মনোহরগঞ্জ উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পরিষদের নাম পরিবর্তনের দাবি ইউনিয়নবাসীর
- আপডেট সময় : ১১:৩২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পরিষদের নাম পরিবর্তনের দাবি ইউনিয়নবাসীর। ইউনিয়ন দুটি হলো : ৫ নং দক্ষিণ ঝলম ইউনিয়ন পরিষদ ও ৪ নং উত্তর ঝলম ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদ দুটির পরিবর্তিত নাম হবে ৫ নং পোমগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ ও ৪ নং লালচাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদ।
মনোহরগঞ্জ থানা ভবন ঝলম গ্রামের ভিতরে অবস্থিত। সে সুবাদে ইউনিয়ন দুটির নাম ঝলম দক্ষিণ ও ঝলম উত্তর রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। অথচ ইউনিয়ন দুটি পোমগাঁও বাজার ও লালচাঁদপুর বাজার মধ্যে অবস্থিত। উপজেলার বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলো অবস্থান অনুযায়ী নামকরণ করা হয়েছে।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিগত ২৬ আগস্ট ২০০৪ তারিখ নিকার এর ৯০তম বৈঠকে ১১টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলা নামে একটি নতুন প্রশাসনিক উপজেলা গঠন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অতঃপর ০৫/০২/২০০৫ তারিখ হতে মনোহরগঞ্জ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।
মনোহরগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। ১টি ফাঁড়ি থানা (পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র) উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম মনোহরগঞ্জ থানার আওতাধীন। ইউনিয়নসমূহ:১নং বাইশগাঁও, ২নং সরসপুর, ৩নং হাসনাবাদ, ৪নং ঝলম উত্তর, ৫নং ঝলম দক্ষিণ, ৬নং মৈশাতুয়া, ৭নং লক্ষণপুর, ৮নং খিলা, ৯নং উত্তর হাওলা, ১০নং নাথেরপেটুয়া, ১১নং বিপুলাসার।
তৎকালীন মেল্লা শহর বর্তমান লাকসামস্থ ঘাগরিয়া খালের পাড়ে অবস্থিত মেল্লারের দিকে খরস্রোতা নদী পথে যেতে ডাকাতিয়া নদী ও ঘাগরিয়া নদীর মোহনায় ব্যবসায়ীদের মনোহরণকারী স্থান হিসেবে মনোহরগঞ্জের নামকরণ হয় মর্মে কথিত আছে। পাট ব্যবসায়ীক কেন্দ্রস্থল মনোহরগঞ্জ পরবর্তীকালে গঞ্জে রূপান্তরিত হয় মর্মে অনেকে মনে করেন। কারো-কারো মতে মনোহর নামে একজন মৃৎশিল্প/কুম্বকার এনে গড়ে তোলে ছিলেন হাড়ি-পাতিলের কারখানা।
ব্যবসায়ীরা তার নামকে ঐতিহ্য হিসেবে স্থানের নামকরণ করেন মনোহরগঞ্জ। ঐতিহাসিক সত্যতা যাই হোক না কেন, মনোহরগঞ্জ একটি মনমুগ্ধকর প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ীক স্থান যাহা ০৩ (তিন)টি ইউনিয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত।