সমাজে এখন নানারকম বিভাজন তৈরি হচ্ছে, মানুষে মানুষে দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে
- আপডেট সময় : ১১:৪৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ১২ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক জীবনে দর্শন শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন, আত্মশুদ্ধির চর্চা ও আত্মসমালোচনার মাধ্যমে আমাদের নৈতিক দর্শন ও আদর্শকে আরও মজবুত করতে হবে। আজ বিশ্ব দর্শন দিবস উপলক্ষে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য এসব কথা বলেন।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ফিলোসফি ফর এন ইনক্লুসিভ এন্ড সাসটেইনেবল ফিউচার। উপাচার্য বলেন, সমাজে এখন নানারকম বিভাজন তৈরি হচ্ছে, মানুষে মানুষে দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে সমাজে বিভিন্ন ধরনের দ্বন্দ্ব, সংঘাত, হানাহানি, অরাজকতা ও অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। এধরনের বিভাজন চূড়ান্ত অর্থে মানবিকতারই পরাজয়। এসময় শান্তির বার্তা নিয়ে সমাজের সকল দ্বন্ধ ও বিভাজন নিরসনে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য তিনি দার্শনিক ও দর্শনশাস্ত্রের গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগ, গোবিন্দ দেব দর্শন গবেষণা কেন্দ্র এবং নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্র যৌথভাবে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করে। দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশে ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের দর্শন: ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিভাগের অধ্যাপক আ খ ম ইউনুস ।
এছাড়া, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী এ এস এম নুরুল হুদা ও সরকারি তিতুমীর কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মালেকা আক্তার চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক মো. নূরুজ্জামান। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে বিভাগীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে এক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গিয়ে র্যালী শেষ হয়।
এছাড়া, দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। উল্লেখ্য, ২০০২ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব দর্শন দিবস উদযাপনের ঘোষণা দেয়। ২০০৫ সালে ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব দর্শন দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর নিয়মিতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ব দর্শন দিবস পালন করা হয়ে থাকে।