ঢাকা ০১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নরের সাক্ষাৎ নগরীর যানজট নিরসনে হকার ব্যবস্থাপনা জরুরি : চসিক মেয়র পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন টক-শো দেখেন, কেমন একটা অস্থিরতা চলছে দেশে আগামী প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ারও আহ্বান: দুদক চেয়ারম্যান ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার হলে নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করা যাবে না রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: জাপান রাষ্ট্রদূত দ্রুত ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করবে টাইগাররা: সালাহউদ্দিন চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে: পিডিবি চেয়ারম্যান সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়া যাবে না: তোফায়েল আহমেদ রাজধানীর ফকিরাপুলে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

সাতক্ষীরায় শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ৮০ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আজগার আলী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :  সাতক্ষীরা জেলার সর্বত্রই শীতের আগমনে লেপ-তোষক কারিগররা বিরামহীন কাজ করছেন। শীত নিবারণে অনেকেই লেপ-তোষক তৈরীর অগ্রীম অর্ডার দিয়েছেন। আর এসব তৈরী করতে কারিগররা কর্মব্যাস্ত হয়ে উঠেছে। শীতের সময় প্রতিটি দোকানে লেপ-তোষক তৈরীর চাহিদা বেড়ে যায়। তৈরী লেপ-তোষকের পাশাপাশি অগ্রীম অর্ডার দেওয়া লেপ-তোষক তৈরীতে কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছে।

সিঙ্গেল ১টি লেপ ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, ডবল লেপ সাড়ে ৬শ’ থেকে সাড়ে ৮শ’ টাকা, সিঙ্গেল তোষক সাড়ে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা ও ডবল তোষক ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড় বাজার, পুরাতন কোর্টেও সামনে, ধুলিহর বাজার, নাজিমগঞ্জ বাজার সহ বিভিন্ন যায়গায় লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। এসকল দোকানে অর্ডারী লেপ-তোষকের পাশাপাশি তৈরী লেপ-তোষক সারি সারি সাজিয়ে রেখেছে।

সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড় বাজার বেডিংয়ের মালিক খোকন জানান, শীতের শুরুতে ভালই অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে কর্মব্যস্ততা আরো বাড়বে। শীত নিবারণে উপকরণ লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। তিনি আরো জানান, বিদেশ থেকে আমদানী করা কম্বল লেপ-তোষকের বাজার দখল করে রেখেছে। এতে দেশীয় তৈরী লেপ-তোষকের বাজার মার খাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাজারে ১৫০ থেকে ২শ’ টাকায় চায়না কম্বল বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে অনেকেই লেপ তৈরী না করে কম্বল ক্রয় করছে। মিম বেডিং এ লেপ ক্রয় করতে আসা আসাদুজ্জামান জানান, লেপ-তোষকের মূল্য অনেকটাই বেশি বলে মনে হয়।

লেপ-তোষকের কারিগর ইমান আলী জানান, প্রতিদিন একজনের পক্ষে ৫টি লেপ তৈরী করা সম্ভব, আর সাথে হেলপার থাকলে ৭/৮টি লেপ-তোষক তৈরী করা যায়। বাজারে এখন গার্মেন্টস এর তুলায় লেপ-তোষক তৈরী হচ্ছে বেশি। শিমুল তুলার দাম বেশি হওয়ায় গার্মেন্টস এর তুলায় শীতের উপকরণ তৈরী হচ্ছে। গার্মেন্টস এর তুলায় একটি বালিশ তৈরী করতে ১শ’ টাকা খরচ হয়।

আর শিমুল তুলায় একটি বালিশ তৈরী করতে ৬শ’ টাকা খরচ হয়। আর এ জন্য ক্রেতারা গার্মেন্টস এর তুলায় শীতের উপকরণ তৈরী করছে। তবে শীত এখনো ঠিকমত জেকে বসেনি এই জন্য ভীড় একটু কম আছে তবে শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষক তৈরীর চাহিদা আরো বেড়ে যাবে। শীতের শুরুতে লেপ-তোষক, যাজিমের বিক্রি বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দোকান গুলোতে সারি সারি লেপ-তোষক সাজিয়ে রেখেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সাতক্ষীরায় শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

আপডেট সময় : ১১:৪৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

মোঃ আজগার আলী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :  সাতক্ষীরা জেলার সর্বত্রই শীতের আগমনে লেপ-তোষক কারিগররা বিরামহীন কাজ করছেন। শীত নিবারণে অনেকেই লেপ-তোষক তৈরীর অগ্রীম অর্ডার দিয়েছেন। আর এসব তৈরী করতে কারিগররা কর্মব্যাস্ত হয়ে উঠেছে। শীতের সময় প্রতিটি দোকানে লেপ-তোষক তৈরীর চাহিদা বেড়ে যায়। তৈরী লেপ-তোষকের পাশাপাশি অগ্রীম অর্ডার দেওয়া লেপ-তোষক তৈরীতে কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছে।

সিঙ্গেল ১টি লেপ ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, ডবল লেপ সাড়ে ৬শ’ থেকে সাড়ে ৮শ’ টাকা, সিঙ্গেল তোষক সাড়ে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা ও ডবল তোষক ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড় বাজার, পুরাতন কোর্টেও সামনে, ধুলিহর বাজার, নাজিমগঞ্জ বাজার সহ বিভিন্ন যায়গায় লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। এসকল দোকানে অর্ডারী লেপ-তোষকের পাশাপাশি তৈরী লেপ-তোষক সারি সারি সাজিয়ে রেখেছে।

সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড় বাজার বেডিংয়ের মালিক খোকন জানান, শীতের শুরুতে ভালই অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে কর্মব্যস্ততা আরো বাড়বে। শীত নিবারণে উপকরণ লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। তিনি আরো জানান, বিদেশ থেকে আমদানী করা কম্বল লেপ-তোষকের বাজার দখল করে রেখেছে। এতে দেশীয় তৈরী লেপ-তোষকের বাজার মার খাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাজারে ১৫০ থেকে ২শ’ টাকায় চায়না কম্বল বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে অনেকেই লেপ তৈরী না করে কম্বল ক্রয় করছে। মিম বেডিং এ লেপ ক্রয় করতে আসা আসাদুজ্জামান জানান, লেপ-তোষকের মূল্য অনেকটাই বেশি বলে মনে হয়।

লেপ-তোষকের কারিগর ইমান আলী জানান, প্রতিদিন একজনের পক্ষে ৫টি লেপ তৈরী করা সম্ভব, আর সাথে হেলপার থাকলে ৭/৮টি লেপ-তোষক তৈরী করা যায়। বাজারে এখন গার্মেন্টস এর তুলায় লেপ-তোষক তৈরী হচ্ছে বেশি। শিমুল তুলার দাম বেশি হওয়ায় গার্মেন্টস এর তুলায় শীতের উপকরণ তৈরী হচ্ছে। গার্মেন্টস এর তুলায় একটি বালিশ তৈরী করতে ১শ’ টাকা খরচ হয়।

আর শিমুল তুলায় একটি বালিশ তৈরী করতে ৬শ’ টাকা খরচ হয়। আর এ জন্য ক্রেতারা গার্মেন্টস এর তুলায় শীতের উপকরণ তৈরী করছে। তবে শীত এখনো ঠিকমত জেকে বসেনি এই জন্য ভীড় একটু কম আছে তবে শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষক তৈরীর চাহিদা আরো বেড়ে যাবে। শীতের শুরুতে লেপ-তোষক, যাজিমের বিক্রি বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দোকান গুলোতে সারি সারি লেপ-তোষক সাজিয়ে রেখেছেন।