লক্ষীপুরে মেঘনায় মাছ শিকারে ব্যস্ত জেলেরা
- আপডেট সময় : ১১:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪ ১২ বার পড়া হয়েছে
নিষেধাজ্ঞার ২২দিন পর লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ ধরা পুরোদমে শুরু হয়েছে। মাছঘাটগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে ও আড়ৎতদাররা। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর জাল ফেলা ও মাছ শিকারে নদীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি তারা।
এবার অভিযান সফল হওয়ায় মাছের উৎপাদন বাড়ার আশা করছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন। তিনি বলেন, ইলিশের আকার বড়। বেশিরভাগ ইলিশ ডিম ছেড়েছে ফলে পেটে ডিম নেই। লক্ষ্মীপুরে ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ হাজার ৫শ মে.টন। যা গত বছরের চেয়ে ৫ হাজার মে.টন বেশি।
জেলেরা জানান, ২২দিন মাছ ধরা বন্ধ ছিল। মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর নদীতে মাছ শিকারে নামছেন। জালেও ধরা পড়ছে প্রচুর পরিমান ইলিশ। তবে বেশিরভাগ মা ইলিশ ডিম ছেড়েছেন। মাছের আকার অনেক বড়। দামও ক্রেতার নাগালের ভেতরে। এতে তারা অনেক খূশি। আজকের মতো যদি সব সময় এভাবে ইলিশ পাওয়া যায়,তাহলে কিস্তির টাকা ও সংসার চালাতে আর কোন কষ্ট হবেনা।
মজুচৌধুরীরহাট ঘাটের জেলে কালাম,মারফত উল্যাহ বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনায় জালে ধরা পড়ছে রুপালী ইলিশ। দীর্ঘ ২২দিন অলস সময় কাটিয়েছি। এখন মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে। তবে জালে মাছ ধরা পড়ায় খুশি লাগছে। আজকে যে মাছ পাওয়া গেছে,সেটা গত কয়েক বছরের তুলনায় আকারে অনেক বড়।
মতিরহাটের আড়ৎদার লিটন বলেন, মাছ পাওয়া যাচ্ছে। দামও তুলনামূলক ক্রেতা ওবিক্রেতার নাগালের ভেতরে রয়েছে। এ হাটে সকাল ১০টায় পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ আমদানি ও রপ্তানি হচ্ছে। প্রতিদিন কোটি টাকার মাছ বিক্রির আশা করেন তিনি।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে. প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনাল এলাকার ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন মেঘনায় ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল্ ।এসময় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরন, পরিবহন, বাজারজাত করন ও মজুদকরন বন্ধ ছিল।
এ জেলায় প্রায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে নিবন্ধধিত রয়েছে ৪২ হাজার জেলে। এদের সবাই মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১শ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে থাকেন এখানকার জেলেরা। এসব এলাকার ছোট-বড় প্রায় ৩০টি মাছ ঘাট রয়েছে। এবার ২২দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় ৩৯ হাজার ৭শ ৫০ জেলেকে ৯শ ৯৩ মে.টন চাল বিতরণ করা হয়।