয়েছে। এমনকি আমাদের দেশের মাওলানারা পর্যন্ত পূজাম-প পাহারা দিয়েছে।

এই দেশে হিন্দু, মুসলমান যারা যুগ যুগ ধরে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে হাজার বছর ধরে। কিন্তু তারপরও আমরা চক্রান্ত দেখি। এক শেখ হাসিনা এবং শেখ হাসিনাকে যারা আশ্রয় দিয়েছে তারা অপেক্ষায় থাকেন কি করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে- তাদের নিরাপত্তা নেই এই কথাটি বলা যায়। রিজভী বলেন, ‘সাতক্ষীরার একটি মন্দিরে দুপুর আড়াইটার সময় একটি পূজামন্ডপ থেকে মুকুট কে জানি চুরি করেছ। এখানে তো বক্তব্য আছে। ঠিক আড়াইটার দিকে ওই মন্দিরের যিনি প্রধান পুরোহিত এবং আরো যারা কর্মকর্তারা ছিলেন তারা হঠাৎ করে উঠে গিয়েছিলেন, কিন্তু কেন? এটাতো বড় প্রশ্ন। এরপরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রতিবাদ জানালো যে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে আমরা সংশয়ে আছি।

বাংলাদেশের কোন মন্দিরে কোন পূজামন্ডপে একটি গাছের পাতাও পড়েনি। আর আপনি ভারত সেই দিল্লি থেকে বলে দিলেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সংশয়ের কথা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য শুধু অনভিপ্রেত নয়, এটা একটি গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের উদ্দেশ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আরও বলেন, ‘এত সুন্দর একটি পূজা উৎসব হয়ে গেল তারপরও আপনারা বলেছেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আপনারা উদ্বিগ্ন। আমি ভারতের নীতি-নির্ধারকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনাদের পশ্চিমবাংলার বর্ধমান একটি জেলা, সেইখানেও এই রকম একটা ঘটনা ঘটেছে। কই সেই বিষয়ে তো দিল্লির নীতিনির্ধারকরা কোন কথা বললেন না। ওখানকার পররাষ্ট্র দপ্তরতো একটা বিবৃতি দিলেন না।

আপনাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা আপনাদের পদতলে রাখতে চান। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে চান। যেমন আপনারা শেখ হাসিনার মাধ্যমে রেখেছিলেন। কিন্তু সেইটা এখন হাতছাড়া হয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আপনারা সতর্ক থাকুন। ভয়ংকর, ভয়ংকর ষড়যন্ত্র চক্রান্ত হবে। শেখ হাসিনা কিন্তু বসে নেই। ভিডিওতে তার বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। তিনি বলেছেন, আমি বাংলাদেশের কাছেই আছি। গোপালগঞ্জে যদি কেউ কিছু করতে আসে তাহলে তার হাত গুড়িয়ে দাও। তার কথার মধ্যে কিন্তু শান্তির কথা নেই, স্বস্তির কথা নেই। তিনি যে এত শিশু-কিশোর, বাচ্চাদেরকে হত্যা করলেন তারপরও তার মধ্যে কিন্তু কোন অনুশোচনা নেই। এখনো তার মনের মধ্যে দখলদারিত্বের মনোভাব। এই ধরনের একজন ঘাতক মহিলাকে আশ্রয় দিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ।

তিনি বলেন, ‘সালমান এফ রহমানের ন্যায় বড় সাপের থেকেও বিষধর ছোট সাপ তথা আওয়ামী সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা এখনও বহাল তবিয়তে সিন্ডিকেটবাজি করে যাচ্ছে। এদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতা তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা ইউনুস মৃধার সঞ্চালনায় আয়োজিত ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধির লিফলেট বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মোঃ রফিকূল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিব, বিএনপি’র ফরেন এফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ডা. জাহিদুল কবির, আরিফুর রহমান তুষার, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা ডা. আউয়াল প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ : রিজভী

আপডেট সময় : ১১:৪১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য শুধু অনভিপ্রেত নয়, এটা একটি গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।আজ বুধবার রাজধানীর গোড়ানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। দেশ নিয়ে এখনও অনেক ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘চক্রান্ত ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। অনেক ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত এখনও চলছে। এইবারের দুর্গাপূজায় কোথাও কি অশান্তি হয়েছে? কোন অশান্তি হয়নি। এখানে বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন পূজাম-প পাহারা দিয়েছে। এমনকি আমাদের দেশের মাওলানারা পর্যন্ত পূজাম-প পাহারা দিয়েছে।

এই দেশে হিন্দু, মুসলমান যারা যুগ যুগ ধরে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে হাজার বছর ধরে। কিন্তু তারপরও আমরা চক্রান্ত দেখি। এক শেখ হাসিনা এবং শেখ হাসিনাকে যারা আশ্রয় দিয়েছে তারা অপেক্ষায় থাকেন কি করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে- তাদের নিরাপত্তা নেই এই কথাটি বলা যায়। রিজভী বলেন, ‘সাতক্ষীরার একটি মন্দিরে দুপুর আড়াইটার সময় একটি পূজামন্ডপ থেকে মুকুট কে জানি চুরি করেছ। এখানে তো বক্তব্য আছে। ঠিক আড়াইটার দিকে ওই মন্দিরের যিনি প্রধান পুরোহিত এবং আরো যারা কর্মকর্তারা ছিলেন তারা হঠাৎ করে উঠে গিয়েছিলেন, কিন্তু কেন? এটাতো বড় প্রশ্ন। এরপরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রতিবাদ জানালো যে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে আমরা সংশয়ে আছি।

বাংলাদেশের কোন মন্দিরে কোন পূজামন্ডপে একটি গাছের পাতাও পড়েনি। আর আপনি ভারত সেই দিল্লি থেকে বলে দিলেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সংশয়ের কথা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য শুধু অনভিপ্রেত নয়, এটা একটি গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের উদ্দেশ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আরও বলেন, ‘এত সুন্দর একটি পূজা উৎসব হয়ে গেল তারপরও আপনারা বলেছেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আপনারা উদ্বিগ্ন। আমি ভারতের নীতি-নির্ধারকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনাদের পশ্চিমবাংলার বর্ধমান একটি জেলা, সেইখানেও এই রকম একটা ঘটনা ঘটেছে। কই সেই বিষয়ে তো দিল্লির নীতিনির্ধারকরা কোন কথা বললেন না। ওখানকার পররাষ্ট্র দপ্তরতো একটা বিবৃতি দিলেন না।

আপনাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা আপনাদের পদতলে রাখতে চান। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে আপনারা নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে চান। যেমন আপনারা শেখ হাসিনার মাধ্যমে রেখেছিলেন। কিন্তু সেইটা এখন হাতছাড়া হয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আপনারা সতর্ক থাকুন। ভয়ংকর, ভয়ংকর ষড়যন্ত্র চক্রান্ত হবে। শেখ হাসিনা কিন্তু বসে নেই। ভিডিওতে তার বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। তিনি বলেছেন, আমি বাংলাদেশের কাছেই আছি। গোপালগঞ্জে যদি কেউ কিছু করতে আসে তাহলে তার হাত গুড়িয়ে দাও। তার কথার মধ্যে কিন্তু শান্তির কথা নেই, স্বস্তির কথা নেই। তিনি যে এত শিশু-কিশোর, বাচ্চাদেরকে হত্যা করলেন তারপরও তার মধ্যে কিন্তু কোন অনুশোচনা নেই। এখনো তার মনের মধ্যে দখলদারিত্বের মনোভাব। এই ধরনের একজন ঘাতক মহিলাকে আশ্রয় দিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ।

তিনি বলেন, ‘সালমান এফ রহমানের ন্যায় বড় সাপের থেকেও বিষধর ছোট সাপ তথা আওয়ামী সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা এখনও বহাল তবিয়তে সিন্ডিকেটবাজি করে যাচ্ছে। এদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতা তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা ইউনুস মৃধার সঞ্চালনায় আয়োজিত ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধির লিফলেট বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মোঃ রফিকূল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিব, বিএনপি’র ফরেন এফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ডা. জাহিদুল কবির, আরিফুর রহমান তুষার, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা ডা. আউয়াল প্রমুখ।