ঢাকা ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নরের সাক্ষাৎ নগরীর যানজট নিরসনে হকার ব্যবস্থাপনা জরুরি : চসিক মেয়র পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন টক-শো দেখেন, কেমন একটা অস্থিরতা চলছে দেশে আগামী প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ারও আহ্বান: দুদক চেয়ারম্যান ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করা যাবে না রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: জাপান রাষ্ট্রদূত দ্রুত ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করবে টাইগাররা: সালাহউদ্দিন চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে: পিডিবি চেয়ারম্যান সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ রাজধানীর ফকিরাপুলে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

রমজানে ভোজ্য তেলের দাম কমাতে ভ্যাট-ট্যাক্স অব্যাহতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ৯৪ বার পড়া হয়েছে

দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সয়াবিন তেলসহ কয়েকটি ভোজ্যতেলে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে আমদানি পর্যায়ে করের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস করা হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ১৫ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে জানানো হয়, সয়াবিন, পাম, সানফ্লাওয়ার এবং ক্যানোলা তেলের বিক্রয়ে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে, যা কার্যকর থাকবে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

এছাড়া, এসব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে ভোজ্যতেলের ওপর কোনো শুল্ক-কর অবশিষ্ট থাকছে না।বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এর আগে গত ১৭ অক্টোবর এবং ১৯ নভেম্বর জারি করা ভ্যাট ও শুল্ক হ্রাসের প্রজ্ঞাপনগুলোর মেয়াদ ছিল ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবার নতুন প্রজ্ঞাপনের আওতায় সয়াবিন ও পামতেলের পাশাপাশি সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেলকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

রমজান মাসকে সামনে রেখে ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং ভোক্তাদের জন্য দাম সহনীয় রাখার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেলের আমদানির ক্ষেত্রে কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি, অগ্রিম কর (এটি), এবং অগ্রিম আয়কর পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ভ্যাট ও শুল্ক হ্রাসের ফলে এসব তেলের আমদানি ব্যয় লিটারপ্রতি ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আশা প্রকাশ করেছে যে, এ উদ্যোগে বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে পণ্যের দাম ভোক্তাদের জন্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। রমজান মাসের চাহিদা বিবেচনায় এনে গৃহীত এ পদক্ষেপ ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক বাজারে সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রমজানে ভোজ্য তেলের দাম কমাতে ভ্যাট-ট্যাক্স অব্যাহতি

আপডেট সময় : ১০:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সয়াবিন তেলসহ কয়েকটি ভোজ্যতেলে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কমিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে আমদানি পর্যায়ে করের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস করা হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ১৫ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে জানানো হয়, সয়াবিন, পাম, সানফ্লাওয়ার এবং ক্যানোলা তেলের বিক্রয়ে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে, যা কার্যকর থাকবে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।

এছাড়া, এসব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে ভোজ্যতেলের ওপর কোনো শুল্ক-কর অবশিষ্ট থাকছে না।বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এর আগে গত ১৭ অক্টোবর এবং ১৯ নভেম্বর জারি করা ভ্যাট ও শুল্ক হ্রাসের প্রজ্ঞাপনগুলোর মেয়াদ ছিল ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবার নতুন প্রজ্ঞাপনের আওতায় সয়াবিন ও পামতেলের পাশাপাশি সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেলকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

রমজান মাসকে সামনে রেখে ভোজ্যতেলের বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং ভোক্তাদের জন্য দাম সহনীয় রাখার উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেলের আমদানির ক্ষেত্রে কাস্টমস ডিউটি, রেগুলেটরি ডিউটি, অগ্রিম কর (এটি), এবং অগ্রিম আয়কর পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ভ্যাট ও শুল্ক হ্রাসের ফলে এসব তেলের আমদানি ব্যয় লিটারপ্রতি ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আশা প্রকাশ করেছে যে, এ উদ্যোগে বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে পণ্যের দাম ভোক্তাদের জন্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। রমজান মাসের চাহিদা বিবেচনায় এনে গৃহীত এ পদক্ষেপ ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক বাজারে সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।