ঢাকা ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে : প্রধান উপদেষ্টা শুল্ক যুদ্ধের প্রভাবে মুনাফা কমেছে নকিয়ার ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে পাকিস্তান গণপরিবহনে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ একটি যৌথ দায়িত্ব: শেখ মঈনুদ্দীন গণমাধ্যম এখন স্বাধীন, সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে অবৈধ অভিবাসন রোধ ও পুলিশের সামর্থ্য বাড়াতে সহযোগিতা করবে ইতালি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: রুমিন ফারহানা বিসিএস পরীক্ষার জট নিরসন করার পরিকল্পনা রয়েছে: পিএসসি চেয়ারম্যান এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে উন্নয়নে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ এডিবি’র কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে, হুমকির মুখে বেড়িবাঁধ

ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে পাকিস্তান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩২:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০ বার পড়া হয়েছে

ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার অভিযোগে ভারতের নেওয়া একাধিক কঠোর সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এবার পাল্টা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের আহ্বানে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ‘দ্য ডন’ পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি আজ এই খবর জানায়।

গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন এবং আহত হন আরো ১৭ জন। আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনার দায়ভার পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে ভারত একাধিক কড়া সিদ্ধান্ত নেয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-সিন্ধু নদী পানি চুক্তি স্থগিত এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ।

ভারতের এসব সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। বুধবার জিও নিউজ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেছেন, ‘ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করতে পারে না। কারণ, এই চুক্তিতে শুধু ভারত ও পাকিস্তানই নয়, বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক অংশীদাররাও জড়িত। ফলে এটি আন্তর্জাতিকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এদিকে কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দিল্লি ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে।

এর অংশ হিসেবে সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি, কূটনৈতিক স্তরে চাপ সৃষ্টি এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক পর্যালোচনার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত। উল্লেখ্য, কাশ্মীর ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক এই ঘটনার ফলে সেই উত্তেজনা আরো তীব্র হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে পাকিস্তান

আপডেট সময় : ১২:৩২:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার অভিযোগে ভারতের নেওয়া একাধিক কঠোর সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এবার পাল্টা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের আহ্বানে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ‘দ্য ডন’ পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি আজ এই খবর জানায়।

গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন এবং আহত হন আরো ১৭ জন। আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনার দায়ভার পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে ভারত একাধিক কড়া সিদ্ধান্ত নেয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-সিন্ধু নদী পানি চুক্তি স্থগিত এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ।

ভারতের এসব সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। বুধবার জিও নিউজ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেছেন, ‘ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করতে পারে না। কারণ, এই চুক্তিতে শুধু ভারত ও পাকিস্তানই নয়, বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক অংশীদাররাও জড়িত। ফলে এটি আন্তর্জাতিকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এদিকে কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া হামলার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দিল্লি ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে।

এর অংশ হিসেবে সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি, কূটনৈতিক স্তরে চাপ সৃষ্টি এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক পর্যালোচনার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত। উল্লেখ্য, কাশ্মীর ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক এই ঘটনার ফলে সেই উত্তেজনা আরো তীব্র হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।