ঢাকা ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফা দাবি আমরা সকল জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই : মির্জা ফখরুল নির্বাচনে কারা আসবে বা আসবে না, সেই সিদ্ধান্ত কমিশনের : বদিউল আলম চাঁদাবাজি আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে, শুধু হাতবদল হয়েছে: ডা. শফিকুর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান গত ৫ আগষ্ট পুলিশের লুট হওয়া ১টি অস্ত্র উদ্ধার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন ডিসেম্বরের ২১ দিনে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে চাঁদপুরে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বহু যাত্রী উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক

সার্ক পুনরুজ্জীবিত করতে প্রধান উপদেষ্টার মনোভাব অত্যন্ত ইতিবাচক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫ বার পড়া হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে অত্যন্ত ইতিবাচক এবং তিনি চান এর কার্যক্রম স্বাভাবিক হোক। আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘৪০তম সার্ক চার্টার দিবস’ উপলক্ষে সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার) আয়োজিত ‘দ্য সার্ক-পিপল অব সাউথ এশিয়া ক্রেভ ফর’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চান, আবার আঞ্চলিকভাবে আমরা একটি স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরে যাই। বহুবছর ধরে সার্কের কোন সামিট হয়নি। এই অবস্থা থেকে উত্তরন করতে হলে স্ট্যান্ডিং কমিটির পর্যায়ের মিটিং থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে চার পর্যায়ে আমরা মিটিং করব এবং শেষ পর্যন্ত সামিটের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আমরা তৈরি হতে পারব।

এসময় তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া একসময় ছিল একমাত্র অঞ্চল যার কোন আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট ছিল না। ভারত-পাকিস্তান বৈরীতার জন্য কেউ কখনো এসব ভাবতে বা এ বিষয়ে কাজ করতে উৎসাহিত হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশী, জিয়াউর রহমান এ বিষয়ে চিন্তা করেছিলেন যে এরকম একটা জোট করা সম্ভব। তিনি বলেন, সামিটে সকল আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান হয় তা কিন্ত নয়। তবে এর একটি বিরাট সুবিধা হচ্ছে সামিট চলাকালীন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানরা একত্রিত হন এবং সাইডলাইনে প্রচুর বৈঠক হয়। নিজস্ব বিষয়ের বাইরে তাদের পারস্পরিক মেলামেশা হয়।

এতে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ আবহাওয়া সৃষ্টি ও একটি পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া হয় যা নিজেদের সমস্যাগুলোর সমাধান বা অন্তত স্তিমিত করার সুযোগ সৃষ্টি করে, যেটা থেকে আমরা অনেকদিন ধরে বঞ্চিত হয়েছি। তিনি বলেন,আমরা যদি পারস্পরিক সহায়তা বজায় রাখি ও সঠিক পদক্ষেপ নেই তাহলে দারিদ্র ও অন্যান্য সকল সমস্যার সমাধান আমরা করতে পারবো, যেটি প্রফেসর ইউনূসের ‘থ্রি- জিরো’ তত্ত্বের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভারত বাংলাদেশের বর্তমান আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ব্যাপারে তিনি বলেন , কোন সমস্যা সমাধান করতে হলে সেটা আগে স্বীকার করতে হবে যে সমস্যাটি বিদ্যমান বা অস্তিত্বে আছে।

আমাদের স্বীকার করতে হবে যে ৫ আগস্টের আগে ও পরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কে একটা গুণগত পরিবর্তন হয়েছে এবং এই বিষয়টি মেনে নিয়েই আমাদেরকে নিজেদের সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রের সরকার প্রধানরা যেহেতু মানুষ সেহেতু তারা স্থায়ী নন, কিন্তু দেশ এবং দেশের স্বার্থ স্থায়ী। তাই সার্কের অন্তর্ভুক্ত সকল দেশ এবং তার জনগণের স্বার্থকে রক্ষা করতে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন। সীমাবদ্ধতা কিছু তো আছেই, তবে এর মধ্যেই অগ্রগতি করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সার্ক জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি নাসির আল মামুন। সঞ্চালনা করেন সেমিনার অর্গানাইজিং কমিটির কনভেনার রফিকুল ইসলাম আজাদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়াল মিন্টু, সার্ক জার্নালিস্ট ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া,স্ট্রাটেজিক এক্সপার্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তাফা কামাল মজুমদার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সার্ক পুনরুজ্জীবিত করতে প্রধান উপদেষ্টার মনোভাব অত্যন্ত ইতিবাচক

আপডেট সময় : ১১:৫৯:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে অত্যন্ত ইতিবাচক এবং তিনি চান এর কার্যক্রম স্বাভাবিক হোক। আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘৪০তম সার্ক চার্টার দিবস’ উপলক্ষে সার্ক জার্নালিস্ট ফোরাম (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার) আয়োজিত ‘দ্য সার্ক-পিপল অব সাউথ এশিয়া ক্রেভ ফর’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চান, আবার আঞ্চলিকভাবে আমরা একটি স্বাভাবিক সম্পর্কে ফিরে যাই। বহুবছর ধরে সার্কের কোন সামিট হয়নি। এই অবস্থা থেকে উত্তরন করতে হলে স্ট্যান্ডিং কমিটির পর্যায়ের মিটিং থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে চার পর্যায়ে আমরা মিটিং করব এবং শেষ পর্যন্ত সামিটের সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আমরা তৈরি হতে পারব।

এসময় তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া একসময় ছিল একমাত্র অঞ্চল যার কোন আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট ছিল না। ভারত-পাকিস্তান বৈরীতার জন্য কেউ কখনো এসব ভাবতে বা এ বিষয়ে কাজ করতে উৎসাহিত হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশী, জিয়াউর রহমান এ বিষয়ে চিন্তা করেছিলেন যে এরকম একটা জোট করা সম্ভব। তিনি বলেন, সামিটে সকল আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান হয় তা কিন্ত নয়। তবে এর একটি বিরাট সুবিধা হচ্ছে সামিট চলাকালীন সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানরা একত্রিত হন এবং সাইডলাইনে প্রচুর বৈঠক হয়। নিজস্ব বিষয়ের বাইরে তাদের পারস্পরিক মেলামেশা হয়।

এতে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ আবহাওয়া সৃষ্টি ও একটি পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া হয় যা নিজেদের সমস্যাগুলোর সমাধান বা অন্তত স্তিমিত করার সুযোগ সৃষ্টি করে, যেটা থেকে আমরা অনেকদিন ধরে বঞ্চিত হয়েছি। তিনি বলেন,আমরা যদি পারস্পরিক সহায়তা বজায় রাখি ও সঠিক পদক্ষেপ নেই তাহলে দারিদ্র ও অন্যান্য সকল সমস্যার সমাধান আমরা করতে পারবো, যেটি প্রফেসর ইউনূসের ‘থ্রি- জিরো’ তত্ত্বের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। ভারত বাংলাদেশের বর্তমান আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ব্যাপারে তিনি বলেন , কোন সমস্যা সমাধান করতে হলে সেটা আগে স্বীকার করতে হবে যে সমস্যাটি বিদ্যমান বা অস্তিত্বে আছে।

আমাদের স্বীকার করতে হবে যে ৫ আগস্টের আগে ও পরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কে একটা গুণগত পরিবর্তন হয়েছে এবং এই বিষয়টি মেনে নিয়েই আমাদেরকে নিজেদের সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রের সরকার প্রধানরা যেহেতু মানুষ সেহেতু তারা স্থায়ী নন, কিন্তু দেশ এবং দেশের স্বার্থ স্থায়ী। তাই সার্কের অন্তর্ভুক্ত সকল দেশ এবং তার জনগণের স্বার্থকে রক্ষা করতে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন। সীমাবদ্ধতা কিছু তো আছেই, তবে এর মধ্যেই অগ্রগতি করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সার্ক জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি নাসির আল মামুন। সঞ্চালনা করেন সেমিনার অর্গানাইজিং কমিটির কনভেনার রফিকুল ইসলাম আজাদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়াল মিন্টু, সার্ক জার্নালিস্ট ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া,স্ট্রাটেজিক এক্সপার্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তাফা কামাল মজুমদার।