ঢাকা ১২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র সংস্কার ও বিচারের আগে নির্বাচন হলে তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে: জামায়াত আমির এসএসসি পরীক্ষার তৃতীয় দিন অনুপস্থিত ২৭ হাজার ৯০৫ জন ‘র’ প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না: হাসনাত ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জুলাই-মার্চ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০.৮৪ শতাংশ ইউক্রেনের দনিপ্রোতে রাশিয়ার হামলায় দুইজন নিহত: গভর্নর বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বিএনপি সন্তুষ্ট নয়: মির্জা ফখরুল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ ঢাকায় এসেছেন

লালমনিরহাটে সবজির বাজারে ফিরেছে স্বস্তি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

শীতকালীন সবজি বাজারে আসায় স্বস্তি ফিরেছে লালমনিরহাটের কাঁচাবাজারে। কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির দাম ছিল লাগামহীন। কিন্তু চলতি সপ্তাহে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সব ধরনের সবজির কেজি প্রতি দাম কমেছে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে বেশিরভাগ সবজির দাম চলে এসেছে হাতের নাগালে।

কিছুদিনের মধ্যে আরো কিছু শীতকালীন সবজির দাম কমার সম্ভাবনা দেখছেন বিক্রেতারা। আজ রোববার সকালে লালমনিরহাটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির মধ্যে আলু কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে  ৪০-৫০ টাকা, বাধাকপি পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা, ফুলকপি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকা, মুলা ১০ টাকা, ছোট শিম ২৫-৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, গাজর ৩৫-৪০ টাকা, ছোট করলা ৭০-৮০, বড়ো করলা ৩৫-৪০ টাকা।

কাঁচা কলার হালি (৪টি) বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২৫-৩০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা, শসা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। গাজর কেজি ৩৫-৪০টাকা, বেগুন ভেদে ১৫-৩০টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এছাড়াও কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির পাশাপাশি দাম কমেছে আদা ও রসুনের।

দেশি রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, দেশি আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়, মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকায়। তবে শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজারগুলোতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সামান্য কিছু দামের পার্থক্য রয়েছে।

কাঁচাবাজার করতে আসা ক্রেতা আফসার আলী (৪৮) বাসস’কে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় শাক-সবজির দাম অনেক কমেছে। এমন পরিস্থিতি থাকলে সবার জন্যই ভালো। দামদর ছাড়াই সবজি কেনা যাচ্ছে। বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা মোকলেজা বেগম (৪৫) বলেন, কিছুদিন ধরে শাক সবজির দাম চড়া ছিল কিন্তু এখন সবজির বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কয়েকটা সবজির দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে । আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে সব সবজির দাম হাতের নাগালের মধ্যে থাকবে।

লালমনিরহাটের বড়বাড়ি বাজারের আড়ৎ এ সবজি বিক্রি করতে আসা কৃষক আলী রহমান (৪৪) বলেন, আগে সবজি বাজারে বেশি করে নিয়ে আসতে পারিনি। সবজির সংকট ছিলো কিন্তু এখন আমাদের নতুন ক্ষেতের সবজি গুলো বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তাই কাঁচা শাকসবজির দামও কমতে শুরু করেছে। একই এলাকার সবজি বিক্রেতা কৃষক আব্দুল আব্বাস (৩৭) বলেন, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। সবজির দাম কমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে গেছে ক্রেতাদের মধ্যে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে  সবজি বাজার যে দামে চলছে এর থেকেও যদি দাম আরো  কমে তাহলে  আমরা কৃষকেরা  ক্ষতিগ্রস্ত হবো। সবজি বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন (২৬) বলেন, আগে যারা দুই তিন বস্তা সবজি আনতো বাজারে তারাই এখন দশ বস্তা পর্যন্ত সবজি আনছেন। মূলত শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে।

আগামী সপ্তাহে সব ধরনের শাক-সবজির দাম হাতের নাগালেই থাকবে। লালমনিরহাট সদরের বড়বাড়ি বাজারের আড়ৎ ইজারাদার মোসারব আলী (৫৪) বলেন, কিছুদিন যাবত সবজির বাজার কিছুটা বেশি ছিলো। তবে এখন সরবরাহ বাড়ায় সবজির বাজার হাতের নাগালে চলে এসেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

লালমনিরহাটে সবজির বাজারে ফিরেছে স্বস্তি

আপডেট সময় : ১১:০৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

শীতকালীন সবজি বাজারে আসায় স্বস্তি ফিরেছে লালমনিরহাটের কাঁচাবাজারে। কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির দাম ছিল লাগামহীন। কিন্তু চলতি সপ্তাহে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সব ধরনের সবজির কেজি প্রতি দাম কমেছে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে বেশিরভাগ সবজির দাম চলে এসেছে হাতের নাগালে।

কিছুদিনের মধ্যে আরো কিছু শীতকালীন সবজির দাম কমার সম্ভাবনা দেখছেন বিক্রেতারা। আজ রোববার সকালে লালমনিরহাটের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির মধ্যে আলু কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে  ৪০-৫০ টাকা, বাধাকপি পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা, ফুলকপি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকা, মুলা ১০ টাকা, ছোট শিম ২৫-৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, গাজর ৩৫-৪০ টাকা, ছোট করলা ৭০-৮০, বড়ো করলা ৩৫-৪০ টাকা।

কাঁচা কলার হালি (৪টি) বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২৫-৩০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা, শসা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। গাজর কেজি ৩৫-৪০টাকা, বেগুন ভেদে ১৫-৩০টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এছাড়াও কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির পাশাপাশি দাম কমেছে আদা ও রসুনের।

দেশি রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, দেশি আদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়, মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকায়। তবে শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজারগুলোতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সামান্য কিছু দামের পার্থক্য রয়েছে।

কাঁচাবাজার করতে আসা ক্রেতা আফসার আলী (৪৮) বাসস’কে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় শাক-সবজির দাম অনেক কমেছে। এমন পরিস্থিতি থাকলে সবার জন্যই ভালো। দামদর ছাড়াই সবজি কেনা যাচ্ছে। বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা মোকলেজা বেগম (৪৫) বলেন, কিছুদিন ধরে শাক সবজির দাম চড়া ছিল কিন্তু এখন সবজির বাজার স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কয়েকটা সবজির দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে । আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে সব সবজির দাম হাতের নাগালের মধ্যে থাকবে।

লালমনিরহাটের বড়বাড়ি বাজারের আড়ৎ এ সবজি বিক্রি করতে আসা কৃষক আলী রহমান (৪৪) বলেন, আগে সবজি বাজারে বেশি করে নিয়ে আসতে পারিনি। সবজির সংকট ছিলো কিন্তু এখন আমাদের নতুন ক্ষেতের সবজি গুলো বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তাই কাঁচা শাকসবজির দামও কমতে শুরু করেছে। একই এলাকার সবজি বিক্রেতা কৃষক আব্দুল আব্বাস (৩৭) বলেন, শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। সবজির দাম কমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে গেছে ক্রেতাদের মধ্যে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে  সবজি বাজার যে দামে চলছে এর থেকেও যদি দাম আরো  কমে তাহলে  আমরা কৃষকেরা  ক্ষতিগ্রস্ত হবো। সবজি বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন (২৬) বলেন, আগে যারা দুই তিন বস্তা সবজি আনতো বাজারে তারাই এখন দশ বস্তা পর্যন্ত সবজি আনছেন। মূলত শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমেছে।

আগামী সপ্তাহে সব ধরনের শাক-সবজির দাম হাতের নাগালেই থাকবে। লালমনিরহাট সদরের বড়বাড়ি বাজারের আড়ৎ ইজারাদার মোসারব আলী (৫৪) বলেন, কিছুদিন যাবত সবজির বাজার কিছুটা বেশি ছিলো। তবে এখন সরবরাহ বাড়ায় সবজির বাজার হাতের নাগালে চলে এসেছে।