ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

মালয়েশিয়ায় বন্যায় ১২২,০০০ লোক বাস্তুচ্যুত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ৯ বার পড়া হয়েছে

মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে অবিরাম বর্ষণে সৃষ্ট ব্যাপক বন্যার কারণে ১ লাখ ২২ হাজারের বেশি জনের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ কর্মকর্তারা শনিবার একথা জানিয়েছেন। দেশের চলমান এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ২০১৪ সালের ভয়াঙ্কর বন্যা পরিস্থিতিকেও ছাড়িয়ে গেছে, ওই বছর বন্যায় ১ লাখ ১৮ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

ভারী বর্ষণ অব্যহত থাকায় দুর্যোগ কর্মকর্তারা বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগে কেলান্তান, তেরেঙ্গানু ও সারাওয়াক অঞ্চলে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার তথ্য অনুসারে, কেলান্তান রাজ্য বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যটির ৬৩ শতাংশ বা ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩১ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তেরেঙ্গানুতে প্রায় ৩৫ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরো সাতটি রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুতির খবর পাওয়া গেছে। চলতি সপ্তাহের প্রথমে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণের কারণে কেলান্তানের পাসির পুতেহ ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়। ওই শহরে লোকজনকে কোমড়-পানিতে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।

পাসির পুতেহ স্থানীও বাসিন্দা ও স্কুলের দারোয়ান জামরাহ মজিদ (৫৯) এএফপিকে বলেন, ‘বুধবার থেকে আমার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমার এলাকায় পানি পৌঁছে গেছে। বন্যার পানি আমার বাড়ির করিডোর থেকে মাত্র দুই ইঞ্চি দূরে আছে। সৌভাগ্যক্রমে, আমি আমার দুটি গাড়ি পানির স্তর বৃদ্ধির আগেই একটি উঁচু ভূমিতে নিয়ে গিয়েছিলাম।’

তিনি তার নাতি-নাতনিদের বাড়ির সামনের পানিতে খেলতে দিয়েছেন। কারণ সেখানে বন্যার পানি এখনও অগভীর রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু যদি পানি বেশি বেড়ে যায়, তবে এটি বিপজ্জনক হবে। জামরাহ বলেন, ‘আমি এখনও কোনো সহায়তা পাইনি। মোহাম্মদ জুলকারনাইন (২৭) বলেন, ‘আমার আশপাশে কোন যানবাহনের প্রবেশ বা বাহির হওয়ার কোন উপায় নেই।’

তিনি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে পাসির পুতেহতে বসবাস করছেন। বন্যার কারণে তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ‘অবশ্যই আমি ভয় পাচ্ছি। ভাগ্যক্রমে আমরা এনজিও থেকে কিছু সহায়তা পেয়েছি। তারা আমাদের বিস্কুট, ইনস্ট্যান্ট নুডুলস ও ডিমের মতো খাবার সরবরাহ করেছে।’

উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যগুলোতে উদ্ধারকারী নৌকা, চার চাকার গাড়ি ও হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি জাতীয় সংসদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মালয়েশিয়ায় বন্যায় ১২২,০০০ লোক বাস্তুচ্যুত

আপডেট সময় : ১১:৫৮:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে অবিরাম বর্ষণে সৃষ্ট ব্যাপক বন্যার কারণে ১ লাখ ২২ হাজারের বেশি জনের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ কর্মকর্তারা শনিবার একথা জানিয়েছেন। দেশের চলমান এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ২০১৪ সালের ভয়াঙ্কর বন্যা পরিস্থিতিকেও ছাড়িয়ে গেছে, ওই বছর বন্যায় ১ লাখ ১৮ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

ভারী বর্ষণ অব্যহত থাকায় দুর্যোগ কর্মকর্তারা বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগে কেলান্তান, তেরেঙ্গানু ও সারাওয়াক অঞ্চলে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার তথ্য অনুসারে, কেলান্তান রাজ্য বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যটির ৬৩ শতাংশ বা ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩১ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তেরেঙ্গানুতে প্রায় ৩৫ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরো সাতটি রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুতির খবর পাওয়া গেছে। চলতি সপ্তাহের প্রথমে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণের কারণে কেলান্তানের পাসির পুতেহ ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়। ওই শহরে লোকজনকে কোমড়-পানিতে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।

পাসির পুতেহ স্থানীও বাসিন্দা ও স্কুলের দারোয়ান জামরাহ মজিদ (৫৯) এএফপিকে বলেন, ‘বুধবার থেকে আমার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমার এলাকায় পানি পৌঁছে গেছে। বন্যার পানি আমার বাড়ির করিডোর থেকে মাত্র দুই ইঞ্চি দূরে আছে। সৌভাগ্যক্রমে, আমি আমার দুটি গাড়ি পানির স্তর বৃদ্ধির আগেই একটি উঁচু ভূমিতে নিয়ে গিয়েছিলাম।’

তিনি তার নাতি-নাতনিদের বাড়ির সামনের পানিতে খেলতে দিয়েছেন। কারণ সেখানে বন্যার পানি এখনও অগভীর রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু যদি পানি বেশি বেড়ে যায়, তবে এটি বিপজ্জনক হবে। জামরাহ বলেন, ‘আমি এখনও কোনো সহায়তা পাইনি। মোহাম্মদ জুলকারনাইন (২৭) বলেন, ‘আমার আশপাশে কোন যানবাহনের প্রবেশ বা বাহির হওয়ার কোন উপায় নেই।’

তিনি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে পাসির পুতেহতে বসবাস করছেন। বন্যার কারণে তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ‘অবশ্যই আমি ভয় পাচ্ছি। ভাগ্যক্রমে আমরা এনজিও থেকে কিছু সহায়তা পেয়েছি। তারা আমাদের বিস্কুট, ইনস্ট্যান্ট নুডুলস ও ডিমের মতো খাবার সরবরাহ করেছে।’

উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যগুলোতে উদ্ধারকারী নৌকা, চার চাকার গাড়ি ও হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি জাতীয় সংসদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি।